টাঙ্গাইল ও বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
ঢাকা-রাজশাহী রুটের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ। বাসটিও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, গাজীপুরের চান্দুরা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মধ্যে গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ।
এ ঘটনায় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), চালকের সহকারী মাহবুব আলম (২৮) ও সুপারভাইজার সুমন ইসলামকে (৩৩) আটক করেছে পুলিশ। চালক বাবুল রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজ এলাকার বাসিন্দা। মাহবুব উপজেলার পূর্ব কাঁঠালিয়া গ্রামের এবং সুমন ইসলাম সাধুর মোড় গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা করা ওই বাস গতকাল নাটোরের বড়াইগ্রামে পৌঁছালে চার যাত্রী বাসটি আটক করে পুলিশে খবর দেন। এরপর নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ এসে ওই তিনজনকে আটক করে। এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডাকাতি ও ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল টাঙ্গাইলে হওয়ায় সেখানে মামলা করতে বলা হয়েছে।
এই বাসের যাত্রী ছিলেন মজনু আকন্দ। তিনি বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়ে যাত্রীবাহী বাসটি। কিছু সময় পর আটজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ চালক, চালকের সহকারী, সুপারভাইজার ও যাত্রীদের জিম্মি করে। এ সময় ৪০-৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে ডাকাতেরা। পরে তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা এলাকার ফাঁকা স্থানে নেমে পালিয়ে যায়।
ওমর আলী নামের আরেক যাত্রী বলেন, ডাকাতির ঘটনায় চালক, চালকের সহকারী, সুপারভাইজার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।
তবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা টাঙ্গাইল জেলার সীমানায় ঘটেনি। আমিসহ চারটি টহল টিম সারা রাত মির্জাপুর সীমানা এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা সকালে জানতে পেরেছি, গাবতলী থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতেরা ডাকাতি শুরু করেছিল চন্দ্রার পর থেকে। ডাকাতেরা চালককে জিম্মি করে বাসটি বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে লুটপাট করে পুনরায় চন্দ্রার কাছাকাছি নন্দন পার্ক এলাকায় এসে থামিয়ে নেমে গেছে।’
আর গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর জেলায় এ ধরনের কোনো ঘটনার অভিযোগ তাঁরা পাননি। একই ধরনের কথা বলেছেন সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সওগাতুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার থানা এলাকায় এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
তবে বাসের যাত্রী মজনু বলেন, ডাকাতি ও ধর্ষণের বিষয়টি মির্জাপুর থানায় জানালে তারা কোনো ভূমিকা নেয়নি। পরে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকার চারজন যাত্রী বাসটি আটক করে থানা-পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার ও গাজীপুর প্রতিনিধি]
আরও খবর পড়ুন:
ঢাকা-রাজশাহী রুটের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ। বাসটিও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, গাজীপুরের চান্দুরা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মধ্যে গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ।
এ ঘটনায় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), চালকের সহকারী মাহবুব আলম (২৮) ও সুপারভাইজার সুমন ইসলামকে (৩৩) আটক করেছে পুলিশ। চালক বাবুল রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজ এলাকার বাসিন্দা। মাহবুব উপজেলার পূর্ব কাঁঠালিয়া গ্রামের এবং সুমন ইসলাম সাধুর মোড় গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা করা ওই বাস গতকাল নাটোরের বড়াইগ্রামে পৌঁছালে চার যাত্রী বাসটি আটক করে পুলিশে খবর দেন। এরপর নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ এসে ওই তিনজনকে আটক করে। এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডাকাতি ও ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল টাঙ্গাইলে হওয়ায় সেখানে মামলা করতে বলা হয়েছে।
এই বাসের যাত্রী ছিলেন মজনু আকন্দ। তিনি বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়ে যাত্রীবাহী বাসটি। কিছু সময় পর আটজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ চালক, চালকের সহকারী, সুপারভাইজার ও যাত্রীদের জিম্মি করে। এ সময় ৪০-৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে ডাকাতেরা। পরে তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা এলাকার ফাঁকা স্থানে নেমে পালিয়ে যায়।
ওমর আলী নামের আরেক যাত্রী বলেন, ডাকাতির ঘটনায় চালক, চালকের সহকারী, সুপারভাইজার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।
তবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা টাঙ্গাইল জেলার সীমানায় ঘটেনি। আমিসহ চারটি টহল টিম সারা রাত মির্জাপুর সীমানা এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা সকালে জানতে পেরেছি, গাবতলী থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতেরা ডাকাতি শুরু করেছিল চন্দ্রার পর থেকে। ডাকাতেরা চালককে জিম্মি করে বাসটি বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে লুটপাট করে পুনরায় চন্দ্রার কাছাকাছি নন্দন পার্ক এলাকায় এসে থামিয়ে নেমে গেছে।’
আর গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর জেলায় এ ধরনের কোনো ঘটনার অভিযোগ তাঁরা পাননি। একই ধরনের কথা বলেছেন সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সওগাতুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার থানা এলাকায় এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
তবে বাসের যাত্রী মজনু বলেন, ডাকাতি ও ধর্ষণের বিষয়টি মির্জাপুর থানায় জানালে তারা কোনো ভূমিকা নেয়নি। পরে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকার চারজন যাত্রী বাসটি আটক করে থানা-পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার ও গাজীপুর প্রতিনিধি]
আরও খবর পড়ুন:
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
৫ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
৮ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১ ঘণ্টা আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে