Ajker Patrika

তারা মানুষের মধ্যে বিচারব্যবস্থায় অনাস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল: অ্যাটর্নি জেনারেল

নোয়াখালী প্রতিনিধি
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।  ছবি: আজকের পত্রিকা
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘কুলাঙ্গার বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও মানিকেরা বিচারব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি অনাস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে ধরনের বিচারব্যবস্থা উপস্থাপন করেছিল, সে জন্য এরা সবাই আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যোগ্য।’

শনিবার দুপুরে নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির হলরুমে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আমাদের টিম প্রতিনিয়ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে থেকে আপনাদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাবে, এটাই আমাদের প্রত্যয়। আপনারা যে স্বপ্নের বাংলাদেশে এগিয়ে যেতে চান, সেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে আইনজীবীদের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই বিচার বিভাগে লুকিয়ে থাকা সমস্ত দুর্নীতিবাজের তথ্য উদ্‌ঘাটন করতে হবে। সে জজ, পিপি, জিপি বা আপনার কলিগ হোক, যে দুর্নীতি করবে যেখানেই দুর্নীতি করবে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

সভায় উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভায় উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে বলেছিলাম যাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের রক্তের শপথ নিয়ে বলেছি আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করব। গত ১৬ বছরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে গুলি করে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়েছে। ৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত করার কারণে ৬০ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমীর হোসেন বুলবুলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, সদস্যসচিব হারুন অর রশিদ আজাদ ও জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকারসহ অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৫০ সাল নাগাদ ইনফ্লুয়েন্সারদের চেহারা কেমন হবে, ধারণা দিলেন গবেষকেরা

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই, সুবিধা কী

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন না মোদি, কী বার্তা দিচ্ছে দিল্লি

মেডিকেল কলেজ: মানের ঘাটতিতে হবে বন্ধ

রূপপুরের বালিশ-কাণ্ডে এক প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর, অন্যজনের নিম্ন গ্রেডে অবনমন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত