নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার ছাত্রদলের দুই নেতাকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ছাত্রদলের আরও চার নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সিএমএম আদালতে লালবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক শওকত আকবর এ তথ্য জানান।
রিমান্ডে নেওয়া দুজন হলেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান (৩১) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ বিল্লাহ (৩০)।
যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান ওরফে হাসান (৩২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২৯), কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান ছাত্রদলের এই ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে জিসান ও আরিফকে লালবাগ থানায় করা অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তিনি।
একই থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অন্য চার আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষে জিসান ও আরিফের পক্ষে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন ও অপর চারজনের পক্ষে শুধু জামিন আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহসহ কয়েকজন আইনজীবী।
শুনানিতে তাঁরা বলেন, দুই দিন আগে সাদাপোশাকধারীরা এঁদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। গুম করার উদ্দেশ্যে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও দলের পক্ষ থেকে তাঁদের নিখোঁজের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় সেটা আর করতে পারেনি। দুই দিন আগে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ জিসান ও আরিফের পক্ষে রিমান্ডের প্রার্থনা করে এবং বাকিদের জামিনের বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে বিচারক জিসান ও আরিফকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ড ও অপর চারজনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার তাঁদের গ্রেপ্তার দেখায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলায় বাদী হন ডিবি পুলিশের এসআই মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী।
অস্ত্র মামলার এজাহারে বলা হয়, লালবাগের ৩৮/১/এ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে জিসান ও আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় জিসানের কোমর থেকে একটি গুলিসহ লোহার বাঁটযুক্ত একটি পিস্তল এবং তাঁর কাঁধে থাকা ব্যাগ থেকে আট চেম্বারবিশিষ্ট রিভলবার আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তাঁর কাছে থাকা আরেকটি বাক্স থেকে ১৯টি গুলি উদ্ধার করা হয়। অপর আসামি আরিফের কোমরে থাকা আর্ট চেম্বারবিশিষ্ট একটি রিভলবার ও আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, এই আসামিরাসহ ছাত্রদলের অন্য নেতা-কর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় শক্তি প্রদর্শনের জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করছিলেন। এ ছাড়া তাঁরা বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার জন্য একত্র হয়েছিলেন। এ কারণে গ্রেপ্তার ছয়জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
মামলার পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রদলের এসব নেতা-কর্মী বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার এই ছয় ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ডিবি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, ‘সরকার বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই আবারও নতুন করে গুমের মতো মনুষ্যত্বহীন খেলা শুরু করেছে। তাদের (ছাত্রদলের নিখোঁজ ছয় নেতা) পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হলেও বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গোয়েন্দা বিভাগ সেটি স্বীকার করছে না।’
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার ছাত্রদলের দুই নেতাকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ছাত্রদলের আরও চার নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সিএমএম আদালতে লালবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক শওকত আকবর এ তথ্য জানান।
রিমান্ডে নেওয়া দুজন হলেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান (৩১) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ বিল্লাহ (৩০)।
যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান ওরফে হাসান (৩২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২৯), কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান ছাত্রদলের এই ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে জিসান ও আরিফকে লালবাগ থানায় করা অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তিনি।
একই থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অন্য চার আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষে জিসান ও আরিফের পক্ষে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন ও অপর চারজনের পক্ষে শুধু জামিন আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহসহ কয়েকজন আইনজীবী।
শুনানিতে তাঁরা বলেন, দুই দিন আগে সাদাপোশাকধারীরা এঁদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। গুম করার উদ্দেশ্যে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও দলের পক্ষ থেকে তাঁদের নিখোঁজের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় সেটা আর করতে পারেনি। দুই দিন আগে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ জিসান ও আরিফের পক্ষে রিমান্ডের প্রার্থনা করে এবং বাকিদের জামিনের বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে বিচারক জিসান ও আরিফকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ড ও অপর চারজনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার তাঁদের গ্রেপ্তার দেখায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলায় বাদী হন ডিবি পুলিশের এসআই মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী।
অস্ত্র মামলার এজাহারে বলা হয়, লালবাগের ৩৮/১/এ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে জিসান ও আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় জিসানের কোমর থেকে একটি গুলিসহ লোহার বাঁটযুক্ত একটি পিস্তল এবং তাঁর কাঁধে থাকা ব্যাগ থেকে আট চেম্বারবিশিষ্ট রিভলবার আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তাঁর কাছে থাকা আরেকটি বাক্স থেকে ১৯টি গুলি উদ্ধার করা হয়। অপর আসামি আরিফের কোমরে থাকা আর্ট চেম্বারবিশিষ্ট একটি রিভলবার ও আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, এই আসামিরাসহ ছাত্রদলের অন্য নেতা-কর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় শক্তি প্রদর্শনের জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করছিলেন। এ ছাড়া তাঁরা বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার জন্য একত্র হয়েছিলেন। এ কারণে গ্রেপ্তার ছয়জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
মামলার পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রদলের এসব নেতা-কর্মী বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার এই ছয় ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ডিবি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, ‘সরকার বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই আবারও নতুন করে গুমের মতো মনুষ্যত্বহীন খেলা শুরু করেছে। তাদের (ছাত্রদলের নিখোঁজ ছয় নেতা) পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হলেও বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গোয়েন্দা বিভাগ সেটি স্বীকার করছে না।’
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকার নারীসহ সাত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. জয় (২০), খাদিজা (২১), আম্বিয়া (৪০), ফাতেমা (২১), পরিমনি (১৯), নাছরিন (২১) এবং সুমাইয়া (১৯)।
৪ ঘণ্টা আগেরিফাতের বাবা দুলাল শরীফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, জীবিত থাকতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চাই। এত দিন হয়ে গেল, প্রধান আসামির ফাঁসির রায় এখনো কার্যকর করা হয়নি। আমি সরকারের কাছে প্রার্থনা জানাই, দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করার
৪ ঘণ্টা আগেপাহাড় ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হয় নানা নির্দেশনা। সঙ্গে জীবনরক্ষাকারী সামগ্রীর পাশাপাশি রাখতে হয় অভিজ্ঞ গাইড। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে ঘর থেকে বের হওয়ার দায়িত্ব সত্ত্বেও অনেকে তা না মেনেই পরিবার নিয়ে বের হন। এতে তাঁরা নিজেদের বিপদই ডেকে আনছেন, অনেক সময় হারাচ্ছেন প্রাণ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিয়ম ন
৫ ঘণ্টা আগেজানা গেছে, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের জন্য মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি মাদক কারবারিদের কাছে অল্প দামে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে...
৫ ঘণ্টা আগে