মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
‘স্বামী নাই, ছেলে নাই, তিনটি মেয়ে নিয়ে বেঁচে আছি। এখন দুটি মেয়ে আছে সঙ্গে। এভাবে বৃষ্টি হবে কে জানত? হঠাৎ পানি আসবে এটাই বা কে জানত? মধ্যরাতে কেউ একজন এসে বলল, পড়ছে রে পড়ছে, ভাঙা পড়ছে। এমন শব্দ শুনে মেয়েদের নিয়ে বাঁধের ওপরে এসে কোনো রকমে জীবন বাঁচাইছি। শুধু শরীরটা নিয়ে আসছি। কিছুই বের করতে পারিনি। মুহূর্তেই আমার বসতভিটা, ঘর সব ভাঙনের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে।’
কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলছিলেন গোমতীর বাঁধ ভেঙে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া আয়শা বেগম।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা ঘুরে গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধের এক অংশে অবস্থান নেওয়া আশ্রয়হীন স্থানীয় মানুষদের দেখা মেলে। তাদের সবার বসতভিটা গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে পানির স্রোতে তলিয়ে গেছে।
এই মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকেই অনেকে না খেয়ে ছিল। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে দুপুরের দিকে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু শুকনো খাবার, পানি, স্যালাইন, প্যারাসিটামলসহ বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে গেছে।
গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেওয়া কামরুজ্জামান বলেন, প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষ এই বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। অনেক পরিবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে উঠেছে। এখানে যারা আছে, তাদের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে খাবার, পানি ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের দূরের স্বজনেরা রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছেন। কারও কারও স্বজনেরা শুকনো খাবার ও পানি দিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এতে এখনো পর্যন্ত বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে ১ লাখ পরিবার।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার বলেন, ‘বুড়িচংয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। গোমতীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যায় কবলিতদের উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমরা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার বন্যা এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার, খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি সদস্যরা মাঠে নিয়োজিত আছে। উপজেলার বন্যা প্লাবিত এলাকায় দুর্গতের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তাদের গবাদিপশুসহ সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
‘স্বামী নাই, ছেলে নাই, তিনটি মেয়ে নিয়ে বেঁচে আছি। এখন দুটি মেয়ে আছে সঙ্গে। এভাবে বৃষ্টি হবে কে জানত? হঠাৎ পানি আসবে এটাই বা কে জানত? মধ্যরাতে কেউ একজন এসে বলল, পড়ছে রে পড়ছে, ভাঙা পড়ছে। এমন শব্দ শুনে মেয়েদের নিয়ে বাঁধের ওপরে এসে কোনো রকমে জীবন বাঁচাইছি। শুধু শরীরটা নিয়ে আসছি। কিছুই বের করতে পারিনি। মুহূর্তেই আমার বসতভিটা, ঘর সব ভাঙনের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে।’
কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলছিলেন গোমতীর বাঁধ ভেঙে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া আয়শা বেগম।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা ঘুরে গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধের এক অংশে অবস্থান নেওয়া আশ্রয়হীন স্থানীয় মানুষদের দেখা মেলে। তাদের সবার বসতভিটা গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে পানির স্রোতে তলিয়ে গেছে।
এই মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকেই অনেকে না খেয়ে ছিল। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে দুপুরের দিকে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু শুকনো খাবার, পানি, স্যালাইন, প্যারাসিটামলসহ বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে গেছে।
গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেওয়া কামরুজ্জামান বলেন, প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষ এই বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। অনেক পরিবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে উঠেছে। এখানে যারা আছে, তাদের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে খাবার, পানি ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের দূরের স্বজনেরা রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছেন। কারও কারও স্বজনেরা শুকনো খাবার ও পানি দিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এতে এখনো পর্যন্ত বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে ১ লাখ পরিবার।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার বলেন, ‘বুড়িচংয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। গোমতীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যায় কবলিতদের উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমরা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার বন্যা এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার, খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি সদস্যরা মাঠে নিয়োজিত আছে। উপজেলার বন্যা প্লাবিত এলাকায় দুর্গতের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তাদের গবাদিপশুসহ সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য না পেয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন কার্ডধারীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর পৌরসভার পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁরা যশোর-চুকনগর সড়ক অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে যাত্রীবাহী বাসসহ অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রী ও চালকেরা
১০ মিনিট আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেভারী বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে সদর বাজারসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পানির তীব্র স্রোতে নদীর তীরবর্তী অন্তত পাঁচটি ঘর ভেঙে গেছে। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন নদীর পাড়ের মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় দাদার বাড়িতে ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছিল ৯ বছরের শিশু নূর কাদের মোল্লা। পুকুরে গোসল করতে নেমে একপর্যায়ে ডুবে যাচ্ছিল শিশুটি। বিষয়টি দেখতে পেয়ে নাতিকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দেন শাহজাহান মোল্লা (৮০)। কিন্তু দুজনের কেউ বেঁচে ফিরতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগে