Ajker Patrika

কুমিল্লা-১১: গুরুর বিরুদ্ধে লড়ছেন শিষ্য

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪: ৪১
কুমিল্লা-১১: গুরুর বিরুদ্ধে লড়ছেন শিষ্য

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েক দিন। ইতিমধ্যে জমে উঠছে কুমিল্লা-১১ আসনের নির্বাচনী প্রচারণা। তবে আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুজিবুল হক মুজিব এবং তাঁরই একসময়ের শিষ্য চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার দুবারের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র)। প্রতীক পাওয়ার পরই গুরু-শিষ্য দুজনেই জোরেশোরে নেমে পড়েছেন প্রচারণায়। বলাই চলে, তাঁদের লড়াইটা বেশ হাড্ডা-হাড্ডি হতে চলেছে। 

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-১১ আসন। গুরুত্বপূর্ণ এই আসন টানা দুই মেয়াদে ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। মুজিবুল হক মুজিব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এবারও তিনি আসবেন, নাকি নতুন কেউ এই কান্ডারি হবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। এ আসনে মনোনয়ন বৈধ হওয়া আরও পাঁচ প্রার্থী—জাতীয় পার্টির মোস্তফা কামাল, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি খোরশেদ আলম, গণফোরামের আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, বিএনএফের জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র মো. নিজাম উদ্দিন। 

মুজিবুল হক মুজিব ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত অষ্টমবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম নির্বাচনে জয়লাভ করেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ হয়েছেন। ২০১২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন তিনি। ২০১৮ সালের মন্ত্রী সভাতেও তিনি একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মুজিবুল হককে বলা হয় রাজনীতির গুরু। শুধু চৌদ্দগ্রাম নয়, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলায় বর্তমানে যাঁরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই তাঁর শিষ্য। 

মুজিবুল হক গতকাল সোমবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকায় নির্বাচনীয় সভার মাধ্যমে তাঁর প্রচারণা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আর মিজানুর রহমান ফুলকপি প্রতীক নিয়ে সন্ধ্যায় কাশিনগর ইউনিয়নে গণসংযোগের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। সন্ধ্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তমালিকা পালের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

গতকাল বিকেলে নির্বাচনী জনসভায় গুরু মুজিবুল হক নাম উচ্চারণ না করেই মিজানুর রহমানের উদ্দেশে করে বলেন, ‘যারা এই আসনে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে, তারা আমার সঙ্গে বেয়াদবি করছে। তারা হয়তো জানে না ওস্তাদ কী করতে পারে। আমি আমার সাগরেদকে সবকিছু শেখালেও শেষ পন্থা শিখাই নাই। তাদের এ বেয়াদবির জবাব আগামী ৭ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।’ 

মুজিবুল হকের বক্তব্যে মিজানুর রহমান পাল্টা জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কেউ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। এ ছাড়াও নির্বাচনকে অর্থবহ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্রদের নির্বাচনে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে আমি বেয়াদবির কিছুই দেখছি না।’ 

এদিকে গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে চৌদ্দগ্রামের মানুষ। কথা হয়, জানে আলম তরুণ এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে ভোটার হয়েছি। প্রথম ভোটার হয়ে ভোট দিতে পারি নাই। প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা অনুযায়ী আশা করি এবার কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারব।’ 

গুরু-শিষ্যের লড়াই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একসময় মেয়র মিজানুর রহমান মুজিবুল হকের কর্মী ছিলেন। আজকে তাঁরা একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আশা করি একটি উৎসবমুখর নির্বাচন এই আসনে অনুষ্ঠিত হবে।’ 

সাঈদুর রহমান নামে আরেক তরুণ বলেন, চৌদ্দগ্রামে একটি জমজমাট নির্বাচন হবে। কারণ, নির্বাচনে রয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও রাজনীতিতে গুরুখ্যাত মুজিবুল হক। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরই শিষ্য মিজানুর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

খুলনা প্রতিনিধি
বোমাসদৃশ বস্তু। ছবি: সংগৃহীত
বোমাসদৃশ বস্তু। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার তেরখাদা উপজেলা থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া একই উপজেলার মধুপুরে একটি বাড়ির সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তেরখাদা সদর ইউনিয়নের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুর রউফ ফকিরের বাড়িতে তিনটি লাল কৌটা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় ওয়ালিদ নামের এক ব্যক্তি।

তিনি প্রতিদিনের মতো কোচিং করানোর উদ্দেশ্যে সকাল সোয়া ৬টার দিকে বাড়ির পাশে পৌঁছালে ঘরের সানসেটের ওপর লাল রঙের কৌটা দেখতে পান, যা বোমাসদৃশ মনে হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দিলে তেরখাদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করে।

এর কিছুক্ষণ পর উপজেলার বাইপাস সড়কের পাশে কচুগাছের নিচে আরও একটি লাল কৌটা দেখতে পান এক পথচারী নারী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কৌটাটি উদ্ধার করে। একই দিনে তেরখাদা নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ‘ঢাকা লকডাউন’ শিরোনামে কিছু লিফলেটও টানিয়ে যায়।

অপর দিকে বুধবার রাতে তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পারহাজিগ্রাম কাটাশিয়া বাজার এলাকায় ইউপি সদস্য বেল্লাল মোল্লার বাড়ির প্রবেশপথে তিন দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে এলে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরও বিকট শব্দে আরও দুটি বিস্ফোরণ হয়।

এ ব্যাপারে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, উদ্ধার করা বস্তুগুলো বালতিতে ভিজিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হচ্ছে এবং ঘটনাটির উৎস ও উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতীবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে কফর উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়খাতা রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কফর উদ্দিন বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম মৃত আবুল হোসেন।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কফর উদ্দিন বড়খাতা বাজার রেলগেট পথ হয়ে হেঁটে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা ৬৬ নম্বর ডাউন কমিউটার দিনাজপুরের পার্বতীপুরগামী ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কফর উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বড়খাতা বাজার ও আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। স্টেশনের পাশে মাঝেমধ্যে রাতে থাকতেন। পরিবারের লোকজনেরা তাঁর চিকিৎসা করেও সুস্থ করতে পারেননি। তাঁকে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করলেও তিনি বাড়িতে থাকতেন না।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, লালমনিরহাট থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের (বিআইআরসি) শহীদ কর্নেল নকীব হলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সম্মেলনে সেনাপ্রধান রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও দেশমাতৃকার সেবায় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সে সঙ্গে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের অধিনায়কদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেনাপ্রধান এ রেজিমেন্টের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্টডক; কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার; জিওসি ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া এরিয়া; সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও রাজশাহী স্টেশনে কর্মরত সব কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের সব ইউনিটের অধিনায়কেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সেনাপ্রধান বিআইআরসি সম্মেলনকক্ষে পৌঁছালে তাঁকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক); কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার; জিওসি, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার এবং বগুড়া এরিয়া অভ্যর্থনা জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল, আওয়ামী লীগের ২০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
নগরীর নতুন বাজার এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
নগরীর নতুন বাজার এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে ফ‍্যাসিস্ট প্রতিহতের ডাক দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর নতুন বাজার এলাকায় ফ‍্যাসিস্টবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে মহানগর বিএনপি। এদিকে নাশকতার চেষ্টা ও পরিকল্পনার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ জেলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ আজ দুপুরে দলীয় বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী এতে অংশ নেন। নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেল মহড়া দিতেও দেখা গেছে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, পলাতক ফ‍্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তথাকথিত লকডাউনের নামে দেশে অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা চোরাগোপ্তা হামলায় যানবাহনে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আর বরদাশত করা হবে না। রাজপথে তাদের কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে।

জেলায় ২০ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার:

সিটি করপোরেশনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম এসব তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ২৭টি স্পটে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এ ছাড়া নগরীসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় পর্যন্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে এখন পযর্ন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে গত রাতে জেলার দু-একটি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মিছিলের চেষ্টা করলেও পুলিশের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত