লোকমান হাকিম, মহেশখালী (কক্সবাজার)

মহেশখালীর মাতারবাড়ির সংস্কার করা বেড়িবাঁধের জিওব্যাগ জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে। বাঁধের ১০টি অংশে এরই মধ্যে ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই। যেটুকু আছে সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে ফাটল।
এ দৃশ্য মহেশখালীর মাতারবাড়ি পশ্চিমে সাগর ঘেঁষা ষাইটপাড়ার সংস্কারকৃত বেড়িবাঁধের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন দেখছে না। এ যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ পানিতেই ভেসে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ষাইটপাড়ার বাঁধ ভেঙে বিগত কয়েক বছরে প্রায় শতাধিক পরিবার বসতি হারিয়ে ফেলেন। অনেকে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকের ঠাঁই হয়েছে আত্মীয়ের বাসায়। অপরদিকে সংস্কার কাজ শেষ না হতেই পুনরায় বাঁধ ভেঙে পড়ায় মাতারবাড়ির মানুষের মনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ির ষাইটপাড়া সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পাউবো। ৮০০ মিটার এ বাঁধ সংস্কারের জন্য ৮ প্যাকেজের মাধ্যমে এলাকা নির্ধারণ করে ঠিকাদারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসন্ন জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারকৃত ৮০০ মিটারের বাঁধের এক ঠিকাদারের কাজের সঙ্গে অন্য ঠিকাদারের কাজে মিল নেই। আঁকাবাঁকা বাঁধ নির্মাণ, কোনো কোনো অংশে মাটি নেই, জিওব্যাগে ফাটল সৃষ্টিসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ার মত। শর্ত অনুয়ায়ী, বাঁধের প্রস্থ ১০ মিটার হওয়ার কথা থাকলেও ৮-৯ মিটার কাজ করেই ১০ মিটার বলে চালিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া ৯ মিটার বাঁধে কোনো জিওব্যাগ বসানো হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সংশ্লিষ্টরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে গেল বছরের মতো প্লাবিত হতে পারে পুরো মাতারবাড়ি। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন এলাকার বাসিন্দারা।
বাঁধে বসবাসকারী আবদুল মালেক নামের এক জেলে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নকশা অনুয়ায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে না। বাঁধের বিভিন্ন অংশে মাটি দিয়েছে কম। পাশাপাশি বসতভিটা থেকে মাটি নেওয়ায় বর্ষায় ওই এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।
নজরুল ইসলাম নামে একজন জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। প্রতিনিয়ত আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে চললে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মাতারবাড়ির মানুষ।
পারভীন আক্তার জানান, এখনো বর্ষা আসেনি। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমরা এ বাঁধে বসত করি। অন্যত্রে যাওয়ার জায়গা নেই। তিন সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মুজাম্মেল হক জানান, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করেছে। এ কারণে আবারও ধসে পড়েছে। এতে আমাদের শঙ্কা কাটছে না।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্যসচিব এইচএম নজরুল ইসলাম জানান, সারা বছরই দেখি উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ আর সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু বর্ষা এলেই জোয়ারে বাঁধগুলো বিলীন হয়ে যায়। এটা উপকূলের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। যেসব ঠিকাদার এসব অনিয়মে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম আবু হায়দার জানান, সংস্কার করা বেড়িবাঁধ টেকসই হওয়া দরকার। না হলে মাতারবাড়িকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, মাতারবাড়িতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য নকশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের রক্ষায় বর্তমানে জিওব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। পানির স্রোতে যেসব অংশ ভেঙে গেছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।

মহেশখালীর মাতারবাড়ির সংস্কার করা বেড়িবাঁধের জিওব্যাগ জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে। বাঁধের ১০টি অংশে এরই মধ্যে ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই। যেটুকু আছে সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে ফাটল।
এ দৃশ্য মহেশখালীর মাতারবাড়ি পশ্চিমে সাগর ঘেঁষা ষাইটপাড়ার সংস্কারকৃত বেড়িবাঁধের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন দেখছে না। এ যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ পানিতেই ভেসে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ষাইটপাড়ার বাঁধ ভেঙে বিগত কয়েক বছরে প্রায় শতাধিক পরিবার বসতি হারিয়ে ফেলেন। অনেকে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকের ঠাঁই হয়েছে আত্মীয়ের বাসায়। অপরদিকে সংস্কার কাজ শেষ না হতেই পুনরায় বাঁধ ভেঙে পড়ায় মাতারবাড়ির মানুষের মনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ির ষাইটপাড়া সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পাউবো। ৮০০ মিটার এ বাঁধ সংস্কারের জন্য ৮ প্যাকেজের মাধ্যমে এলাকা নির্ধারণ করে ঠিকাদারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসন্ন জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারকৃত ৮০০ মিটারের বাঁধের এক ঠিকাদারের কাজের সঙ্গে অন্য ঠিকাদারের কাজে মিল নেই। আঁকাবাঁকা বাঁধ নির্মাণ, কোনো কোনো অংশে মাটি নেই, জিওব্যাগে ফাটল সৃষ্টিসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ার মত। শর্ত অনুয়ায়ী, বাঁধের প্রস্থ ১০ মিটার হওয়ার কথা থাকলেও ৮-৯ মিটার কাজ করেই ১০ মিটার বলে চালিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া ৯ মিটার বাঁধে কোনো জিওব্যাগ বসানো হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সংশ্লিষ্টরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে গেল বছরের মতো প্লাবিত হতে পারে পুরো মাতারবাড়ি। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন এলাকার বাসিন্দারা।
বাঁধে বসবাসকারী আবদুল মালেক নামের এক জেলে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নকশা অনুয়ায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে না। বাঁধের বিভিন্ন অংশে মাটি দিয়েছে কম। পাশাপাশি বসতভিটা থেকে মাটি নেওয়ায় বর্ষায় ওই এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।
নজরুল ইসলাম নামে একজন জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। প্রতিনিয়ত আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে চললে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মাতারবাড়ির মানুষ।
পারভীন আক্তার জানান, এখনো বর্ষা আসেনি। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমরা এ বাঁধে বসত করি। অন্যত্রে যাওয়ার জায়গা নেই। তিন সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মুজাম্মেল হক জানান, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করেছে। এ কারণে আবারও ধসে পড়েছে। এতে আমাদের শঙ্কা কাটছে না।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্যসচিব এইচএম নজরুল ইসলাম জানান, সারা বছরই দেখি উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ আর সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু বর্ষা এলেই জোয়ারে বাঁধগুলো বিলীন হয়ে যায়। এটা উপকূলের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। যেসব ঠিকাদার এসব অনিয়মে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম আবু হায়দার জানান, সংস্কার করা বেড়িবাঁধ টেকসই হওয়া দরকার। না হলে মাতারবাড়িকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, মাতারবাড়িতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য নকশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের রক্ষায় বর্তমানে জিওব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। পানির স্রোতে যেসব অংশ ভেঙে গেছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
লোকমান হাকিম, মহেশখালী (কক্সবাজার)

মহেশখালীর মাতারবাড়ির সংস্কার করা বেড়িবাঁধের জিওব্যাগ জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে। বাঁধের ১০টি অংশে এরই মধ্যে ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই। যেটুকু আছে সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে ফাটল।
এ দৃশ্য মহেশখালীর মাতারবাড়ি পশ্চিমে সাগর ঘেঁষা ষাইটপাড়ার সংস্কারকৃত বেড়িবাঁধের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন দেখছে না। এ যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ পানিতেই ভেসে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ষাইটপাড়ার বাঁধ ভেঙে বিগত কয়েক বছরে প্রায় শতাধিক পরিবার বসতি হারিয়ে ফেলেন। অনেকে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকের ঠাঁই হয়েছে আত্মীয়ের বাসায়। অপরদিকে সংস্কার কাজ শেষ না হতেই পুনরায় বাঁধ ভেঙে পড়ায় মাতারবাড়ির মানুষের মনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ির ষাইটপাড়া সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পাউবো। ৮০০ মিটার এ বাঁধ সংস্কারের জন্য ৮ প্যাকেজের মাধ্যমে এলাকা নির্ধারণ করে ঠিকাদারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসন্ন জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারকৃত ৮০০ মিটারের বাঁধের এক ঠিকাদারের কাজের সঙ্গে অন্য ঠিকাদারের কাজে মিল নেই। আঁকাবাঁকা বাঁধ নির্মাণ, কোনো কোনো অংশে মাটি নেই, জিওব্যাগে ফাটল সৃষ্টিসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ার মত। শর্ত অনুয়ায়ী, বাঁধের প্রস্থ ১০ মিটার হওয়ার কথা থাকলেও ৮-৯ মিটার কাজ করেই ১০ মিটার বলে চালিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া ৯ মিটার বাঁধে কোনো জিওব্যাগ বসানো হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সংশ্লিষ্টরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে গেল বছরের মতো প্লাবিত হতে পারে পুরো মাতারবাড়ি। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন এলাকার বাসিন্দারা।
বাঁধে বসবাসকারী আবদুল মালেক নামের এক জেলে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নকশা অনুয়ায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে না। বাঁধের বিভিন্ন অংশে মাটি দিয়েছে কম। পাশাপাশি বসতভিটা থেকে মাটি নেওয়ায় বর্ষায় ওই এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।
নজরুল ইসলাম নামে একজন জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। প্রতিনিয়ত আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে চললে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মাতারবাড়ির মানুষ।
পারভীন আক্তার জানান, এখনো বর্ষা আসেনি। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমরা এ বাঁধে বসত করি। অন্যত্রে যাওয়ার জায়গা নেই। তিন সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মুজাম্মেল হক জানান, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করেছে। এ কারণে আবারও ধসে পড়েছে। এতে আমাদের শঙ্কা কাটছে না।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্যসচিব এইচএম নজরুল ইসলাম জানান, সারা বছরই দেখি উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ আর সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু বর্ষা এলেই জোয়ারে বাঁধগুলো বিলীন হয়ে যায়। এটা উপকূলের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। যেসব ঠিকাদার এসব অনিয়মে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম আবু হায়দার জানান, সংস্কার করা বেড়িবাঁধ টেকসই হওয়া দরকার। না হলে মাতারবাড়িকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, মাতারবাড়িতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য নকশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের রক্ষায় বর্তমানে জিওব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। পানির স্রোতে যেসব অংশ ভেঙে গেছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।

মহেশখালীর মাতারবাড়ির সংস্কার করা বেড়িবাঁধের জিওব্যাগ জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে। বাঁধের ১০টি অংশে এরই মধ্যে ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই। যেটুকু আছে সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে ফাটল।
এ দৃশ্য মহেশখালীর মাতারবাড়ি পশ্চিমে সাগর ঘেঁষা ষাইটপাড়ার সংস্কারকৃত বেড়িবাঁধের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন দেখছে না। এ যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ পানিতেই ভেসে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ষাইটপাড়ার বাঁধ ভেঙে বিগত কয়েক বছরে প্রায় শতাধিক পরিবার বসতি হারিয়ে ফেলেন। অনেকে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকের ঠাঁই হয়েছে আত্মীয়ের বাসায়। অপরদিকে সংস্কার কাজ শেষ না হতেই পুনরায় বাঁধ ভেঙে পড়ায় মাতারবাড়ির মানুষের মনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ির ষাইটপাড়া সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পাউবো। ৮০০ মিটার এ বাঁধ সংস্কারের জন্য ৮ প্যাকেজের মাধ্যমে এলাকা নির্ধারণ করে ঠিকাদারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসন্ন জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারকৃত ৮০০ মিটারের বাঁধের এক ঠিকাদারের কাজের সঙ্গে অন্য ঠিকাদারের কাজে মিল নেই। আঁকাবাঁকা বাঁধ নির্মাণ, কোনো কোনো অংশে মাটি নেই, জিওব্যাগে ফাটল সৃষ্টিসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ার মত। শর্ত অনুয়ায়ী, বাঁধের প্রস্থ ১০ মিটার হওয়ার কথা থাকলেও ৮-৯ মিটার কাজ করেই ১০ মিটার বলে চালিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া ৯ মিটার বাঁধে কোনো জিওব্যাগ বসানো হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সংশ্লিষ্টরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে গেল বছরের মতো প্লাবিত হতে পারে পুরো মাতারবাড়ি। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন এলাকার বাসিন্দারা।
বাঁধে বসবাসকারী আবদুল মালেক নামের এক জেলে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নকশা অনুয়ায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে না। বাঁধের বিভিন্ন অংশে মাটি দিয়েছে কম। পাশাপাশি বসতভিটা থেকে মাটি নেওয়ায় বর্ষায় ওই এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।
নজরুল ইসলাম নামে একজন জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। প্রতিনিয়ত আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে চললে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মাতারবাড়ির মানুষ।
পারভীন আক্তার জানান, এখনো বর্ষা আসেনি। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমরা এ বাঁধে বসত করি। অন্যত্রে যাওয়ার জায়গা নেই। তিন সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মুজাম্মেল হক জানান, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করেছে। এ কারণে আবারও ধসে পড়েছে। এতে আমাদের শঙ্কা কাটছে না।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্যসচিব এইচএম নজরুল ইসলাম জানান, সারা বছরই দেখি উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ আর সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু বর্ষা এলেই জোয়ারে বাঁধগুলো বিলীন হয়ে যায়। এটা উপকূলের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। যেসব ঠিকাদার এসব অনিয়মে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম আবু হায়দার জানান, সংস্কার করা বেড়িবাঁধ টেকসই হওয়া দরকার। না হলে মাতারবাড়িকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, মাতারবাড়িতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য নকশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের রক্ষায় বর্তমানে জিওব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। পানির স্রোতে যেসব অংশ ভেঙে গেছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
৩২ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
৩২ মিনিট আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।
৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।
বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’
অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।
৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।
বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’
অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে জিওব্যাগ। কোনো কোনো অংশ ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই।
২৩ মে ২০২২
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
৩২ মিনিট আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।
সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’
সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।
সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।
সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’
সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।
সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে জিওব্যাগ। কোনো কোনো অংশ ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই।
২৩ মে ২০২২
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
৩২ মিনিট আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেশ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে জিওব্যাগ। কোনো কোনো অংশ ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই।
২৩ মে ২০২২
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
৩২ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
৩২ মিনিট আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’
মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।
নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।
রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’
মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।
নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।
রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে জিওব্যাগ। কোনো কোনো অংশ ধসে বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। নির্দিষ্ট ১০ মিটারের স্থলে ৮-৯ মিটারেই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাও আঁকাবাঁকা। তার ওপর সংস্কারকৃত বাঁধের কোনো কোনো অংশে মাটি নেই।
২৩ মে ২০২২
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
৩২ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
৩২ মিনিট আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে