Ajker Patrika

মনোনয়নপত্র বাতিল নিয়ে যা বললেন কক্সবাজার-১ আসনের আ.লীগের সালাহ উদ্দীন

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪: ৪৬
মনোনয়নপত্র বাতিল নিয়ে যা বললেন কক্সবাজার-১ আসনের আ.লীগের সালাহ উদ্দীন

ঋণখেলাপের অভিযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দীন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরান প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা দেন। সালাহ উদ্দীন আহমদ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। 

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে সালাহ উদ্দীন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করব। গত ২৭ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত আমাকে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এখন আমি আর ঋণখেলাপির তালিকায় নেই।’ 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফিস প্রিজারভার্স লিমিটেডের নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটির নামে জামিনদাতা হিসেবে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের লালদীঘি পূর্ব করপোরেট শাখাসহ দুটি ব্যাংকে তাঁর ঋণ রয়েছে। ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তাঁরা আপিল করতে পারবেন।’ 

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমসহ ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাইয়ে শেষে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দীন আহমদ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দীন আরমান, শফিকুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী ও শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াছের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 

মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ সালাহ উদ্দীন মাহমুদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন , স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তাঁর ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ নিয়ে মর্গে পাঠাল পুলিশ, পালিয়েছেন স্বামী-শ্বশুর

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালের মুলাদীতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লাশ দাফনের কাজ শুরু করেন স্বামী ও তাঁর লোকজন। কিন্তু মরদেহ গোসল করানোর সময় গলায় কালো দাগ দেখার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। জানাজার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত গৃহবধূ হলেন নাসরিন আক্তার (৩০)। তিনি পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামের দুলাল ব্যাপারীর স্ত্রী এবং উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা গ্রামের আবুল হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে।

পুলিশ জানায়, গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথমে দাবি করেছেন, গতকাল রোববার রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে নাসরিন মারা গেছেন। পরে তাঁরা দাবি করেন, নাসরিন আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে নাসরিনের বাবা আবুল হোসেন ভূঁইয়ার দাবি, তাঁর মেয়েকে হত্যা করে হৃদ্‌রোগে মৃত্যুর কথা বলে লাশ দাফনের চেষ্টা করছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুব হোসেন জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রামে গৃহবধূ নাসরিন আক্তারের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু লাশ গোসলের সময় গলায় কালো দাগ দেখে স্থানীয় নারীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানাজাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় নাসরিনের স্বামী কিংবা শ্বশুর কাউকে পাওয়া যায়নি।

নাসরিনের বাবা আবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, গতকাল রাত ১২টার পরে নাসরিনের শ্বশুর কাসেম ব্যাপারী তাঁদের মোবাইল ফোনে জানান, নাসরিন হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। রাতেই জামাতার বাড়ি গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান তিনি। আজ বেলা ১১টার দিকে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। ১১টার দিকে পুলিশ পৌঁছালে নাসরিনের শাশুড়ি জানান, নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাতে হৃদ্‌রোগের সংবাদ এবং পুলিশ দেখে আত্মহত্যার কথা বলায় সন্দেহ দেখা দেয় তাঁর। আবুল হোসেন ভূঁইয়ার দাবি, নাসরিনকে হত্যা করে ভিন্ন কথা বলে লাশ দাফনের চেষ্টা করা হয়েছিল।

নাসরিনের শাশুড়ি আমেনা বেগম জানান, তাঁর ছেলে দুলালের সঙ্গে ঝগড়া করে রাতে নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। থানা-পুলিশের ঝামেলা এড়াতে বিষয়টি গোপন করে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কথা সবাইকে জানানো হয়েছিল।

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ গোপন করে লাশ দাফনের চেষ্টা করেছিলেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট থেকে নিখোঁজ ৪ শিশু ঢাকায় খাবার হোটেলে কাজ করছিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি

‎সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুকে রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে রেলওয়ে কলোনির একটি খাবার হোটেল থেকে এদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

‎শাহজাহানপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার অধিযাচনপত্রের (রিকুইজিশন) ভিত্তিতে শাহজাহানপুর থানার একটি দল গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রেলওয়ে কলোনির একটি হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই হোটেল থেকে চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

‎পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শিশুরা জানিয়েছে তারা সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এসে পথ হারিয়ে ফেলে। এরপর ছয় দিন ধরে বিভিন্ন হোটেলে বয়ের কাজ করছিল।

‎উদ্ধারের পর শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া ইমরান আহমদ (৩০) জকিগঞ্জ উপজেলার নিদনপুর গ্রামের খছরুজ্জামানের ছেলে।

র‍্যাব-৯ জানায়, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার বারহাল এহিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী গত ২৬ জুলাই সকালে জকিগঞ্জ থানাধীন ফারুক মিয়ার পরিত্যক্ত আদিম ব্রিকস ফিল্ডে ঘুরতে যাওয়ার পর আসামিরা গোপনে ভিকটিম এবং তার বন্ধুর ছবি তোলে। আসামিরা ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে বলে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায় এবং অনৈতিক প্রস্তাব করে। ভিকটিম তাতে রাজি না হলে আসামিরা তাকে ও তার বন্ধুকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ব্রিকস ফিল্ডের ভেতরে নিয়ে যায়। ভিকটিমের বন্ধু তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখায় এবং তাকে আটকে রাখে।

পরবর্তী সময়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমকে ওই বিষয়টি কাউকে বা পুলিশকে না জানানোর জন্য হত্যার হুমকি দেয়।

বিষয়টি ভিকটিম ভয়ে কাউকে জানায়নি। কিন্তু পরে অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের লোকজনকে জানানোর পর ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে।

পরবর্তী সময়ে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর আগে এই মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি শাকের আহমদকে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ আরও জানান, পরবর্তী আইনিব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‍্যাব-৯-এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্ত থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সেক্টরের সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, সোমবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত পৃথক অভিযানে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর ও ব্রাহ্মণপাড়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় সীমান্তঘেঁষা এলাকা থেকে ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে এবং ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় খাদ্যসামগ্রী।

লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ পণ্য পাচার প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জব্দ করা পণ্যগুলো আইনিপ্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত