চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় দুই ডাকাত দলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক পক্ষের গুলিতে অপর পক্ষের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর সরকারি আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত ৫০-৫৫টি গুলি বিনিময় হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম শেকাব উদ্দিন (৩৮)। তিনি উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মনজুর আলম মনজুর বলির ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়ার উপকূলীয় চিংড়ি এস্টেটে আধিপত্য বিস্তার, ঘের দখল ও চাঁদা তোলা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই ডাকাত দলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। রামপুর মৌজার ২২ একরবিশিষ্ট একটি চিংড়িঘের নিয়ে আজিজুল হাকিম সোনা মিয়া মেম্বারের সঙ্গে রুহুল আমিনের বিরোধ চলছিল। রুহুল আমিনের পক্ষ নেন শেকাব উদ্দিন।
গতকাল রাতে শেকাব উদ্দিন, খোকন ও জিয়াবুল রামপুর সরকারি আবাসন প্রকল্প এলাকার একটি টংঘরে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় চিংড়ি জোনের ডাকাত জাহাংগীর, ইউসুফ, সোহেল, শরীফের নেতৃত্বে ১টি গুলি ছুড়ে শেকাবকে ধাওয়া করে। শেকাব দৌড়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়। পরে পানি থেকে তুলে তাঁকে মারধর করে পায়ে গুলি করে। তাঁকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঘের কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে জানান, চিংড়ি জোনে জাহাংগীর, ইউসুফ, সোহেল, বাহাদুর, শরীফ, আব্দু সালাম, জমিরসহ ৩৫-৪০ জনের ডাকাত দলের একটি গ্রুপ আছে। অন্যদিকে নেজাম, সিরাজ, ইলিয়াছ, মিজানসহ ৩০-৩৫ জনের আরেকটি ডাকাত দল রয়েছে। দুই ডাকাত দলের মধ্যে প্রায় সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি চলে আসছে।
রুহুল আমিনের পক্ষ নেওয়ায় শেকাবের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল সোনা মিয়া। ধারণা করছেন, সোনা মিয়ার সঙ্গে ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে জাহাংগীর, ইউসুফ, সোহেল, শরীফের নেতৃত্বে ডাকাত দল এসে তাঁকে গুলি করতে পারে। খোকন ওই ডাকাত দলকে শেকাবের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শেকাব চিংড়ি জোনে ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন।
শেকাবের মা মোহছেনা বেগম হাসপাতালে বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার ছেলেকে সোনা মিয়া মেম্বারের ইন্ধনে হত্যা করেছে। যে ডাকাত দলের লোকজন আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। জাহাংগীর, ইউসুফ, সোহেলের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ডাকাত এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ডাকাত খোকন আমার ছেলের অবস্থান জানিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, চিংড়িঘেরে বিরোধ নিয়ে শেকাব উদ্দিন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, তা তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এ বিষয়ে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শেকাব হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিল, তা তদন্ত করা হচ্ছে। যত দূর জেনেছি, শেকাবের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।’
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় দুই ডাকাত দলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক পক্ষের গুলিতে অপর পক্ষের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর সরকারি আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত ৫০-৫৫টি গুলি বিনিময় হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম শেকাব উদ্দিন (৩৮)। তিনি উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মনজুর আলম মনজুর বলির ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়ার উপকূলীয় চিংড়ি এস্টেটে আধিপত্য বিস্তার, ঘের দখল ও চাঁদা তোলা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই ডাকাত দলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। রামপুর মৌজার ২২ একরবিশিষ্ট একটি চিংড়িঘের নিয়ে আজিজুল হাকিম সোনা মিয়া মেম্বারের সঙ্গে রুহুল আমিনের বিরোধ চলছিল। রুহুল আমিনের পক্ষ নেন শেকাব উদ্দিন।
গতকাল রাতে শেকাব উদ্দিন, খোকন ও জিয়াবুল রামপুর সরকারি আবাসন প্রকল্প এলাকার একটি টংঘরে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় চিংড়ি জোনের ডাকাত জাহাংগীর, ইউসুফ, সোহেল, শরীফের নেতৃত্বে ১টি গুলি ছুড়ে শেকাবকে ধাওয়া করে। শেকাব দৌড়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়। পরে পানি থেকে তুলে তাঁকে মারধর করে পায়ে গুলি করে। তাঁকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঘের কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে জানান, চিংড়ি জোনে জাহাংগীর, ইউসুফ, সোহেল, বাহাদুর, শরীফ, আব্দু সালাম, জমিরসহ ৩৫-৪০ জনের ডাকাত দলের একটি গ্রুপ আছে। অন্যদিকে নেজাম, সিরাজ, ইলিয়াছ, মিজানসহ ৩০-৩৫ জনের আরেকটি ডাকাত দল রয়েছে। দুই ডাকাত দলের মধ্যে প্রায় সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি চলে আসছে।
রুহুল আমিনের পক্ষ নেওয়ায় শেকাবের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল সোনা মিয়া। ধারণা করছেন, সোনা মিয়ার সঙ্গে ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে জাহাংগীর, ইউসুফ, সোহেল, শরীফের নেতৃত্বে ডাকাত দল এসে তাঁকে গুলি করতে পারে। খোকন ওই ডাকাত দলকে শেকাবের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শেকাব চিংড়ি জোনে ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন।
শেকাবের মা মোহছেনা বেগম হাসপাতালে বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার ছেলেকে সোনা মিয়া মেম্বারের ইন্ধনে হত্যা করেছে। যে ডাকাত দলের লোকজন আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। জাহাংগীর, ইউসুফ, সোহেলের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ডাকাত এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ডাকাত খোকন আমার ছেলের অবস্থান জানিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, চিংড়িঘেরে বিরোধ নিয়ে শেকাব উদ্দিন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, তা তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এ বিষয়ে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শেকাব হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিল, তা তদন্ত করা হচ্ছে। যত দূর জেনেছি, শেকাবের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।’
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. শামসুল আজম।
২২ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া সীমান্তে ঘাস কাটতে যাওয়া রবিনাশ নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৯৫-এর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে আশরাফ আলী (৫৫) নামের একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইকবাল
৩৮ মিনিট আগেরাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় হাতে টান পড়লেই হিন্দুপাড়ার বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন স্থানীয় এক তাঁতী দল নেতা। ধরে নিয়ে যেতেন পুকুরের মাছ, হাঁস, গাছের কলার কাঁদি। কেউ বাধা দিতে গেলেই হাঁসুয়া নিয়ে তেড়ে যেতেন। বের করতেন ছোরা। সবশেষ চাঁদা দিতে না চাইলে একজনকে মারধরের পর হিন্দুপাড়ার বাসিন্দারা থানা
৪৪ মিনিট আগে