মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথে আনা হচ্ছে।
টানা ১০ মাস সংঘাতের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও রাখাইনে মাদক উৎপাদন বন্ধ হয়নি। উপরন্তু জল ও স্থলপথে সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অস্ত্র ও রসদ জোগাতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি স্থলপথে মাদক পাচার রোধে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা সাগরপথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশটি থেকে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মাছ ধরার নৌযানে করে দেশের সাগর উপকূল হয়ে ৮০ শতাংশ মাদক ঢুকছে। বিজিবি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাফ নদী ও সাগরে চলাচল করা বাংলাদেশি অসংখ্য নৌযানের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাতায়াতের দৃশ্য দেখতে পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও র্যাবের অভিযানেও সাগর উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। একই পথে রাখাইনে পাচারের সময় খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি জব্দ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
সর্বশেষ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে। আটক ব্যক্তি মিয়ানমারের মংডু শহরের খারাংখালী এলাকার মো. ওমর সিদ্দিক (২৮)।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের কায়ুকখালী ফিশারিঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-ব্লকের বাসিন্দা মো. আনাছ (৪০) ও টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. সাদেক (১৯) আটক হন। একই দিনে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের রাখাইনের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা মো. ছলিমকে (৩০) আটক করে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বলছে, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাখাইনে পাচারের সময় কোস্ট গার্ড টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। মাছ ধরার এই ট্রলারে করে পাচারকারী দল ১০ হাজার কেজি ডাল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংকস পাচার করছিল।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড বিপুল খাদ্যপণ্যভর্তি একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে। এফবি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি-১ নামে এই ট্রলার থেকে ১৫ হাজার কেজি আলু, ৭৫০ কেজি রসুন, ২ হাজার ৫০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ১৪ হাজার ৪০০ পিস কোমল পানীয় (টাইগার-স্পিড), ৬০০টি গ্যাস লাইটার, ৮০০ পিস শেভিং ব্লেড, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি বাইনোকুলার, ১টি কম্পাস ও ৪০০ ফুট কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় পাচারকারী দলের ১১ সদস্যকে।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। কোস্ট গার্ড চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও রামু এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি প্রায় ২ কোটি ৩৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৬ কেজি হেরোইন, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি কোকেন, ৪ কেজি আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এরপর গত ১৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩২ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাগর উপকূল মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের রুট তৈরি হয়েছে। এসব রুটে মাছ ধরার ট্রলারে করে ৮০ শতাংশ মাদক পাচার হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, মাদক ও খাদ্যপণ্য চোরাচালানের ২১-২২ পয়েন্ট রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বাহকদের ধরার পাশাপাশি হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দী কয়েদি ছিল ২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জন মাদক মামলার আসামি বলে জানান জেলার মোহাম্মদ আবু মুছা। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান। সড়কপথে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক চিহ্নিত করতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথে আনা হচ্ছে।
টানা ১০ মাস সংঘাতের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও রাখাইনে মাদক উৎপাদন বন্ধ হয়নি। উপরন্তু জল ও স্থলপথে সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অস্ত্র ও রসদ জোগাতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি স্থলপথে মাদক পাচার রোধে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা সাগরপথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশটি থেকে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মাছ ধরার নৌযানে করে দেশের সাগর উপকূল হয়ে ৮০ শতাংশ মাদক ঢুকছে। বিজিবি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাফ নদী ও সাগরে চলাচল করা বাংলাদেশি অসংখ্য নৌযানের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাতায়াতের দৃশ্য দেখতে পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও র্যাবের অভিযানেও সাগর উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। একই পথে রাখাইনে পাচারের সময় খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি জব্দ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
সর্বশেষ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে। আটক ব্যক্তি মিয়ানমারের মংডু শহরের খারাংখালী এলাকার মো. ওমর সিদ্দিক (২৮)।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের কায়ুকখালী ফিশারিঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-ব্লকের বাসিন্দা মো. আনাছ (৪০) ও টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. সাদেক (১৯) আটক হন। একই দিনে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের রাখাইনের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা মো. ছলিমকে (৩০) আটক করে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বলছে, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাখাইনে পাচারের সময় কোস্ট গার্ড টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। মাছ ধরার এই ট্রলারে করে পাচারকারী দল ১০ হাজার কেজি ডাল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংকস পাচার করছিল।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড বিপুল খাদ্যপণ্যভর্তি একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে। এফবি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি-১ নামে এই ট্রলার থেকে ১৫ হাজার কেজি আলু, ৭৫০ কেজি রসুন, ২ হাজার ৫০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ১৪ হাজার ৪০০ পিস কোমল পানীয় (টাইগার-স্পিড), ৬০০টি গ্যাস লাইটার, ৮০০ পিস শেভিং ব্লেড, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি বাইনোকুলার, ১টি কম্পাস ও ৪০০ ফুট কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় পাচারকারী দলের ১১ সদস্যকে।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। কোস্ট গার্ড চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও রামু এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি প্রায় ২ কোটি ৩৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৬ কেজি হেরোইন, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি কোকেন, ৪ কেজি আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এরপর গত ১৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩২ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাগর উপকূল মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের রুট তৈরি হয়েছে। এসব রুটে মাছ ধরার ট্রলারে করে ৮০ শতাংশ মাদক পাচার হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, মাদক ও খাদ্যপণ্য চোরাচালানের ২১-২২ পয়েন্ট রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বাহকদের ধরার পাশাপাশি হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দী কয়েদি ছিল ২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জন মাদক মামলার আসামি বলে জানান জেলার মোহাম্মদ আবু মুছা। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান। সড়কপথে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক চিহ্নিত করতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথে আনা হচ্ছে।
টানা ১০ মাস সংঘাতের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও রাখাইনে মাদক উৎপাদন বন্ধ হয়নি। উপরন্তু জল ও স্থলপথে সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অস্ত্র ও রসদ জোগাতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি স্থলপথে মাদক পাচার রোধে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা সাগরপথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশটি থেকে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মাছ ধরার নৌযানে করে দেশের সাগর উপকূল হয়ে ৮০ শতাংশ মাদক ঢুকছে। বিজিবি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাফ নদী ও সাগরে চলাচল করা বাংলাদেশি অসংখ্য নৌযানের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাতায়াতের দৃশ্য দেখতে পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও র্যাবের অভিযানেও সাগর উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। একই পথে রাখাইনে পাচারের সময় খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি জব্দ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
সর্বশেষ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে। আটক ব্যক্তি মিয়ানমারের মংডু শহরের খারাংখালী এলাকার মো. ওমর সিদ্দিক (২৮)।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের কায়ুকখালী ফিশারিঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-ব্লকের বাসিন্দা মো. আনাছ (৪০) ও টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. সাদেক (১৯) আটক হন। একই দিনে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের রাখাইনের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা মো. ছলিমকে (৩০) আটক করে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বলছে, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাখাইনে পাচারের সময় কোস্ট গার্ড টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। মাছ ধরার এই ট্রলারে করে পাচারকারী দল ১০ হাজার কেজি ডাল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংকস পাচার করছিল।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড বিপুল খাদ্যপণ্যভর্তি একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে। এফবি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি-১ নামে এই ট্রলার থেকে ১৫ হাজার কেজি আলু, ৭৫০ কেজি রসুন, ২ হাজার ৫০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ১৪ হাজার ৪০০ পিস কোমল পানীয় (টাইগার-স্পিড), ৬০০টি গ্যাস লাইটার, ৮০০ পিস শেভিং ব্লেড, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি বাইনোকুলার, ১টি কম্পাস ও ৪০০ ফুট কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় পাচারকারী দলের ১১ সদস্যকে।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। কোস্ট গার্ড চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও রামু এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি প্রায় ২ কোটি ৩৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৬ কেজি হেরোইন, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি কোকেন, ৪ কেজি আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এরপর গত ১৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩২ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাগর উপকূল মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের রুট তৈরি হয়েছে। এসব রুটে মাছ ধরার ট্রলারে করে ৮০ শতাংশ মাদক পাচার হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, মাদক ও খাদ্যপণ্য চোরাচালানের ২১-২২ পয়েন্ট রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বাহকদের ধরার পাশাপাশি হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দী কয়েদি ছিল ২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জন মাদক মামলার আসামি বলে জানান জেলার মোহাম্মদ আবু মুছা। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান। সড়কপথে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক চিহ্নিত করতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথে আনা হচ্ছে।
টানা ১০ মাস সংঘাতের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও রাখাইনে মাদক উৎপাদন বন্ধ হয়নি। উপরন্তু জল ও স্থলপথে সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অস্ত্র ও রসদ জোগাতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি স্থলপথে মাদক পাচার রোধে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা সাগরপথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশটি থেকে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মাছ ধরার নৌযানে করে দেশের সাগর উপকূল হয়ে ৮০ শতাংশ মাদক ঢুকছে। বিজিবি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাফ নদী ও সাগরে চলাচল করা বাংলাদেশি অসংখ্য নৌযানের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাতায়াতের দৃশ্য দেখতে পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও র্যাবের অভিযানেও সাগর উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। একই পথে রাখাইনে পাচারের সময় খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি জব্দ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
সর্বশেষ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে। আটক ব্যক্তি মিয়ানমারের মংডু শহরের খারাংখালী এলাকার মো. ওমর সিদ্দিক (২৮)।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের কায়ুকখালী ফিশারিঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-ব্লকের বাসিন্দা মো. আনাছ (৪০) ও টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. সাদেক (১৯) আটক হন। একই দিনে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের রাখাইনের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা মো. ছলিমকে (৩০) আটক করে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বলছে, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাখাইনে পাচারের সময় কোস্ট গার্ড টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। মাছ ধরার এই ট্রলারে করে পাচারকারী দল ১০ হাজার কেজি ডাল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংকস পাচার করছিল।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড বিপুল খাদ্যপণ্যভর্তি একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে। এফবি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি-১ নামে এই ট্রলার থেকে ১৫ হাজার কেজি আলু, ৭৫০ কেজি রসুন, ২ হাজার ৫০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ১৪ হাজার ৪০০ পিস কোমল পানীয় (টাইগার-স্পিড), ৬০০টি গ্যাস লাইটার, ৮০০ পিস শেভিং ব্লেড, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি বাইনোকুলার, ১টি কম্পাস ও ৪০০ ফুট কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় পাচারকারী দলের ১১ সদস্যকে।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। কোস্ট গার্ড চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও রামু এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি প্রায় ২ কোটি ৩৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৬ কেজি হেরোইন, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি কোকেন, ৪ কেজি আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এরপর গত ১৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩২ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাগর উপকূল মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের রুট তৈরি হয়েছে। এসব রুটে মাছ ধরার ট্রলারে করে ৮০ শতাংশ মাদক পাচার হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, মাদক ও খাদ্যপণ্য চোরাচালানের ২১-২২ পয়েন্ট রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বাহকদের ধরার পাশাপাশি হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দী কয়েদি ছিল ২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জন মাদক মামলার আসামি বলে জানান জেলার মোহাম্মদ আবু মুছা। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান। সড়কপথে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক চিহ্নিত করতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।

সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।
২ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেসুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে এসব বনজীবী জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
মৎস্যজীবী সমিতির নেতা ও জেলে মহাজনেরা সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে মৌসুমভিত্তিক দুটি ভাসমান হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি বনরক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরও।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন চারটি রেঞ্জ ও সাগর উপকূলে সাধারণত মৌসুমভিত্তিক বনজীবীদের আগমন ঘটে। এর মধ্যে ইলিশ, শুঁটকি, গোলপাতা, মধু ও মোম আহরণ মৌসুম উল্লেখযোগ্য। সুন্দরবন ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শুঁটকি মৌসুম, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ইলিশ, মধু ও মোম মৌসুম এবং বছরের অন্য সময় গোলপাতা আহরণ মৌসুম থাকায় প্রায় বছরজুড়ে জীবিকার টানে ছুটে আসে জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালসহ নানা পেশার লোকজন। এ সময় বিশুদ্ধ পানি ও সুচিকিৎসার অভাবে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তা ছাড়া বাঘ, কুমির, বিষধর সাপসহ বিভিন্ন হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ হয় প্রতিনিয়ত।
সূত্র আরও জানায়, মোংলা থেকে নদীপথে দুবলা জেলেপল্লির দূরত্ব প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল। প্রত্যন্ত এ স্থানে কোনোভাবে আক্রান্ত হলে বনজীবীদের গহিন বন থেকে ট্রলারে করে হাসপাতালে নিতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে। যার কারণে অনেক সময় চিকিৎসার অভাবে বনজীবীদের পথে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
বন বিভাগ সূত্র আরও জানায়, এসব অবহেলিত দরিদ্র শ্রেণির কথা চিন্তা করে ১৯৯৩ সালে আন্তমন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত এক বৈঠকে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় তিনটি মিনি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের কথা বলা হয়। কিন্তু সেটা শুধু আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছরেও এ নিয়ে বন বিভাগ বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা বা কোনো প্রস্তাবনা আসেনি। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন বিভাগ সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করে। কিন্তু ১৫ বছর পার হওয়ার পরও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর জানা যায়নি।
১৯ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদক সুন্দরবনের দুবলার চরে গিয়ে অন্তত ৩০ জেলের সঙ্গে কথা বলেন। মঠবাড়িয়ার সেলিম পাটোয়ারী, পাইকগাছার আলমগীর হোসেন, মোংলার নজরুল ইসলামসহ একাধিক জেলে জানান, মেহের আলীর চর, আলোর কোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, ছাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদেখালী চরে ৫-৬টি ফার্মেসি আছে। তবে কোনো চিকিৎসক নেই। জ্বর বা ডায়রিয়ার ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধও সচরাচর মেলে না। তাঁরা বলেন, ‘এসব জায়গায় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে অথবা হাত-পা কেটে গেলে আল্লাহকে ডাকা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকে না।’
শরণখোলা মৎস্যজীবী ও মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘সারা বছর ইলিশ মৌসুম, শুঁটকি মৌসুম, গোলপাতা মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক বনজীবী সুন্দরবনে আসে। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের চিকিৎসার জন্য সরকার বা বন বিভাগের কোনো ব্যবস্থা নেই। বহু আগে শুনেছিলাম হাসপাতাল হবে। কিন্তু তা যে কবে হবে কেউ তা বলতে পারে না।’
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত সুন্দরবনের বার্ষিক রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে এই অবহেলিত বনজীবীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। যার কারণে তাঁদের স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি বা আদৌ হবে কি না, সংশ্লিষ্টরা সেই বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো কিছু বলতে পারছে না।’
সুন্দরবন রক্ষায় যাঁরা কর্মরত সেসব বনরক্ষীর চিকিৎসার জন্যও একই রকম সমস্যা দেখা যায়। করমজল বন্য প্রাণী ও কুমির প্রজনন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সুন্দরবনে জলে কুমির ডাঙায় বাঘসহ বিষাক্ত সাপ রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। ফলে বন্য প্রাণীর আক্রমণে কেউ আহতে হলে চিকিৎসার জন্য বনরক্ষীদের লোকালয় অথবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। নৌকা বা ট্রলার ছাড়া যাতায়াতের অন্য কোনো মাধ্যম না থাকায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বনের অনেক দূরবর্তী ও দুর্গম স্থান রয়েছে, যেখান থেকে ট্রলারে বা নৌকা করে লোকালয়ে আসতে ১৪-১৫ ঘণ্টা লাগে। সুন্দরবনে যদি রেসকিউ বোট থাকত, তাহলে সবার জন্য খুবই উপকার হতো। একই সঙ্গে ভাসমান হাসপাতাল হলে আমরাও খুবই উপকৃত হতাম।’
এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু বনজীবী নয় সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় যেসব বনরক্ষী কাজ
করেন, তাঁদের চিকিৎসাসেবায়ও হাসপাতালের খুব প্রয়োজন। দুই বছর আগে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবেন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজ করছেন। যদিও সেটি কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নয় এবং বনজীবী ও বনকর্মীদের সংখ্যার তুলনায় সেটা খুবই অপ্রতুল। তবে সুন্দবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের জন্য মৌসুমভিত্তিক দুটি ভাসমান হাসপাতালের ব্যবস্থার জন্য আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকারের অর্থায়নে ২০২৮ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার আশা করছি।’

সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে এসব বনজীবী জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
মৎস্যজীবী সমিতির নেতা ও জেলে মহাজনেরা সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে মৌসুমভিত্তিক দুটি ভাসমান হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি বনরক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরও।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন চারটি রেঞ্জ ও সাগর উপকূলে সাধারণত মৌসুমভিত্তিক বনজীবীদের আগমন ঘটে। এর মধ্যে ইলিশ, শুঁটকি, গোলপাতা, মধু ও মোম আহরণ মৌসুম উল্লেখযোগ্য। সুন্দরবন ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শুঁটকি মৌসুম, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ইলিশ, মধু ও মোম মৌসুম এবং বছরের অন্য সময় গোলপাতা আহরণ মৌসুম থাকায় প্রায় বছরজুড়ে জীবিকার টানে ছুটে আসে জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালসহ নানা পেশার লোকজন। এ সময় বিশুদ্ধ পানি ও সুচিকিৎসার অভাবে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তা ছাড়া বাঘ, কুমির, বিষধর সাপসহ বিভিন্ন হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ হয় প্রতিনিয়ত।
সূত্র আরও জানায়, মোংলা থেকে নদীপথে দুবলা জেলেপল্লির দূরত্ব প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল। প্রত্যন্ত এ স্থানে কোনোভাবে আক্রান্ত হলে বনজীবীদের গহিন বন থেকে ট্রলারে করে হাসপাতালে নিতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে। যার কারণে অনেক সময় চিকিৎসার অভাবে বনজীবীদের পথে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
বন বিভাগ সূত্র আরও জানায়, এসব অবহেলিত দরিদ্র শ্রেণির কথা চিন্তা করে ১৯৯৩ সালে আন্তমন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত এক বৈঠকে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় তিনটি মিনি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের কথা বলা হয়। কিন্তু সেটা শুধু আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছরেও এ নিয়ে বন বিভাগ বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা বা কোনো প্রস্তাবনা আসেনি। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন বিভাগ সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করে। কিন্তু ১৫ বছর পার হওয়ার পরও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর জানা যায়নি।
১৯ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদক সুন্দরবনের দুবলার চরে গিয়ে অন্তত ৩০ জেলের সঙ্গে কথা বলেন। মঠবাড়িয়ার সেলিম পাটোয়ারী, পাইকগাছার আলমগীর হোসেন, মোংলার নজরুল ইসলামসহ একাধিক জেলে জানান, মেহের আলীর চর, আলোর কোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, ছাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদেখালী চরে ৫-৬টি ফার্মেসি আছে। তবে কোনো চিকিৎসক নেই। জ্বর বা ডায়রিয়ার ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধও সচরাচর মেলে না। তাঁরা বলেন, ‘এসব জায়গায় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে অথবা হাত-পা কেটে গেলে আল্লাহকে ডাকা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকে না।’
শরণখোলা মৎস্যজীবী ও মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘সারা বছর ইলিশ মৌসুম, শুঁটকি মৌসুম, গোলপাতা মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক বনজীবী সুন্দরবনে আসে। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের চিকিৎসার জন্য সরকার বা বন বিভাগের কোনো ব্যবস্থা নেই। বহু আগে শুনেছিলাম হাসপাতাল হবে। কিন্তু তা যে কবে হবে কেউ তা বলতে পারে না।’
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত সুন্দরবনের বার্ষিক রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে এই অবহেলিত বনজীবীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। যার কারণে তাঁদের স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি বা আদৌ হবে কি না, সংশ্লিষ্টরা সেই বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো কিছু বলতে পারছে না।’
সুন্দরবন রক্ষায় যাঁরা কর্মরত সেসব বনরক্ষীর চিকিৎসার জন্যও একই রকম সমস্যা দেখা যায়। করমজল বন্য প্রাণী ও কুমির প্রজনন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সুন্দরবনে জলে কুমির ডাঙায় বাঘসহ বিষাক্ত সাপ রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। ফলে বন্য প্রাণীর আক্রমণে কেউ আহতে হলে চিকিৎসার জন্য বনরক্ষীদের লোকালয় অথবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। নৌকা বা ট্রলার ছাড়া যাতায়াতের অন্য কোনো মাধ্যম না থাকায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বনের অনেক দূরবর্তী ও দুর্গম স্থান রয়েছে, যেখান থেকে ট্রলারে বা নৌকা করে লোকালয়ে আসতে ১৪-১৫ ঘণ্টা লাগে। সুন্দরবনে যদি রেসকিউ বোট থাকত, তাহলে সবার জন্য খুবই উপকার হতো। একই সঙ্গে ভাসমান হাসপাতাল হলে আমরাও খুবই উপকৃত হতাম।’
এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু বনজীবী নয় সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় যেসব বনরক্ষী কাজ
করেন, তাঁদের চিকিৎসাসেবায়ও হাসপাতালের খুব প্রয়োজন। দুই বছর আগে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবেন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজ করছেন। যদিও সেটি কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নয় এবং বনজীবী ও বনকর্মীদের সংখ্যার তুলনায় সেটা খুবই অপ্রতুল। তবে সুন্দবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের জন্য মৌসুমভিত্তিক দুটি ভাসমান হাসপাতালের ব্যবস্থার জন্য আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকারের অর্থায়নে ২০২৮ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার আশা করছি।’

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেমো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ)

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে কৃষিজমিতে পানি জমে থাকায় সময়মতো আলু রোপণসহ বিভিন্ন কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে খালগুলোতে পানি জমে থাকলেও তা সঠিকভাবে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জমি দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকে। এতে আলু, শাকসবজি ও অন্যান্য রবিশস্য চাষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সময়মতো রোপণ করতে না পারায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে এবং অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছেন কৃষকেরা। খাল দখল ও দূষণের কারণে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থার অবনতি শুধু পরিবেশগত সংকট নয়, বরং আলু চাষসহ সামগ্রিক কৃষি উৎপাদনেও বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে। দ্রুত সমাধানের আশায় দিন গুনছেন এলাকার কৃষকেরা।
কৃষক মো. বিপ্লব আলম বলেন, ‘আড়িয়ল বিলের অনেক জমি এখনো পানিতে ভেজা রয়েছে। ফলে আলু রোপণ সম্ভব হচ্ছে না।’
টঙ্গিবাড়ী খাল রক্ষা পরিষদের সদস্য মো. অনিক শেখ বলেন, বিভিন্ন স্থানে খালের মুখগুলো মূলত সড়ক নির্মাণ ও অবৈধ দখলের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। এখানে যদি অন্তত স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়, তাহলে পানিনিষ্কাশন অনেকটা সচল হয়ে উঠবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পৃতীশ চন্দ্র পাল বলেন, আড়িয়ল ইউনিয়নে আবাদ অগ্রগতি তুলনামূলকভাবে কম। বিভিন্ন স্থানে খালের মুখ বন্ধ ও দখল হয়ে থাকায় পানিনিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে ওই এলাকায় চাষাবাদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মুন্সিগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া মমতাজকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে কৃষিজমিতে পানি জমে থাকায় সময়মতো আলু রোপণসহ বিভিন্ন কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে খালগুলোতে পানি জমে থাকলেও তা সঠিকভাবে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জমি দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকে। এতে আলু, শাকসবজি ও অন্যান্য রবিশস্য চাষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সময়মতো রোপণ করতে না পারায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে এবং অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছেন কৃষকেরা। খাল দখল ও দূষণের কারণে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থার অবনতি শুধু পরিবেশগত সংকট নয়, বরং আলু চাষসহ সামগ্রিক কৃষি উৎপাদনেও বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে। দ্রুত সমাধানের আশায় দিন গুনছেন এলাকার কৃষকেরা।
কৃষক মো. বিপ্লব আলম বলেন, ‘আড়িয়ল বিলের অনেক জমি এখনো পানিতে ভেজা রয়েছে। ফলে আলু রোপণ সম্ভব হচ্ছে না।’
টঙ্গিবাড়ী খাল রক্ষা পরিষদের সদস্য মো. অনিক শেখ বলেন, বিভিন্ন স্থানে খালের মুখগুলো মূলত সড়ক নির্মাণ ও অবৈধ দখলের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। এখানে যদি অন্তত স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়, তাহলে পানিনিষ্কাশন অনেকটা সচল হয়ে উঠবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পৃতীশ চন্দ্র পাল বলেন, আড়িয়ল ইউনিয়নে আবাদ অগ্রগতি তুলনামূলকভাবে কম। বিভিন্ন স্থানে খালের মুখ বন্ধ ও দখল হয়ে থাকায় পানিনিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে ওই এলাকায় চাষাবাদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মুন্সিগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া মমতাজকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় বিতরণ শুরু হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় বই দরকার ৪১ হাজার ৬৪০ সেট। আর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দরকার ১১ লাখ ১৯ হাজার ২০৪টি বই। এরই মধ্যে চাহিদার সব বই পাওয়া গেছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে বইগুলো স্কুলে স্কুলে পাঠানো শুরু হয়েছে।
এদিকে জেলা শিক্ষা কার্যালয় জানিয়েছে, জেলায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের চাহিদা প্রায় ২২ লাখ ৭ হাজার। সব বই এখনো পাওয়া যায়নি। যেগুলো এসেছে, সেগুলো উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে স্কুলে স্কুলে বিতরণ করা হচ্ছে। বাকি বই আসার পরপরই বিতরণ করা হবে।
গত বুধবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই বিতরণ করতে দেখা যায়। বই সংগ্রহ করতে আসা শিক্ষকেরা জানান, গত শিক্ষাবর্ষে তিন-চার মাস দেরিতে সম্পূর্ণ বই হাতে পাওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়েছিল। এবার শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে সব বই পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় সেগুলো বিতরণ শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট বই পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার প্রাথমিকের বই নিয়ে কোনো সংকট নেই। আমাদের চাহিদার শতভাগ বই আমরা পেয়েছি। এবার বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা হাতে নতুন বই পাবে।’
রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমান বলেন, ‘নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ পাঠ্যবই হাতে পাবে। তবে বই উৎসবের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’

রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় বিতরণ শুরু হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় বই দরকার ৪১ হাজার ৬৪০ সেট। আর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দরকার ১১ লাখ ১৯ হাজার ২০৪টি বই। এরই মধ্যে চাহিদার সব বই পাওয়া গেছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে বইগুলো স্কুলে স্কুলে পাঠানো শুরু হয়েছে।
এদিকে জেলা শিক্ষা কার্যালয় জানিয়েছে, জেলায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের চাহিদা প্রায় ২২ লাখ ৭ হাজার। সব বই এখনো পাওয়া যায়নি। যেগুলো এসেছে, সেগুলো উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে স্কুলে স্কুলে বিতরণ করা হচ্ছে। বাকি বই আসার পরপরই বিতরণ করা হবে।
গত বুধবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই বিতরণ করতে দেখা যায়। বই সংগ্রহ করতে আসা শিক্ষকেরা জানান, গত শিক্ষাবর্ষে তিন-চার মাস দেরিতে সম্পূর্ণ বই হাতে পাওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়েছিল। এবার শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে সব বই পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় সেগুলো বিতরণ শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট বই পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার প্রাথমিকের বই নিয়ে কোনো সংকট নেই। আমাদের চাহিদার শতভাগ বই আমরা পেয়েছি। এবার বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা হাতে নতুন বই পাবে।’
রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমান বলেন, ‘নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ পাঠ্যবই হাতে পাবে। তবে বই উৎসবের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।
২ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।
২ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে