Ajker Patrika

২ মণ গাঁজা নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজনসহ ৭ জন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, ১৯: ২৮
২ মণ গাঁজা নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজনসহ ৭ জন আটক

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দুই মণ গাঁজা উদ্ধার করেছে করেছে র‍্যাব। এ সময় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক নাগরিকসহ সাতজনকে আটক করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের লোহাগাড়া এলাকায় দুটি পিকআপে তল্লাশি করে এ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। 

আটক ব্যক্তিরা হলেন–মোহাম্মদ হোছাইন ওরফে রাকেশ শীল (৩৫), আলী হোসেন খোরশেদ (২৭), আমান উল্লাহ (২৬, ইদ্রিস (৩৮), আব্দুর জব্বার (৩৮), মো. নুরুল কাদের ভুট্টো (২৫) ও মনির উদ্দিন (৩৫)। এদের মধ্যে রাকেশের আদি বাড়ি ভারতের ত্রিপুরায়। বাকিরা চট্টগ্রাম নগরীসহ সাতকানিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা। 

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি পিকআপে করে এসব গাঁজা লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পেয়ে গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি পিকআপের পেছনে ফলের নিচে, আরেকটি পিকআপের চালকের আসনের পেছনে লুকানো অবস্থায় ৭২ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্তরা ফেনী সীমান্ত এলাকা থেকে এসব গাঁজা সংগ্রহের পর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসছিল।’ এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে একটি চেকপোস্ট বসানো হয় বলে জানান তিনি। 

র‍্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাকেশ একজন মাদক সম্রাট। এর আগে তিন বার তার মাদকের চালান আটক করেছিল র‍্যাব-৭। কিন্তু প্রতিবারই তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। র‍্যাবের অভিযানের কারণে এবার রাকেশ নিজেই মাদক ডেলিভারি কাজে সম্পৃক্ত হয়। পরে সোমবারের অভিযানে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়ে সে।’ 

তিনি বলেন, ‘রাকেশ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাঁর আদি নিবাস ভারতের ত্রিপুরায়। সেখানে তাঁর বাবা–মা মারা যাওয়ার পর ১০ বছর বয়সে বাংলাদেশে চলে আসেন। বাংলাদেশে প্রথমে নোয়াখালী ও পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকায় সেলুনে কাজ করে। এরপর বন্দরটিলা এলাকায় গাড়ি চালকের সহযোগীর কাজ নেন। পরে লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন।’ 

মেজর মেহেদী হাসান আরও বলেন, ‘এরপর নাম–পরিচয় পাল্টিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বাংলাদেশে বসবাস করে আসছে। গত ১০ বছর ধরে রাকেশ পরিবার নিয়ে সীতাকুণ্ড থানাধীন জংগল সলিমপুর ইউনিয়নের ছিন্নমূল এলাকায় বসবাস করছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘রাকেশ শীল মূলত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে হোছাইন নামে পরিচয় দিয়ে থাকে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তাঁর ভারতীয় বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠে। তিনি চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে নিজে জনবল নিয়োগ দিয়ে মাদক আখড়া চালু করে। ধীরে ধীরে তাঁর মাদক ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠলে তিনি কক্সবাজারেও গাঁজা ও ফেনসিডিল সরবরাহ শুরু করে। সেখান থেকে ইয়াবার চালান এনে চট্টগ্রামে বিক্রয় শুরু করে।’ 

এদিকে সিডিএমএস পর্যালোচনা করে রাকেশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার বিভিন্ন থানায় তিনটি মাদকের মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ: নবনির্বাচিত ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

মোদিজি—বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই, তবে দিল্লিতে আপনার বোন বসে আছেন: ওয়াইসি

অধ্যক্ষকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেওয়া হলো কলেজ থেকে

হাফ হাতা পোশাক পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি?

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হবে তুরস্ক, চুক্তি স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত