Ajker Patrika

৭ দফা দাবিতে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং পরীক্ষা বর্জন

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
৭ দফা দাবিতে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং পরীক্ষা বর্জন

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ৭ দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া তাঁরা পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দিয়েছেন। আজ রোববার শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেন। 

চুয়েটের আবাসিক হলগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ৷ এ ছাড়া অনেকেই করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় হলে অবস্থান করছেন। এমতাবস্থায় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা রোববারের নির্ধারিত পরীক্ষা বর্জন করেছেন। তা ছাড়া আগামী ১৭,১৮ ও ১৯ জানুয়ারি থেকে যথাক্রমে তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হওয়ার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। সেসব পরীক্ষাও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল-অফলাইন পরীক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া এবং যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত বর্ষের লেভেল ৪ টার্ম ১ এর অবশিষ্ট চারটি পরীক্ষা রিশিডিউল এবং লেভেল ৪ টার্ম ২ এর পরীক্ষাসমূহের শিডিউল ঘোষণা করা। তৃতীয় বর্ষের লেভেল ৩ টার্ম ২, দ্বিতীয় বর্ষের লেভেল ২ টার্ম ২ এবং প্রথম বর্ষের লেভেল ১ টার্ম ২ এর পূর্বের শিডিউলকৃত পরীক্ষার অনলাইনে যথাযথ ডিএলসহ রিশিডিউল করা। তবে ১৭,১৮, ১৯ ব্যাচসমূহের যথাক্রমে ৩-২ টার্ম,২-২ টার্ম,১-২ টার্মের পরীক্ষা গ্রহণ না করেই পরবর্তী টার্মের ক্লাস শুরু করার নির্দেশ না দেওয়া। 

সকল ব্যাচের চলতি লেভেলের টার্ম ফাইনাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে বিভিন্ন বর্ষের শর্ট বা সেলফস্টাডি পরীক্ষা নেওয়া। সকল পরীক্ষার শিডিউল-একাডেমিক ক্যালেন্ডার আকারে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রকাশ করা। অনলাইন পরীক্ষা চলাকালীন যদি কোনো শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে সেই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না চাইলে অপারগ হলে তাঁকে অকৃতকার্য হিসেবে গণ্য না করা। বিদ্যমান করোনা বাস্তবতা বিচারে বিভাগগুলোর এটাচমেন্ট স্বল্পসময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা বা এটাচমেন্টের বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করা। 

অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণে যাদের ডিভাইসের সংকট থাকবে তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে লোনের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এলে শিক্ষার্থীদের পুনরায় আবাসিক হলে ফিরিয়ে এনে গতানুগতিক অফলাইন পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। 

এসব দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম একাডেমিক কাউন্সিল ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন। 

এ সময় সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন উপাচার্য। উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান। 

উল্লেখ্য, চুয়েটে এরই মধ্যে শেখ রাসেল হল, শামসেন নাহার হলসহ ড. কুদরতে খুদা হলে ৪ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত