Ajker Patrika

ভিসির আশ্বাসে ৫২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন চবির ৯ শিক্ষার্থী

চবি প্রতিনিধি 
দীর্ঘ ৫২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন চবির ৯ শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
দীর্ঘ ৫২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন চবির ৯ শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপাচার্যের আশ্বাসে ৫২ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ শিক্ষার্থী অনশন ভেঙেছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার শিক্ষার্থীদের শরবত খাইয়ে অনশন ভাঙান।

এ সময় উপাচার্য বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, তারা আমারই শিক্ষার্থী। আমরা আগামী রোববারে বেলা ৩টায় তাদের সময় দিয়েছি। তারা তাদের দাবিগুলো আমাদের কাছে দিয়েছে। আমি প্রাথমিকভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওই দিন আন্তরিকতার সহিত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’

এর আগে গত বুধবার ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে বাম সংগঠন ও কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী প্রক্টর অফিসের সামনে এ আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর রাজনৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, একই বিভাগের শিক্ষার্থী বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহ্‌ জান, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ধ্রুব বড়ুয়া, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার, সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা।

এ দিকে দীর্ঘ সময় অনশনে থাকার কারণে সব শিক্ষার্থীই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে সুমাইয়া সিকদার, ধ্রুব বড়ুয়া ও জশদ জাকির বেশি অসুস্থতা বোধ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকি সাতজনকে লো প্রেশারের কারণে স্যালাইন দেওয়া হয়।

দীর্ঘ ৫২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন চবির ৯ শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
দীর্ঘ ৫২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন চবির ৯ শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনশন ভাঙার বিষয়ে শিক্ষার্থী জশদ জাকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিসি স্যার জানিয়েছেন, আমাদের দাবিগুলো সঠিক এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবেন। তাই অনশন ভেঙেছি।’

আরেক শিক্ষার্থী নাঈম শাহ্ জান বলেন, ‘উপাচার্য স্যার আমাদের এখানে এসেছিলেন এবং আমাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন। আগামী রোববার আমাদের নিয়ে বসবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আমাদের সবগুলো দাবি নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের যে মূল দাবি প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ, তিনি এটা নিয়েও কাজ করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

দাবিগুলো হলো ব্যর্থতার দায়ে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, আহত শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসনের ব্যবস্থা এবং আবাসনচ্যুত শিক্ষার্থীদের মালামাল উদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিরপরাধ এলাকাবাসীকে হয়রানি বন্ধ, বৈপরীত্যমূলক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে উভয় পক্ষের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও ন্যূনতম তিন মাস পরপর মিটিং করা এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত, নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত