রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
‘মাছ–মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। শেষ কবে গরুর গোশত খেয়েছি মনে পড়ে না। ৮শ টাকা গরুর গোশতের কেজি, ১০০ থেকে ১১০ টাকার ব্রয়লার মুরগি এখন ২৫০ টাকা। আমাদের মতো গরিব মানুষ রমজানে কিভাবে রোজা রাখবেন? কিছু বলতে গেলেও মনে হয় কেউ গলা টিপে ধরেছে। কথা বের হয় না, কার কাছে বলব। হোটেল বয়ের কাজ করে মাসে পাই ৭ হাজার টাকা।’ কথাগুলো বলছিলেন আজ রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি দুই একবেলা হোটেলে ভালোমন্দ খেতে পারি, স্ত্রী ও সন্তানতো তা চোখে দেখে না। বাজারে যেতে ভয় পাই। আড়াই শ গ্রাম তো আর বিক্রি করে না।’
আজ সকালে রামগঞ্জ কাঁচা বাজার গিয়ে দেখা যায়, কচুর লতি ১শ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পাতা কপি ৩০ টাকা, করোলা ১ শ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১ শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারের আরও বেহাল দশা। তেলাপিয়া মাছ ২৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ৩৭০ টাকা, গরুর গোশত হাড় ছাড়া ৮ শ টাকা, হাড়সহ ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও কর্ক মুরগি ৩৩০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া কুচা চিংড়ি ৫ শ টাকা, মাঝারি মানের চিংড়ি মাছ ৭৫০ থেকে ৮ শ টাকা, রুই মাছ ছোট ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মাছ কিনে ফিরছিলেন ক্রেতা এস এম বাবুল বাবর। তিনি বলেন, বাজারে যে তুলনায় মাছ আছে তার চেয়ে বেশি ক্রেতার সংখ্যা। সামনে রমজান। অনেকে রমজানের জন্য মাছ মাংস মজুত করার জন্য বেশি বেশি করে কিনছেন। দাম এ কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের উচিত প্রতিদিনের নিত্যপণ্য ওই দিন কেনা। তাহলে কিছুটা সহনীয় হবে।
কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। লাকসাম, কুমিল্লা, ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে যে মালামাল আসে, পাইকারি বাজারে চড়া দাম। আমরা নিজেরাই অসহায় হয়ে গেছি। আর কাঁচা মাল পচনশীল। বেশি দিন রাখারও সুযোগ নেই। বাজারে মালের দাম কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করি।’
‘মাছ–মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। শেষ কবে গরুর গোশত খেয়েছি মনে পড়ে না। ৮শ টাকা গরুর গোশতের কেজি, ১০০ থেকে ১১০ টাকার ব্রয়লার মুরগি এখন ২৫০ টাকা। আমাদের মতো গরিব মানুষ রমজানে কিভাবে রোজা রাখবেন? কিছু বলতে গেলেও মনে হয় কেউ গলা টিপে ধরেছে। কথা বের হয় না, কার কাছে বলব। হোটেল বয়ের কাজ করে মাসে পাই ৭ হাজার টাকা।’ কথাগুলো বলছিলেন আজ রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি দুই একবেলা হোটেলে ভালোমন্দ খেতে পারি, স্ত্রী ও সন্তানতো তা চোখে দেখে না। বাজারে যেতে ভয় পাই। আড়াই শ গ্রাম তো আর বিক্রি করে না।’
আজ সকালে রামগঞ্জ কাঁচা বাজার গিয়ে দেখা যায়, কচুর লতি ১শ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পাতা কপি ৩০ টাকা, করোলা ১ শ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১ শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারের আরও বেহাল দশা। তেলাপিয়া মাছ ২৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ৩৭০ টাকা, গরুর গোশত হাড় ছাড়া ৮ শ টাকা, হাড়সহ ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও কর্ক মুরগি ৩৩০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া কুচা চিংড়ি ৫ শ টাকা, মাঝারি মানের চিংড়ি মাছ ৭৫০ থেকে ৮ শ টাকা, রুই মাছ ছোট ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মাছ কিনে ফিরছিলেন ক্রেতা এস এম বাবুল বাবর। তিনি বলেন, বাজারে যে তুলনায় মাছ আছে তার চেয়ে বেশি ক্রেতার সংখ্যা। সামনে রমজান। অনেকে রমজানের জন্য মাছ মাংস মজুত করার জন্য বেশি বেশি করে কিনছেন। দাম এ কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের উচিত প্রতিদিনের নিত্যপণ্য ওই দিন কেনা। তাহলে কিছুটা সহনীয় হবে।
কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। লাকসাম, কুমিল্লা, ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে যে মালামাল আসে, পাইকারি বাজারে চড়া দাম। আমরা নিজেরাই অসহায় হয়ে গেছি। আর কাঁচা মাল পচনশীল। বেশি দিন রাখারও সুযোগ নেই। বাজারে মালের দাম কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করি।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৩ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৮ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৩ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে