চবি সংবাদদাতা
দীর্ঘ ৯ বছর পর গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তন আয়োজনে খুশি হয়েছেন। তবে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে অনেকেই নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বড় আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমাবর্তনে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ২২ হাজার ৫৮৬ গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। গ্র্যাজুয়েটদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। এত বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, পানির ব্যবস্থা ছিল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ২৩ হাজার গ্র্যাজুয়েট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। তবে সমাবর্তন প্যান্ডেলে তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হলেও খাবার পানি বা স্যালাইনের ব্যবস্থা ছিল নগণ্য। অনেক শিক্ষার্থীই প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগেই সমাবর্তনের স্থান ত্যাগ করেন।
এবারের সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে ডি-লিট প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়।
স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আজহার বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সমাবর্তন হয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল ঈদের মতো আনন্দ। আমরা চাই সমাবর্তন নিয়মিত হোক। পাশাপাশি অতিথি এবং গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সমান ব্যবস্থাপনা রাখা হোক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছুটা অব্যবস্থাপনা লক্ষ করেছি। যাঁরা ১০ বছর পর ক্যাম্পাসে এসেছেন, তাঁরাও তো অতিথি। কিন্তু তীব্র গরমে তাঁরা ঠিকঠাক ফ্যানের বাতাসও পেলেন না। পানির তীব্র সংকট তো ছিলই। যাতায়াতের ভোগান্তির কথা আর না বলি। তবে এত সবের মাঝেও একটাই তৃপ্তি, প্রশাসন ৯ বছর পর হলেও সমাবর্তন করতে পেরেছে।’
সমাবর্তন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, প্রশাসন সমাবর্তন সঠিকভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার অনেকই বলছেন, বড় আয়োজন হওয়াতে কিছুটা সমস্যা থাকবেই।
সমাবর্তন আপ্যায়ন কমিটির দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কারা কেমন খাবার সংগ্রহ করবেন, সেসবের তালিকা নির্দিষ্ট দপ্তরে দপ্তরে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের খাবার প্রক্টর অফিস থেকে সংগ্রহ করার কথা। অর্থাৎ আমাদের তালিকায় যেভাবে ছিল, সেভাবেই খাবার বণ্টন করা হয়েছে। ২ হাজার ৪০০ পুলিশ সদস্য খাবার পাননি, এমন খবরে আমরা হতভম্ব! এটা সঠিক তথ্য নয়।’
শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ‘একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ব্যবস্থাপনা, সব মিলিয়ে আমাদের কিছু ত্রুটি ছিল, তা অস্বীকার করছি না।’
সমাবর্তন কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, ‘আমাদের বিশাল আয়োজনে কিছু ঘাটতি ছিল। এ জন্য একেকজন একেকটা কথা বলে দেবেন, এটা তো ঠিক না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘খাবারের বিষয়টা আপ্যায়ন কমিটি দেখেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতজন সদস্য খাবেন, সেই সিদ্ধান্তও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে। আমি সেই সুবাদে যতখানি জানি, সেটা হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য আপ্যায়ন কমিটি খাবারের ব্যবস্থা করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ৯ বছর পর সমাবর্তন করেছি। এখানে বহুসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এসেছিলেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু সরকারপ্রধান অতিথি হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক কিছুরই অনুমতি মেলেনি।’
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘চবির সমাবর্তনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেসব পুলিশ সদস্য কাজ করেছেন, তাঁদের সবাইকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকালের নাশতা, খাবার, পানি এবং স্যালাইন সরবরাহ করা হয়েছে। এসব সরবরাহের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ছিল না।’
দীর্ঘ ৯ বছর পর গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তন আয়োজনে খুশি হয়েছেন। তবে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে অনেকেই নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বড় আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমাবর্তনে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ২২ হাজার ৫৮৬ গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। গ্র্যাজুয়েটদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। এত বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, পানির ব্যবস্থা ছিল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ২৩ হাজার গ্র্যাজুয়েট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। তবে সমাবর্তন প্যান্ডেলে তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হলেও খাবার পানি বা স্যালাইনের ব্যবস্থা ছিল নগণ্য। অনেক শিক্ষার্থীই প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগেই সমাবর্তনের স্থান ত্যাগ করেন।
এবারের সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে ডি-লিট প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়।
স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আজহার বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সমাবর্তন হয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল ঈদের মতো আনন্দ। আমরা চাই সমাবর্তন নিয়মিত হোক। পাশাপাশি অতিথি এবং গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সমান ব্যবস্থাপনা রাখা হোক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছুটা অব্যবস্থাপনা লক্ষ করেছি। যাঁরা ১০ বছর পর ক্যাম্পাসে এসেছেন, তাঁরাও তো অতিথি। কিন্তু তীব্র গরমে তাঁরা ঠিকঠাক ফ্যানের বাতাসও পেলেন না। পানির তীব্র সংকট তো ছিলই। যাতায়াতের ভোগান্তির কথা আর না বলি। তবে এত সবের মাঝেও একটাই তৃপ্তি, প্রশাসন ৯ বছর পর হলেও সমাবর্তন করতে পেরেছে।’
সমাবর্তন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, প্রশাসন সমাবর্তন সঠিকভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার অনেকই বলছেন, বড় আয়োজন হওয়াতে কিছুটা সমস্যা থাকবেই।
সমাবর্তন আপ্যায়ন কমিটির দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কারা কেমন খাবার সংগ্রহ করবেন, সেসবের তালিকা নির্দিষ্ট দপ্তরে দপ্তরে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের খাবার প্রক্টর অফিস থেকে সংগ্রহ করার কথা। অর্থাৎ আমাদের তালিকায় যেভাবে ছিল, সেভাবেই খাবার বণ্টন করা হয়েছে। ২ হাজার ৪০০ পুলিশ সদস্য খাবার পাননি, এমন খবরে আমরা হতভম্ব! এটা সঠিক তথ্য নয়।’
শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ‘একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ব্যবস্থাপনা, সব মিলিয়ে আমাদের কিছু ত্রুটি ছিল, তা অস্বীকার করছি না।’
সমাবর্তন কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, ‘আমাদের বিশাল আয়োজনে কিছু ঘাটতি ছিল। এ জন্য একেকজন একেকটা কথা বলে দেবেন, এটা তো ঠিক না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘খাবারের বিষয়টা আপ্যায়ন কমিটি দেখেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতজন সদস্য খাবেন, সেই সিদ্ধান্তও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে। আমি সেই সুবাদে যতখানি জানি, সেটা হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য আপ্যায়ন কমিটি খাবারের ব্যবস্থা করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ৯ বছর পর সমাবর্তন করেছি। এখানে বহুসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এসেছিলেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু সরকারপ্রধান অতিথি হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক কিছুরই অনুমতি মেলেনি।’
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘চবির সমাবর্তনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেসব পুলিশ সদস্য কাজ করেছেন, তাঁদের সবাইকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকালের নাশতা, খাবার, পানি এবং স্যালাইন সরবরাহ করা হয়েছে। এসব সরবরাহের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ছিল না।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
১২ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
১৫ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
২৬ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৩১ মিনিট আগে