Ajker Patrika

২৩ কিমি রেলপথ চালু শনিবার

তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ০৮
২৩ কিমি রেলপথ চালু শনিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেললাইন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। করোনাভাইরাস, ভূমি অধিগ্রহণ, প্রকল্পের কিছু জায়গায় মাটি ব্যবহারের উপযোগী (সয়েল ট্রিটমেন্ট) করাসহ নানা জটিলতায় কাজ সময়মতো শেষ হয়নি। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত যে ২৩ কিলোমিটার অংশের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে, তা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী শনিবার রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই অংশের উদ্বোধন করবেন।

আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ বর্তমানে সিঙ্গেল লাইন মিটারগেজ। এই রেলপথ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন করার প্রকল্প ২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের ১৫ জুন ঠিকাদার নিয়োগ হয়। প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের নভেম্বরে। ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ করার কথা ছিল। করোনার কারণে এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন করা হয়। কিন্তু বর্ধিত এই সময়েও পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি।

আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথের প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে লাকসাম ২৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর চালু করা হচ্ছে। এই অংশ চালু হলে সিগনালের কোনো বাধা ছাড়াই ট্রেন চলতে পারবে। পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের বাকি কাজ আমরা ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ করতে পারব। তবে সময় বাড়লেও প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে না।’ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বলেন, সময় বাড়লে প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে। সেটি কী পরিমাণ, তা এখনো নির্ধারণ হয়নি।

রেলসূত্র বলছে, কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডাবল লাইন চালু হলে ট্রেন অপারেশনে আগের চেয়ে ১৫-২০ মিনিট সময় কমে যাবে। প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচলও আগের চেয়ে বাড়বে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৩২১ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে আগে থেকেই ১১৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ছিল। পরে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩১ কিলোমিটার রেলপথ ডাবল লাইন করা হয়েছে। বাকি ছিল আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথ। এটি হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ পুরোই ডাবল লাইন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৭৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল সিগনালব্যবস্থাসহ ১৩টি রেলস্টেশন আধুনিকায়ন ও ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ চলছে। বড় সেতুসহ মোট ৪৬টি ছোট-বড় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে।

চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে এডিবি ঋণ দিচ্ছে ৪ হাজার ১১৮ কোটি ১৪ লাখ ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) দিচ্ছে ১ হাজার ৩৫৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ১ হাজার ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সরকার দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব র‍্যাব ডিজির

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত