নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) চকবাজার ওয়ার্ডে সাতবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু। ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার এমন রেকর্ডই বলে দেয় এলাকায় কতটা গ্রহণযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ইমেজ ছিল এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের। ওয়ার্ডের উন্নয়নে আন্তরিক নেতা হিসেবে সুখ্যাতির পাশাপাশি বিনয়ী ও নিরহংকার হিসেবেও বেশ নামডাক ছিল তাঁর।
এমন জনপ্রতিনিধির মৃত্যুর পর ওই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিতর্কিত নুর মোস্তফা টিনু। আজ হোক বা কাল, সেখানকার কাউন্সিলরের চেয়ারে বসবেন অস্ত্র মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা এই আসামি।
চকবাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডে ক্লিন ইমেজের কাউন্সিলরের জায়গায় টিনুকে নিয়ে এলাকাবাসীর শঙ্কা আর সংশয়ের কমতি নেই। তবে কারও কারও প্রত্যাশা, নতুন এই অবস্থানে নিজের ইমেজ পাল্টানোর সুযোগ কাজে লাগাবেন টিনু।
কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবদুর সবুর টিনুর বিজয় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এমন কাউন্সিলরের কারণে এলাকায় সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজি আরও বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা আছে। বাড়তে পারে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতও। মিন্টুর জায়গায় এমন মানুষকে মেনে নিতে পারছি না।’
জয়নগর এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী শ্রাবণী দাশ বলেন, ‘আগে আমরা মিন্টু কমিশনারকে প্রতি নির্বাচনে ভোট দিতাম। তিনি ছিলেন সজ্জন মানুষ। এবার ভোটে প্রার্থীদের কাউকেই পছন্দ হয়নি। তাই ভোট দিতেও যাইনি। ভোটর ফলাফল শুনে তো আরও বেশি মন খারাপ হয়েছে।’
মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা চাকরিজীবী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মিন্টুর জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। তবু নতুন যিনি এসেছেন তাকে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমাদের প্রত্যাশা, তিনি এলাকার উন্নয়নে আন্তরিক হবেন।’
চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং এই নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, বাইরে থেকে ভোটের সবকিছুই সুন্দর ছিল। কিন্তু ভেতরে যা হলো তা অপ্রত্যাশিত। এখন শিক্ষাবান্ধব এই ওয়ার্ডের মানুষের চারিত্রিক সনদ দেবেন একজন বিতর্কিত লোক। এই ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্যে এখন কী আছে সেটাই দেখার বিষয়।
এর আগেও এমন অস্ত্রবাজ, বিতর্কিত প্রার্থী কাউন্সিলর হয়েছেন জানিয়ে দলটির সিনিয়র উপদেষ্টা এ কে এম বেলায়েত হোসেন বলেন, নগরের বহু ওয়ার্ডে এমন বিতর্কিত লোক ক্ষমতায় এসে পরে তারা এলাকার উন্নয়ন করে নিজেদের ইমেজ পাল্টেছেন। এ ক্ষেত্রে টিনুও যদি তেমন করতে পারেন তবে ভালো। আর না করতে পারলে জনগণই তাঁকে আবার প্রত্যাখ্যান করবে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘কীভাবে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েও একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কাউন্সিলর হন তার দায় এড়াতে পারে না নগর আওয়ামী লীগ। এই ওয়ার্ডে যদি আগের কাউন্সিলরের ধারা অব্যাহত না থাকে, তবে সেটির প্রভাব কিন্তু দল বা সরকারের ওপরই বর্তাবে। এই নির্বাচন আবারও আমাদের এই প্রশ্নের সামনে ফেলে দেয় যে, ভালো প্রার্থী কি আর নির্বাচিত হবে না? তবু আমাদের প্রত্যাশা, জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার কল্যাণে তিনি নিজের ভেতর একটা পরিবর্তন আনবেন।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) চকবাজার ওয়ার্ডে সাতবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু। ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার এমন রেকর্ডই বলে দেয় এলাকায় কতটা গ্রহণযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ইমেজ ছিল এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের। ওয়ার্ডের উন্নয়নে আন্তরিক নেতা হিসেবে সুখ্যাতির পাশাপাশি বিনয়ী ও নিরহংকার হিসেবেও বেশ নামডাক ছিল তাঁর।
এমন জনপ্রতিনিধির মৃত্যুর পর ওই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিতর্কিত নুর মোস্তফা টিনু। আজ হোক বা কাল, সেখানকার কাউন্সিলরের চেয়ারে বসবেন অস্ত্র মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা এই আসামি।
চকবাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডে ক্লিন ইমেজের কাউন্সিলরের জায়গায় টিনুকে নিয়ে এলাকাবাসীর শঙ্কা আর সংশয়ের কমতি নেই। তবে কারও কারও প্রত্যাশা, নতুন এই অবস্থানে নিজের ইমেজ পাল্টানোর সুযোগ কাজে লাগাবেন টিনু।
কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবদুর সবুর টিনুর বিজয় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এমন কাউন্সিলরের কারণে এলাকায় সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজি আরও বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা আছে। বাড়তে পারে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতও। মিন্টুর জায়গায় এমন মানুষকে মেনে নিতে পারছি না।’
জয়নগর এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী শ্রাবণী দাশ বলেন, ‘আগে আমরা মিন্টু কমিশনারকে প্রতি নির্বাচনে ভোট দিতাম। তিনি ছিলেন সজ্জন মানুষ। এবার ভোটে প্রার্থীদের কাউকেই পছন্দ হয়নি। তাই ভোট দিতেও যাইনি। ভোটর ফলাফল শুনে তো আরও বেশি মন খারাপ হয়েছে।’
মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা চাকরিজীবী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মিন্টুর জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। তবু নতুন যিনি এসেছেন তাকে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমাদের প্রত্যাশা, তিনি এলাকার উন্নয়নে আন্তরিক হবেন।’
চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং এই নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, বাইরে থেকে ভোটের সবকিছুই সুন্দর ছিল। কিন্তু ভেতরে যা হলো তা অপ্রত্যাশিত। এখন শিক্ষাবান্ধব এই ওয়ার্ডের মানুষের চারিত্রিক সনদ দেবেন একজন বিতর্কিত লোক। এই ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্যে এখন কী আছে সেটাই দেখার বিষয়।
এর আগেও এমন অস্ত্রবাজ, বিতর্কিত প্রার্থী কাউন্সিলর হয়েছেন জানিয়ে দলটির সিনিয়র উপদেষ্টা এ কে এম বেলায়েত হোসেন বলেন, নগরের বহু ওয়ার্ডে এমন বিতর্কিত লোক ক্ষমতায় এসে পরে তারা এলাকার উন্নয়ন করে নিজেদের ইমেজ পাল্টেছেন। এ ক্ষেত্রে টিনুও যদি তেমন করতে পারেন তবে ভালো। আর না করতে পারলে জনগণই তাঁকে আবার প্রত্যাখ্যান করবে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘কীভাবে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েও একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কাউন্সিলর হন তার দায় এড়াতে পারে না নগর আওয়ামী লীগ। এই ওয়ার্ডে যদি আগের কাউন্সিলরের ধারা অব্যাহত না থাকে, তবে সেটির প্রভাব কিন্তু দল বা সরকারের ওপরই বর্তাবে। এই নির্বাচন আবারও আমাদের এই প্রশ্নের সামনে ফেলে দেয় যে, ভালো প্রার্থী কি আর নির্বাচিত হবে না? তবু আমাদের প্রত্যাশা, জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার কল্যাণে তিনি নিজের ভেতর একটা পরিবর্তন আনবেন।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪৪ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে