ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মালচিং পদ্ধতি হলো জমির বেড বিশেষভাবে তৈরি পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা। এটি ব্যবহারের ফলে মাটির রসের বাষ্পায়ন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে মাটির উপরিতল থেকে যে পরিমাণ পানি বাষ্পীভূত হয়, তা পলিথিনে বাধা পেয়ে ঘনীভূত হয়। পরে বিন্দু বিন্দু জলকণায় পরিণত হয়ে আবার মাটিতে পড়ে। এতে জমিতে দুটি সেচ পর্বের ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়। ফলে সেচ কম লাগে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়।
উপজেলার পোমকাড়া গ্রামের কৃষক জহিরুল আলম আবুল বাশার মুন্সি মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তিনি বলেন, মালচিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সুফল পেয়েছি। চারা রোপণের পর থেকে শুধুমাত্র দেখভাল করা ছাড়া আর তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। এই পদ্ধতিতে চাষ করে গত বছর লাভবান হয়েছি। এবার এই পদ্ধতিতে লম্বা বেগুন, টমেটো, করলা ও শিম চাষ করছি। আশা করি এবারও ভালো ফলন পাব।
পোমকাড়া গ্রামের কৃষাণী বিউটি আক্তার বলেন, এবার আমি মালচিং পদ্ধতিতে ১০ শতক জমিতে টমেটো, ২৫ শতক জমিতে লম্বা বেগুন, ১০ শতক জমিতে শসা ও করলা, ৪ শতক জমিতে ফুলকপি এবং ১ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি। বিষমুক্ত মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেখতে অনেকেই আমার জমিতে আসেন। এ পদ্ধতিতে প্রথম দিকে একটু বেশি খরচ হলেও, পরে আর তেমন খরচ নেই।
প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে ৪০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছেন উপজেলার বালিনা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, আশা করছি রোগ বালাই ও পোকার আক্রমণ তেমন ক্ষতি করতে পারবে না। আগাছা কম হওয়ায় তাতে শ্রম ও খরচ বাচে। সার কম দেওয়া লাগে। এ ছাড়া ফলন হয় সাধারণ চাষের চেয়ে বেশি। মালচিং একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী চাষ পদ্ধতি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার আখি জানান, মালচিং পদ্ধতিতে চাষের সবচেয়ে বড় ভালো দিক হলো জমি আবাদে পানি কম লাগে। এতে কৃষকের সার, সেচ কম ও খরচ কমে লাগে। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে গ্রামের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আর্থিক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ জন্য উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, মালচিং যুগান্তকারী ও কৃষি কাজের অন্যতম আধুনিক পদ্ধতি। মালচিং অত্যন্ত সহজলভ্য, লাভজনক ও বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি অন্যতম পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সেচ খরচ কমবে, নিড়ানি খরচ কমবে, দমন হবে কীটপতঙ্গের উৎপাত। উৎপাদন খরচ কমলে কৃষকেরাই লাভবান হবেন। আমরা এ পদ্ধতি কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছি।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মালচিং পদ্ধতি হলো জমির বেড বিশেষভাবে তৈরি পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা। এটি ব্যবহারের ফলে মাটির রসের বাষ্পায়ন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে মাটির উপরিতল থেকে যে পরিমাণ পানি বাষ্পীভূত হয়, তা পলিথিনে বাধা পেয়ে ঘনীভূত হয়। পরে বিন্দু বিন্দু জলকণায় পরিণত হয়ে আবার মাটিতে পড়ে। এতে জমিতে দুটি সেচ পর্বের ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়। ফলে সেচ কম লাগে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়।
উপজেলার পোমকাড়া গ্রামের কৃষক জহিরুল আলম আবুল বাশার মুন্সি মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তিনি বলেন, মালচিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সুফল পেয়েছি। চারা রোপণের পর থেকে শুধুমাত্র দেখভাল করা ছাড়া আর তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। এই পদ্ধতিতে চাষ করে গত বছর লাভবান হয়েছি। এবার এই পদ্ধতিতে লম্বা বেগুন, টমেটো, করলা ও শিম চাষ করছি। আশা করি এবারও ভালো ফলন পাব।
পোমকাড়া গ্রামের কৃষাণী বিউটি আক্তার বলেন, এবার আমি মালচিং পদ্ধতিতে ১০ শতক জমিতে টমেটো, ২৫ শতক জমিতে লম্বা বেগুন, ১০ শতক জমিতে শসা ও করলা, ৪ শতক জমিতে ফুলকপি এবং ১ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি। বিষমুক্ত মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেখতে অনেকেই আমার জমিতে আসেন। এ পদ্ধতিতে প্রথম দিকে একটু বেশি খরচ হলেও, পরে আর তেমন খরচ নেই।
প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে ৪০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছেন উপজেলার বালিনা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, আশা করছি রোগ বালাই ও পোকার আক্রমণ তেমন ক্ষতি করতে পারবে না। আগাছা কম হওয়ায় তাতে শ্রম ও খরচ বাচে। সার কম দেওয়া লাগে। এ ছাড়া ফলন হয় সাধারণ চাষের চেয়ে বেশি। মালচিং একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী চাষ পদ্ধতি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার আখি জানান, মালচিং পদ্ধতিতে চাষের সবচেয়ে বড় ভালো দিক হলো জমি আবাদে পানি কম লাগে। এতে কৃষকের সার, সেচ কম ও খরচ কমে লাগে। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে গ্রামের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আর্থিক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ জন্য উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, মালচিং যুগান্তকারী ও কৃষি কাজের অন্যতম আধুনিক পদ্ধতি। মালচিং অত্যন্ত সহজলভ্য, লাভজনক ও বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি অন্যতম পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সেচ খরচ কমবে, নিড়ানি খরচ কমবে, দমন হবে কীটপতঙ্গের উৎপাত। উৎপাদন খরচ কমলে কৃষকেরাই লাভবান হবেন। আমরা এ পদ্ধতি কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছি।
সরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১০ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১৪ মিনিট আগে২০১১ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর পিপলস অ্যাকশন ইন চেঞ্জ অ্যান্ড ইকুইটি—স্পেস’র সহায়তায় এসব ইকো টয়লেট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি টয়লেটের দুটি চেম্বার থেকে বছরে দেড়শ কেজি জৈব সার উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি প্রস্রাব সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সারের বিকল্প হিসেবে। এতে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা
১৮ মিনিট আগেভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগে