Ajker Patrika

দরজিপাড়ায় ঈদের ব্যস্ততা

  • রমজান শুরুর দুই সপ্তাহ আগে থেকেই দরজিদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়।
  • কারিগররা সুই-সুতার কাজ চালিয়ে যাবেন চাঁদরাত পর্যন্ত।
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম    
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭: ৫৭
ঈদ সামনে রেখে কাপড় সেলাইয়ে ব্যস্ত দরজিশ্রমিকেরা। ছবিটি গত শনিবার দুপুরে নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোডের খলিফাপট্টির একটি দোকান থেকে তোলা। আজকের পত্রিকা
ঈদ সামনে রেখে কাপড় সেলাইয়ে ব্যস্ত দরজিশ্রমিকেরা। ছবিটি গত শনিবার দুপুরে নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোডের খলিফাপট্টির একটি দোকান থেকে তোলা। আজকের পত্রিকা

নিখুঁত মাপের আরামদায়ক পোশাক তৈরির জন্য সারা বছরই দরজিপাড়ায় কম-বেশি ব্যস্ততা দেখা যায়। তবে এই ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সবচেয়ে ব্যস্ত সময় কাটে দুই ঈদে। এবার ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এরই মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে চট্টগ্রাম নগরীর দরজিপাড়াগুলোতে। নগরীর খলিফাপট্টিতে দরজিশ্রমিকেরা এখন মহাব্যস্ত। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁদের। সেলাই মেশিনের বিরামহীন খটখট শব্দ আর কারিগরদের খোশমেজাজের আলাপেই বোঝা যায়, রেডিমেড পোশাকের দাপটের এই সময়েও দরজিবাড়ির চাহিদা একেবারে ফুরিয়ে যায়নি।

নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোডের সাব এরিয়াসংলগ্ন এলাকায় খলিফাপট্টির অবস্থান। সাধারণত রমজান শুরুর দুই সপ্তাহ আগে থেকেই দরজিদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। খলিফাপট্টির দরজিরা শার্ট, প্যান্ট, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা ও স্কার্ট তৈরি করে নগরী এবং এর বাইরের বিভিন্ন মার্কেটে পাইকারিতে বিক্রি করেন। এ ছাড়া অগ্রিম অর্ডার নিয়ে খলিফাপট্টির দরজিরা কাজ করছেন দিনরাত।

খলিফাপট্টির কয়েক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানকার ব্যবসায়ীরা সারা বছর রমজানের ঈদের অপেক্ষায় থাকেন। এখানে সারা বছর যত কাজ হয়, তার ৮০ শতাংশ হয় ঈদকেন্দ্রিক। রমজান শুরুর আগে থেকেই এখানকার দরজিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে তাঁদের ব্যস্ততা ততই বাড়বে। কারিগররা সুই-সুতার কাজ চালিয়ে যাবেন চাঁদরাত পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খলিফাপট্টিতে ছোট-বড় প্রায় আড়াই শ কারখানা রয়েছে। কারখানাগুলোতে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার জামাও তৈরি হচ্ছে। দেশি ছাড়াও বিদেশি বিভিন্ন বাহারি ডিজাইনের থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, স্কার্ট ও প্যান্ট তৈরি করে থাকেন খলিফাপট্টির ডিজাইন মাস্টাররা। প্রতিটি কারখানায় স্বাভাবিক সময়ে ১০-১২ জন কারিগর কাজ করলেও ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত কারিগর নেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার, ৮ মার্চ সরেজমিনে খলিফাপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, একপাশে চলছে গ্রাহকের পছন্দের জামার মাপ নেওয়া; অন্য পাশে টেবিলের ওপর কাপড় বিছিয়ে স্কেল-ফিতা নিয়ে চক দিয়ে আঁকা। তারপর কাপড় কাটা। পাশেই সেলাই মেশিনের খরখর শব্দ। কেউ কেউ আবার সেলাই করা কাপড়ে নানা ধরনের পুঁতি ও লেইস সংযুক্ত করার কাজে ব্যস্ত।

মাহবুবুল আলম নামের এক দরজি জানান, প্রতিবছর রমজান আসার আগ থেকেই এখানে ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। বর্তমানে কাজের চাপও একটু বেশি।

সাইদুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘খলিফাপট্টিতে পোশাক সেলাইয়ের আলাদা চাহিদা রয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা পোশাক নিয়ে এখানে আসছেন। এখানকার সেলাইয়ে আলাদা একটি কারুকাজ আছে।’

এ বিষয়ে খলিফাপট্টি বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন জানান, এখানে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ছাড়াও কক্সবাজার, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং ফেনী থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্রেতা আসেন। এখানে অগ্রিম অর্ডার নিয়েও কাজ করা হয়।

খলিফাপট্টির আঁখি ফ্যাশনের কারিগর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাপড় সেলাইয়ে এখানকার শ্রমিকেরা খুবই দক্ষ। তাঁরা নিজেরাই ডিজাইনার, নিজেরাই কারিগর। এ কারণে খলিফাপট্টির আলাদা একটা সুনাম রয়েছে। মূলত ঢাকার ইসলামপুর ও চট্টগ্রামের টেরিবাজার থেকে কাপড় সংগ্রহ করে এখানে সেলাই পর্বটি সম্পন্ন করেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যমতে, ১৯৪৭ সালের পর আইয়ুব আলী নামের নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এক ফেরিওয়ালা নিজের গ্রামের কিছু লোকজন এনে খলিফাপট্টিতে কাপড় তৈরির কাজ শুরু করেন। সেই থেকেই শুরু। বর্তমানে এখানকার পুরোনো বেশ কয়েকটি ভবনজুড়ে রয়েছে প্রায় আড়াই শ ছোট-বড় কারখানা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাহরাইনে ২০ তলা ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
নির্মাণাধীন এই ভবন থেকে পড়ে নিহত হন সফিক। ছবি: সংগৃহীত
নির্মাণাধীন এই ভবন থেকে পড়ে নিহত হন সফিক। ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইনে ২০ তলা ভবনে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে মো. সফিক (৪০) নামের এক বাংলাদেশি যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১টার দিকে (বাহরাইন সময় বেলা ১১টা) দেশটির ছিটমহল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সফিক বাহরাইনের মানামা অ্যান্ডার গলিতে বসবাস করতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহরাইনপ্রবাসী সুব্রত সাহা। মরদেহ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সফিকের পরিবার।

জানা গেছে, সফিক চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের (কোয়া চাঁদপুর) মিয়াজী বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সন্তান হারিয়ে মা-বাবাসহ স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছেলের জবানবন্দি: স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার মো. ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার মো. ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বাবা ও ভাইয়ের পরকীয়ার জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে। হত্যার পর লাশের পাশে নির্বিকার বসে ছিলেন তিনি। ৯ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বাবা ও ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক।

জানা গেছে, প্রথমত নিজের পছন্দের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়নি পরিবার। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, তাঁর সঙ্গে রয়েছে ভাই ও বাবার অবৈধ সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর পেছনেও ছিল বাবার হাত। বাবার সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ছেলে ফারুক। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বাবাকে নিয়ে কাজের সন্ধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শিবচরে আসেন। মূলত কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তাঁর বাবা মতিউর। পরে রাতের বেলা ছেলে ফারুকের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাবা মোবাইলে কথা বলা শেষে ঘুমিয়ে পড়লে কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিতে এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দেন বাবাকে হত্যাকারী ছেলে মো. ফারুক (২৭)। রাত ১০টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। নিহত মতিউর ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার হারিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলম জানান,  মতিউর ও তাঁর ছেলে ফারুক কাজের সন্ধানে মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাঁশকান্দি ইউনিয়নের পঞ্চগ্রামে এসে রসুন বপনের কাজ নেন। রোববার বাবা-ছেলে রাতের খাবার শেষে একসঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতে যান। রাত ১০টার পর বিছানায় শুয়ে ছেলে ফারুকের বউয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন বাবা মতিউর। এ সময় পাশের ঘরে বসে বিড়ি খাচ্ছিলেন ফারুক।

পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবার মুখে কোদাল দিয়ে কোপ মারেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখ, মাথা আর বুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মাত্র আড়াই মিনিটে ১৭টি কোপ দেন। মতিউরের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাঁর লাশের পাশে বসে বিড়ি ধরিয়ে টানতে থাকেন ফারুক।

জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে বাড়ির মালিকের ছেলে ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং মতিউরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় ফারুককে অবিচল আর নিশ্চুপ থাকতে দেখে বাড়ির মালিক শিবচর থানায় ফোন দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল, ফারুকের রক্তাক্ত জামাকাপড়সহ অন্যান্য আলামত জব্দ করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মৃতদেহটি সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মতিউরের স্ত্রী কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে তাঁর ছেলেকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার ফারুককে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হলে তাঁর বাবা মতিউরকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। নিজের দোষ স্বীকার করে বিচারকের নিকট ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া শেষে ফারুককে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবাকে হত্যার জন্য আগে থেকে পাশের রুমে একটি কোদাল লুকিয়ে রেখেছিলেন ফারুক। অপেক্ষায় ছিলেন কখন তাঁর বাবা ঘুমাতে যাবেন সেই সুযোগের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গৌরীপুরে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন। ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জারিয়া অভিমুখী ৪৯ নম্বর বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লেগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গৌরীপুর রেলস্টেশনের নিকটে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে দ্রুত ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ইনচার্জ) আকতার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জারিয়া অভিমুখে চলাচলরত বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লাগে। পরে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ইঞ্জিন পরিবর্তনের কাজ চলছে।

ওসি আরও বলেন, ইঞ্জিন পরিবর্তন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ওই রুটে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নগরের শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুমা মুস্তারী। তিনি বলেন, ‘রাতে জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিসের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তরা পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।’

ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারাও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁরা এ ব্যাপারে মামলা করতে চেয়েছেন। মামলা দায়ের করা হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি মাছুমা মুস্তারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত