মো. সাহাব উদ্দিন, ফেনী
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুবদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ফেনীর যুবদের। তবু তাঁরা দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে রয়েছেন বলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও সমাজসেবা অধিদপ্তর ফেনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিবছর জেলার হাজারো যুবককে দেওয়া দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণ আশানুরূপ কাজে আসছে না। যুবদের বৃহৎ একটি অংশ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, স্থানীয় যুবকদের অনুপস্থিতির কারণে জেলার বিভিন্ন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে নিচ্ছে অন্য জেলার মানুষ। যুবকেরা কেন দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে, এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণের অভাব, প্রশিক্ষণার্থীর আয় নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা, স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করতে অনীহা এবং পারিপার্শ্বিক অসহযোগিতায় তাঁরা স্থানীয় কাজে অনীহা দেখান।
গতকাল ১৫ জুলাই বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক আহাম্মদ কবীর বলেন, ‘ফেনীর মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ প্রবাসী; যা সংখ্যায় দেড় লাখের বেশি। স্বাভাবিকভাবে এখানে বিদেশগমনের প্রবণতা বেশি। যুবদের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে একটা বিষয় লক্ষ করেছি, এই অঞ্চলের মানুষ সময় নিয়ে কোনো কাজ শিখতে অনাগ্রহী। আবার যাঁরা কাজ শেখার শেষ পর্যন্ত সময় দেন, তাঁরাও ওই কাজ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান না। অনেকে আবার পুঁজি-সংকটের কারণে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি বা নিজ উদ্যোগে কিছু করতে চান না। যদিও সরকার উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ঋণ-প্রণোদনা দিয়ে থাকে।’
আহাম্মদ কবীর আরও বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুব দক্ষতা বৃদ্ধিতে জেলার ছয় উপজেলায় পাঁচটি বিষয়ে ৩ হাজার ৪৬৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ সময় ৩৩৩ জন যুবককে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ঋণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক থেকেও আমাদের প্রশিক্ষণার্থীরা চাইলে ঋণ নিতে পারেন। মূলত, দেশে সন্তোষজনক আয় করতে পারেন না বলেই যুবকেরা প্রবাসের দিকে ঝুঁকছেন। এ জন্য আমাদের জেলায় কাজের ক্ষেত্র থাকলেও নিজেদের কর্মী পাওয়া যায় না।’
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ফেনীর উপপরিচালক নাছরীন আক্তার বলেন, নারীদের ঘরের বাইরে কাজের সুযোগ পুরুষের তুলনায় অনেক কম। তবু নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর ৪০০ নারীকে পাঁচটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সোনাগাজী ও দাগনভূঞা বছরে ২৪০ জন সেলাই প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া নারীদের স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণের আওতায় ২৫২ জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর ফেনীর উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যুব দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ, উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফেনীর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার যুবককে তাঁরা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। প্রশিক্ষণে পুরোনো উপকরণ ব্যবহার ও সনাতন পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হওয়ায় প্রশিক্ষণ নেওয়া এসব যুবক সংশ্লিষ্ট কাজে আগ্রহ কম দেখান। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ শেষে নিয়মিত তাঁদের তদারকি না করায় এসব যুবক কর্মমুখী হন না। ফলে এসব প্রশিক্ষণ কোনো কাজে আসছে না।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) কর্তৃক পরিচালিত স্কিল-২১ সাবেক কর্মসূচি সমন্বয়ক সামিয়া মাহবিন মনে করেন, যুবকদের দক্ষতা অর্জনে আধুনিক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির নিশ্চয়তা পেলে যুবকেরা এ বিষয়ে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুবদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ফেনীর যুবদের। তবু তাঁরা দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে রয়েছেন বলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও সমাজসেবা অধিদপ্তর ফেনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিবছর জেলার হাজারো যুবককে দেওয়া দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণ আশানুরূপ কাজে আসছে না। যুবদের বৃহৎ একটি অংশ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, স্থানীয় যুবকদের অনুপস্থিতির কারণে জেলার বিভিন্ন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে নিচ্ছে অন্য জেলার মানুষ। যুবকেরা কেন দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে, এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণের অভাব, প্রশিক্ষণার্থীর আয় নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা, স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করতে অনীহা এবং পারিপার্শ্বিক অসহযোগিতায় তাঁরা স্থানীয় কাজে অনীহা দেখান।
গতকাল ১৫ জুলাই বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক আহাম্মদ কবীর বলেন, ‘ফেনীর মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ প্রবাসী; যা সংখ্যায় দেড় লাখের বেশি। স্বাভাবিকভাবে এখানে বিদেশগমনের প্রবণতা বেশি। যুবদের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে একটা বিষয় লক্ষ করেছি, এই অঞ্চলের মানুষ সময় নিয়ে কোনো কাজ শিখতে অনাগ্রহী। আবার যাঁরা কাজ শেখার শেষ পর্যন্ত সময় দেন, তাঁরাও ওই কাজ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান না। অনেকে আবার পুঁজি-সংকটের কারণে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি বা নিজ উদ্যোগে কিছু করতে চান না। যদিও সরকার উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ঋণ-প্রণোদনা দিয়ে থাকে।’
আহাম্মদ কবীর আরও বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুব দক্ষতা বৃদ্ধিতে জেলার ছয় উপজেলায় পাঁচটি বিষয়ে ৩ হাজার ৪৬৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ সময় ৩৩৩ জন যুবককে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ঋণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক থেকেও আমাদের প্রশিক্ষণার্থীরা চাইলে ঋণ নিতে পারেন। মূলত, দেশে সন্তোষজনক আয় করতে পারেন না বলেই যুবকেরা প্রবাসের দিকে ঝুঁকছেন। এ জন্য আমাদের জেলায় কাজের ক্ষেত্র থাকলেও নিজেদের কর্মী পাওয়া যায় না।’
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ফেনীর উপপরিচালক নাছরীন আক্তার বলেন, নারীদের ঘরের বাইরে কাজের সুযোগ পুরুষের তুলনায় অনেক কম। তবু নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর ৪০০ নারীকে পাঁচটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সোনাগাজী ও দাগনভূঞা বছরে ২৪০ জন সেলাই প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া নারীদের স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণের আওতায় ২৫২ জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর ফেনীর উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যুব দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ, উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফেনীর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার যুবককে তাঁরা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। প্রশিক্ষণে পুরোনো উপকরণ ব্যবহার ও সনাতন পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হওয়ায় প্রশিক্ষণ নেওয়া এসব যুবক সংশ্লিষ্ট কাজে আগ্রহ কম দেখান। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ শেষে নিয়মিত তাঁদের তদারকি না করায় এসব যুবক কর্মমুখী হন না। ফলে এসব প্রশিক্ষণ কোনো কাজে আসছে না।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) কর্তৃক পরিচালিত স্কিল-২১ সাবেক কর্মসূচি সমন্বয়ক সামিয়া মাহবিন মনে করেন, যুবকদের দক্ষতা অর্জনে আধুনিক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির নিশ্চয়তা পেলে যুবকেরা এ বিষয়ে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে