Ajker Patrika

রায়পুরে বিএনপি-জামায়াতের ১৫০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা 

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রায়পুরে বিএনপি-জামায়াতের ১৫০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপি ও জামায়াতের ১৫০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে রায়পুর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। উপজেলার বামনী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম (৪২) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া (৩২), হিমেল খাঁন হিমু (৩৭), সফিকুর রহমান ভূঁইয়া (৫০), সফিকুল আলম আলমাস (৪৫), শাহরিয়ার ফয়সাল (২২), ওসমান (৩২), ফাহিম (২০), রফিকুল হায়দার শান্ত (২৪), জুয়েল (২২) ও জামায়াত নেতা ইউসুফ পাটওয়ারী (৪০) এবং অজ্ঞাত ১৪০ থেকে ১৪৫ জন। 

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতের প্রথম প্রহরে বামনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর ও হামলা চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। মুখোশ পরে তাঁরা হামলায় অংশ নেয়। ওই রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্জন দাশ ও রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া। 

মামলার বাদী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্তরা ওই রাতে আমাদের কার্যালয়ে প্রবেশ করে হামলা ও ভাঙচুর করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। তাঁদের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। আশপাশের বাতির আলোতে আমরা তাদের চিনতে পারি। আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

বামনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামছুল হুদা বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে কোনো কোন্দল নেই। এলাকায় ভীতি ছড়াতে পরিকল্পিতভাবে জামায়াত ও বিএনপির দুর্বৃত্তরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।’ 

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমাদের দলের কেউ ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত নয়। এরপরও আমাদের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে মামলাটিতে আমাদের কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।’ 

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সফিকুল আলম আলমাস ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার ফয়সাল বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে এমনটি হয়েছে জেনেও তাঁরা মিথ্যা অভিযোগে আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নিন্দনীয়।’ 

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি রয়েছে ১৪০-১৪৫ জন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত