সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো সম্পূর্ণ নেভেনি। অগ্নিকাণ্ডের ৬০ ঘণ্টা পরও থেমে থেমে জ্বলছে আগুন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে আগুন নেভাতে টানা কাজ করে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পাশাপাশি আগুন নেভাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, এখনো থেমে থেমে আগুন জ্বলতে থাকা ২৮টি কনটেইনারে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিছুক্ষণ পানি দেওয়ার পর আগুন থেমে গেলেও পুনরায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়ে জ্বলে উঠছে আগুন।
আজ মঙ্গলবার সকালে আগুন জ্বলতে থাকা যে কনটেইনারগুলোর ওপর তারা পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন, তার আশপাশে রাসায়নিকভর্তি আরও কনটেইনার আছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। তবে রাসায়নিক ভর্তি কনটেইনার এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তারা মৃদুভাবে জ্বলতে থাকা কনটেইনারগুলোর ওপর পানি ছিটানোর পাশাপাশি যেসব কনটেইনারে রপ্তানি পোশাক আছে বলে মনে করছেন, তাঁরা সেগুলো দরজা খুলে পণ্যের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে আগুন নেভাতে তাঁরা প্রাণপণে চেষ্টা করছেন। তবে ডিপোর ভেতরে থাকা কনটেইনারগুলোতে আগুন জ্বললেও সেখানে থাকা রাসায়নিকভর্তি ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি কনটেইনার শনাক্ত করতে পারেননি। যার ফলে ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ডিপোর মূল ফটক থেকে দেড় শ মিটার দক্ষিণে স্তূপ করে রাখা কনটেইনারে থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। আর জ্বলতে থাকা কনটেইনারগুলোর ওপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অনবরত পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ডিপোর উত্তর পাশের বেশ কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলতে দেখা না গেলেও সেগুলো থেকে অনবরত ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরোচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য বলেন, গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তাঁরা যখন আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন, ঠিক তখনই জ্বলতে থাকা কনটেইনারের ভেতর থেকে নীল রঙের ছোট কেমিক্যালভর্তি একটি কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কনটেইনারটি ছিটকে তাদের সামনে এসে পড়ে। এ ঘটনায় তাদের কেউ আহত না হলেও পুনরায় বিস্ফোরণের আশঙ্কায় তাঁরা ভীত হয়ে পড়েন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি। তিনি জানান, ডিপোর আগুন নেভাতে রোটেশন অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। গতকাল সোমবার রাত থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের ৫০ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আগুন নেভাতে ফোম জেনারেটর, কেমিক্যাল জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিপোতে কনটেইনার মোভার সংকটের কারণে কাজ করতে বেগ পাচ্ছেন তাঁরা। মোভার বাড়ানো গেলে কনটেইনার সরিয়ে অগ্নি নির্বাপণের কাজ আরও দ্রুত করা যেত।
আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও অনেক সময় লাগবে জানিয়ে পূর্ণ চন্দ্র বলেন, ‘মোভার সংকটের কারণে একটি কনটেইনার নামাতে ও সেটিং করতে অনেক সময় লেগে যায়। নামানোর পরে আগুনের তাপের কারণে দরজা খোলা যায় না। দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দরজার লোহা বড় হয়ে গেছে। তখন দরজা কাটতে হয়। স্টিলের দরজা কাটতেও অনেক সময় লেগে যায়। এরপর এগুলোতে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে হয়।’
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুলাল জানান, আগুন নেভাতে রাতভর কাজ করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু উত্তপ্ত কনটেইনারের ভেতরের পণ্যগুলো থেকে আবার আগুন ধরে যায়। কনটেইনারের আশপাশে থাকা রাসায়নিক কেমিক্যালের কনটেইনারগুলো চিহ্নিত করতে না পারায় আগুন পুরোপুরি নেভাতে বেগ পাচ্ছেন তাঁরা। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সম্পর্কিত সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি। আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য।
এই সম্পর্কিত সর্বশেষ:
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো সম্পূর্ণ নেভেনি। অগ্নিকাণ্ডের ৬০ ঘণ্টা পরও থেমে থেমে জ্বলছে আগুন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে আগুন নেভাতে টানা কাজ করে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পাশাপাশি আগুন নেভাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, এখনো থেমে থেমে আগুন জ্বলতে থাকা ২৮টি কনটেইনারে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিছুক্ষণ পানি দেওয়ার পর আগুন থেমে গেলেও পুনরায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়ে জ্বলে উঠছে আগুন।
আজ মঙ্গলবার সকালে আগুন জ্বলতে থাকা যে কনটেইনারগুলোর ওপর তারা পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন, তার আশপাশে রাসায়নিকভর্তি আরও কনটেইনার আছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। তবে রাসায়নিক ভর্তি কনটেইনার এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তারা মৃদুভাবে জ্বলতে থাকা কনটেইনারগুলোর ওপর পানি ছিটানোর পাশাপাশি যেসব কনটেইনারে রপ্তানি পোশাক আছে বলে মনে করছেন, তাঁরা সেগুলো দরজা খুলে পণ্যের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে আগুন নেভাতে তাঁরা প্রাণপণে চেষ্টা করছেন। তবে ডিপোর ভেতরে থাকা কনটেইনারগুলোতে আগুন জ্বললেও সেখানে থাকা রাসায়নিকভর্তি ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি কনটেইনার শনাক্ত করতে পারেননি। যার ফলে ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ডিপোর মূল ফটক থেকে দেড় শ মিটার দক্ষিণে স্তূপ করে রাখা কনটেইনারে থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। আর জ্বলতে থাকা কনটেইনারগুলোর ওপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অনবরত পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ডিপোর উত্তর পাশের বেশ কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলতে দেখা না গেলেও সেগুলো থেকে অনবরত ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরোচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য বলেন, গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তাঁরা যখন আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন, ঠিক তখনই জ্বলতে থাকা কনটেইনারের ভেতর থেকে নীল রঙের ছোট কেমিক্যালভর্তি একটি কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কনটেইনারটি ছিটকে তাদের সামনে এসে পড়ে। এ ঘটনায় তাদের কেউ আহত না হলেও পুনরায় বিস্ফোরণের আশঙ্কায় তাঁরা ভীত হয়ে পড়েন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি। তিনি জানান, ডিপোর আগুন নেভাতে রোটেশন অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। গতকাল সোমবার রাত থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের ৫০ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আগুন নেভাতে ফোম জেনারেটর, কেমিক্যাল জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিপোতে কনটেইনার মোভার সংকটের কারণে কাজ করতে বেগ পাচ্ছেন তাঁরা। মোভার বাড়ানো গেলে কনটেইনার সরিয়ে অগ্নি নির্বাপণের কাজ আরও দ্রুত করা যেত।
আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও অনেক সময় লাগবে জানিয়ে পূর্ণ চন্দ্র বলেন, ‘মোভার সংকটের কারণে একটি কনটেইনার নামাতে ও সেটিং করতে অনেক সময় লেগে যায়। নামানোর পরে আগুনের তাপের কারণে দরজা খোলা যায় না। দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দরজার লোহা বড় হয়ে গেছে। তখন দরজা কাটতে হয়। স্টিলের দরজা কাটতেও অনেক সময় লেগে যায়। এরপর এগুলোতে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে হয়।’
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুলাল জানান, আগুন নেভাতে রাতভর কাজ করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু উত্তপ্ত কনটেইনারের ভেতরের পণ্যগুলো থেকে আবার আগুন ধরে যায়। কনটেইনারের আশপাশে থাকা রাসায়নিক কেমিক্যালের কনটেইনারগুলো চিহ্নিত করতে না পারায় আগুন পুরোপুরি নেভাতে বেগ পাচ্ছেন তাঁরা। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সম্পর্কিত সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি। আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য।
এই সম্পর্কিত সর্বশেষ:
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে