বুড়িচং ও কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর বাজারে অবস্থিত ফরিদ উদ্দিন ডাক্তার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকারও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাহবুবের ফলের দোকান ও আবু খায়েরের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মুহূর্তেই আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার, চুলা ও যন্ত্রাংশের দোকান, চাল-সার ও মুদি পণ্য, ফ্রিজ ও ইলেকট্রনিকস, সেলুন, হোমিওপ্যাথিক ও খেলনার দোকান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবু খায়ের ট্রেডার্স, মাসুদ স্টোর, সুমন স্টোর, মহসিন ট্রেডার্স ও হাসান ভূঁইয়া ইলেকট্রনিকস।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিটি দোকানে ৩ থেকে ১৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু মহসিন ট্রেডার্সেই পুড়ে গেছে ১৫০ বস্তা চাল ও সার।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সারা দিন বিক্রি শেষে দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়েছিলাম। হঠাৎ ফোনে জানতে পারি বাজারে আগুন। এসে দেখি দোকান বলতে কিছুই নেই। প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।’
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেন, ‘আমার দোকানে চিনি, চাল, ডালসহ নানা পণ্য ছিল। সব পুড়ে গেছে। দুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, সংসার চালানো—সবকিছু থমকে গেল।’
ইলেকট্রনিকস মেরামতের দোকানদার বলেন, ‘দোকানে কয়েকটি টিভি, ফ্যান ও ফ্রিজ ছিল মেরামতের জন্য রাখা। সবই পুড়ে ছাই। ক্রেতাদের কী জবাব দেব, বুঝতে পারছি না।’
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শওকত আলী বলেন, ‘১০ বছরের সাজানো দোকান মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে গেল। আমি সর্বস্ব হারিয়েছি।’
প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এই দোকানেই আমার জীবিকা ছিল। এখন আর কিছুই নেই। সরকারের সহায়তা ছাড়া সামনে পথ নেই।’
বুড়িচং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন বলেন, ‘তিনটি ইউনিট নিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রায় ১০টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ পরে জানানো যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হবে এবং আর্থিক সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় বাজারজুড়ে আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর বাজারে অবস্থিত ফরিদ উদ্দিন ডাক্তার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকারও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাহবুবের ফলের দোকান ও আবু খায়েরের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মুহূর্তেই আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার, চুলা ও যন্ত্রাংশের দোকান, চাল-সার ও মুদি পণ্য, ফ্রিজ ও ইলেকট্রনিকস, সেলুন, হোমিওপ্যাথিক ও খেলনার দোকান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবু খায়ের ট্রেডার্স, মাসুদ স্টোর, সুমন স্টোর, মহসিন ট্রেডার্স ও হাসান ভূঁইয়া ইলেকট্রনিকস।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিটি দোকানে ৩ থেকে ১৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু মহসিন ট্রেডার্সেই পুড়ে গেছে ১৫০ বস্তা চাল ও সার।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সারা দিন বিক্রি শেষে দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়েছিলাম। হঠাৎ ফোনে জানতে পারি বাজারে আগুন। এসে দেখি দোকান বলতে কিছুই নেই। প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।’
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেন, ‘আমার দোকানে চিনি, চাল, ডালসহ নানা পণ্য ছিল। সব পুড়ে গেছে। দুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, সংসার চালানো—সবকিছু থমকে গেল।’
ইলেকট্রনিকস মেরামতের দোকানদার বলেন, ‘দোকানে কয়েকটি টিভি, ফ্যান ও ফ্রিজ ছিল মেরামতের জন্য রাখা। সবই পুড়ে ছাই। ক্রেতাদের কী জবাব দেব, বুঝতে পারছি না।’
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শওকত আলী বলেন, ‘১০ বছরের সাজানো দোকান মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে গেল। আমি সর্বস্ব হারিয়েছি।’
প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এই দোকানেই আমার জীবিকা ছিল। এখন আর কিছুই নেই। সরকারের সহায়তা ছাড়া সামনে পথ নেই।’
বুড়িচং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন বলেন, ‘তিনটি ইউনিট নিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রায় ১০টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ পরে জানানো যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হবে এবং আর্থিক সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় বাজারজুড়ে আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শামীম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে এসিআই ফুড ফ্যাক্টরির কার্যক্রম চালু করতে দেওয়া হবে না। নিহত শামীমের বোন রেশমা বলেন, `আমার ভাইকে যারা মেরেছে, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই ফ্যাক্টরি চলতে দেওয়া হবে না।’
৭ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত প্রতিপক্ষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে লুৎফর রহমান (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার সরকারটারী গ্রামের জহর আলীর ছেলে। আজ শনিবার তাঁকে কুড়িগ্রাম জেলা আদালতে...
১৫ মিনিট আগেরংপুরে বিশেষ অভিযানে চোরাই ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পীরগাছা থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই শফিকুল ইসলাম আকন্দের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এসময় চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চোর...
২৬ মিনিট আগেঠাকুরগাঁও শহরের কাদের ফিলিং স্টেশনের সামনে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাহিন ইসলাম (১৯) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নাইস (১৯) নামে আরেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৪২ মিনিট আগে