রাঙামাটি প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নকাজ করার আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অতীতে এসব দিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলে কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সোমবার রাঙামাটির আশিকা কনভেনশন পার্কের সম্মেলন কক্ষে একটি কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বিশেষায়িত ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, কৃষি বাস্তুসংস্থানিক ভূচিত্র পুনরুদ্ধার, প্রকৃতি নির্ভর সমাধান নির্ণয়, সম্প্রদায় ভিত্তিক অভিযোজন ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রস্তুতকরণে স্থানীয় সুবিধাভোগীদের মতামত নেওয়ার বিষয়ে এই কর্মশালা হয়।
কর্মশালা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অতীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এডিবি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। পাকিস্তান সরকার কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করায় এই এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ভূমির সংকট তৈরি হয়েছে। সংরক্ষিত বন পানিতে তলিয়ে গেছে। চাষাবাদযোগ্য ৫৪ হাজার একর জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়া ভূমির সংকট তৈরি হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, মানুষ জীবন বাঁচাতে বনে আশ্রয় নেওয়ায় বন ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া এখানে জিয়াউর রহমানের আমলে বাইরে থেকে মানুষ পুনর্বাসন করায় এখানে সংকট তৈরি করা হয়েছে। এর মাশুল এখন গুনতে হচ্ছে। সম্প্রতি যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এটি বাস্তবসম্মত। এটি আরও আগে করার প্রয়োজন ছিল। দেরি হলেও এমন প্রকল্প নেওয়ায় পাহাড়ের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করবে বলে বক্তারা মনে করেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, এডিবির ইকোনমি রিলেশন বিভাগের যুগ্ম সচিব এসএম জাকারিয়া হক, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান।
কর্মশালা শুরুর আগে কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জলবায়ু বিষয়ক প্রকৌশলী আহমেদ জুলফিকার রহমান। কর্মশালায় বক্তব্য দেন কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা, সড়ক জনপথ বিভাগের রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা, শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান, হেডম্যান শান্তি বিজয় চাকমা, হেডম্যান থোয়াইঅং মারমা, অধ্যাপক নিখিল চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান মিয়া, উন্নয়ন কর্মী পলাশ খীসা, এড কক্সি তালুকদার, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার আল হক, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক হিমেল চাকমা প্রমুখ।
এই কর্মশালার আলোকে ভবিষ্যতে এডিবির সহায়তায় ক্লাইমেট রিলায়েন্স লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার শেড ম্যানেজমেন্ট ইন সিএইচটি সেক্টর প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নকাজ করার আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অতীতে এসব দিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলে কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সোমবার রাঙামাটির আশিকা কনভেনশন পার্কের সম্মেলন কক্ষে একটি কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বিশেষায়িত ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, কৃষি বাস্তুসংস্থানিক ভূচিত্র পুনরুদ্ধার, প্রকৃতি নির্ভর সমাধান নির্ণয়, সম্প্রদায় ভিত্তিক অভিযোজন ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রস্তুতকরণে স্থানীয় সুবিধাভোগীদের মতামত নেওয়ার বিষয়ে এই কর্মশালা হয়।
কর্মশালা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অতীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এডিবি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। পাকিস্তান সরকার কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করায় এই এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ভূমির সংকট তৈরি হয়েছে। সংরক্ষিত বন পানিতে তলিয়ে গেছে। চাষাবাদযোগ্য ৫৪ হাজার একর জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়া ভূমির সংকট তৈরি হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, মানুষ জীবন বাঁচাতে বনে আশ্রয় নেওয়ায় বন ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া এখানে জিয়াউর রহমানের আমলে বাইরে থেকে মানুষ পুনর্বাসন করায় এখানে সংকট তৈরি করা হয়েছে। এর মাশুল এখন গুনতে হচ্ছে। সম্প্রতি যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এটি বাস্তবসম্মত। এটি আরও আগে করার প্রয়োজন ছিল। দেরি হলেও এমন প্রকল্প নেওয়ায় পাহাড়ের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করবে বলে বক্তারা মনে করেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, এডিবির ইকোনমি রিলেশন বিভাগের যুগ্ম সচিব এসএম জাকারিয়া হক, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান।
কর্মশালা শুরুর আগে কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জলবায়ু বিষয়ক প্রকৌশলী আহমেদ জুলফিকার রহমান। কর্মশালায় বক্তব্য দেন কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা, সড়ক জনপথ বিভাগের রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা, শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান, হেডম্যান শান্তি বিজয় চাকমা, হেডম্যান থোয়াইঅং মারমা, অধ্যাপক নিখিল চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান মিয়া, উন্নয়ন কর্মী পলাশ খীসা, এড কক্সি তালুকদার, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার আল হক, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক হিমেল চাকমা প্রমুখ।
এই কর্মশালার আলোকে ভবিষ্যতে এডিবির সহায়তায় ক্লাইমেট রিলায়েন্স লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার শেড ম্যানেজমেন্ট ইন সিএইচটি সেক্টর প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হবে।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৪ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩৭ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে