শিপ্ত বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে। এই পরিবারে এখন বেঁচে আছেন নিহত আজিজুর রহমানের দুই ছেলে মনছুর আলম ও রমজান আলী এবং তার দুই নাতি। মা-বাবা-স্ত্রীকে হারিয়ে হারিয়ে শোকে পাথর হয়েছেন রমজান আলী। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাবা রমজান আলী। এদিকে মাকে হারানোর কথা এখনো বুঝে উঠতে পারছে না ৫ বছরের শিশু।
গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কাউয়াখোপের মুরা পাড়ায় পাহাড়ে এই ধসের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে স্থানীয় জনগণ ও রামু ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন ওই এলাকার আজিজুর রহমান, তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন, শাশুড়ি দিল ফুরুস বেগম ও পুত্রবধূ নাছিমা আকতার।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কাউয়ারখোপ মুরা পাড়া ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় এক সঙ্গে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের মাতম চলছে। নিহত চারজনের মধ্যে দিল ফুরুস বেগমের মরদেহ তাঁর নিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্য তিনজনের মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। জানাজার পর তিনটি মরদেহ একই জায়গায় দাফন করা হবে।
পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহত আজিজুর রহমানের ছেলে রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আর এখানে থাকব না। গতকালের ঘটনার সময় আমি ঘরে ছিলাম না। আমার দুই শিশু সন্তান ছিল, তারা রান্না ঘরে না থেকে বাড়ির ভেতরে থাকায় প্রাণে রক্ষা পায়। তাদের মা-ও মারা গেল। এখন এই দুই শিশুকে নিয়ে আমি কোথায় যাব। পাঁচ-দশ বছর আগে পাহাড় কেটে আমরা ঘর করেছিলাম। সম্প্রতি কোনো পাহাড় কাঁটা হয়নি।’
তবে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ‘এলাকায় পাহাড় কেটে পাহাড়ের পাদদেশে অনেক ঘর বাড়ি হয়েছে। যুগ যুগ ধরে এখানে পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি করছে স্থানীয় ও অন্য ইউনিয়নের লোকজন। পাহাড়ের পাদদেশে ঘর-বাড়ি করলেও তাদেরকে তুলে দেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের নেই।’
এদিকে একই পরিবারের চার সদস্যকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন বলে জানান নিহত আজিজুর রহমানের দুই ছেলে মনছুর আলম ও রমজান আলী। মনছুর আলম বলেন, ‘আমরা বর্তমানে যেখানে আছি সেটাও বিপজ্জনক, অন্য কোথাও যে যাব সে সামর্থ্যও নেই। তা ছাড়া আমার মা-বাবা ও ভাবি মারা গেলেন। আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম।’
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুরা পাড়া এলাকায় বর্তমানে আরও ৩০টি পরিবার পাহাড় ধসের মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন বলে জানান এলাকার সর্দার নুরুল আমিন মিস্ত্রি ও মুয়াজ্জিন মাওলানা নুরুল আমিন। অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি নির্মাণ ও নানান স্থাপনার কাজও নিয়মিত চলছেন বলে জানান তারা। একাধিকবার জুমার খুতবা ও বিভিন্নভাবে এলাকায় পাহাড় না কাটার সচেতনতামূলক দিক-নির্দেশনা দিলেও অনেকেই শোনেন না বলে দাবি এই দুই প্রতিনিধির। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাউয়ারখোপ এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ পরিবারকে সরিয়ে না নিলে আবারও যেকোনো সময় একই দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কার কথা জানান তারা।
পাহাড় কাঁটা বন্ধ ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি, অবৈধভাবে পাহাড় কেটে যারা মাটি নিয়ে যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাহাড়ের পাদদেশে যারা বসবাস করছে তাদের ধারাবাহিকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি পাহাড় কাঁটা বন্ধে ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।’
কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে। এই পরিবারে এখন বেঁচে আছেন নিহত আজিজুর রহমানের দুই ছেলে মনছুর আলম ও রমজান আলী এবং তার দুই নাতি। মা-বাবা-স্ত্রীকে হারিয়ে হারিয়ে শোকে পাথর হয়েছেন রমজান আলী। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাবা রমজান আলী। এদিকে মাকে হারানোর কথা এখনো বুঝে উঠতে পারছে না ৫ বছরের শিশু।
গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কাউয়াখোপের মুরা পাড়ায় পাহাড়ে এই ধসের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে স্থানীয় জনগণ ও রামু ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন ওই এলাকার আজিজুর রহমান, তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন, শাশুড়ি দিল ফুরুস বেগম ও পুত্রবধূ নাছিমা আকতার।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কাউয়ারখোপ মুরা পাড়া ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় এক সঙ্গে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের মাতম চলছে। নিহত চারজনের মধ্যে দিল ফুরুস বেগমের মরদেহ তাঁর নিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্য তিনজনের মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। জানাজার পর তিনটি মরদেহ একই জায়গায় দাফন করা হবে।
পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহত আজিজুর রহমানের ছেলে রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আর এখানে থাকব না। গতকালের ঘটনার সময় আমি ঘরে ছিলাম না। আমার দুই শিশু সন্তান ছিল, তারা রান্না ঘরে না থেকে বাড়ির ভেতরে থাকায় প্রাণে রক্ষা পায়। তাদের মা-ও মারা গেল। এখন এই দুই শিশুকে নিয়ে আমি কোথায় যাব। পাঁচ-দশ বছর আগে পাহাড় কেটে আমরা ঘর করেছিলাম। সম্প্রতি কোনো পাহাড় কাঁটা হয়নি।’
তবে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ‘এলাকায় পাহাড় কেটে পাহাড়ের পাদদেশে অনেক ঘর বাড়ি হয়েছে। যুগ যুগ ধরে এখানে পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি করছে স্থানীয় ও অন্য ইউনিয়নের লোকজন। পাহাড়ের পাদদেশে ঘর-বাড়ি করলেও তাদেরকে তুলে দেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের নেই।’
এদিকে একই পরিবারের চার সদস্যকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন বলে জানান নিহত আজিজুর রহমানের দুই ছেলে মনছুর আলম ও রমজান আলী। মনছুর আলম বলেন, ‘আমরা বর্তমানে যেখানে আছি সেটাও বিপজ্জনক, অন্য কোথাও যে যাব সে সামর্থ্যও নেই। তা ছাড়া আমার মা-বাবা ও ভাবি মারা গেলেন। আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম।’
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুরা পাড়া এলাকায় বর্তমানে আরও ৩০টি পরিবার পাহাড় ধসের মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন বলে জানান এলাকার সর্দার নুরুল আমিন মিস্ত্রি ও মুয়াজ্জিন মাওলানা নুরুল আমিন। অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি নির্মাণ ও নানান স্থাপনার কাজও নিয়মিত চলছেন বলে জানান তারা। একাধিকবার জুমার খুতবা ও বিভিন্নভাবে এলাকায় পাহাড় না কাটার সচেতনতামূলক দিক-নির্দেশনা দিলেও অনেকেই শোনেন না বলে দাবি এই দুই প্রতিনিধির। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাউয়ারখোপ এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ পরিবারকে সরিয়ে না নিলে আবারও যেকোনো সময় একই দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কার কথা জানান তারা।
পাহাড় কাঁটা বন্ধ ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি, অবৈধভাবে পাহাড় কেটে যারা মাটি নিয়ে যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাহাড়ের পাদদেশে যারা বসবাস করছে তাদের ধারাবাহিকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি পাহাড় কাঁটা বন্ধে ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে