ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উন্মাদনা বাড়ছে ফুটবল প্রেমীদের। ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন ফুটবল ভক্তরা। প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা জানান দিতে নিজের পেশাকে কাজে লাগিয়েন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফুটবল প্রেমী আব্দুর রহমান ভান্টি। মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের বসতঘরকে আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙিয়ে দলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ঘনিয়া গ্রামের বাচ্ছু বেপারীর ছেলে আব্দুর রহমান ভান্টি। পেশায় রঙের কারিগর। জীবিকার তাগিদে অন্যের বাসা-বাড়ি রাঙালেও কখনো ভাবেননি নিজের ঘরটি এভাবে রাঙাবেন তিনি। আগত কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসায় নিজের প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা জানান দিতে তাঁর নিজের ঘর আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রং করাসহ ফুটবলের সুপারস্টার মেসির ছবি এঁকে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। বাড়িটি এখন আর্জেন্টিনার বাড়ি বলে পরিচিত পেয়েছে স্থানীয়দের কাছে।
আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে আব্দুর রহমান ভান্টির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চৌচালা একটি টিনের ঘর। সাদা আকাশি রঙে রাঙানো। ফুটবল তারকা মেসির ছবি। সঙ্গে নিজের দেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে ঘটির টিনের চালে উড়িয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের পতাকা। দৃষ্টি নন্দনভাবে রাঙানো তাঁর বসতঘরটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ঘরটি দেখতে প্রতিবেশীরা দলে দলে ছুটে আসছেন।
পরিবারের দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আব্দুর রহমান দ্বিতীয়। মানুরী ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেছেন। প্রবল ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের দৈন্যর কারণে পড়াশোনায় সামনে এগোতে পারেননি। পরিবারের অর্থনৈতিক হাল ধরতে রংমিস্ত্রি পেশায় কর্ম শুরু করেন। তাঁর কষ্টে অর্জিত টাকা থেকে পরিবারের ব্যয় শেষে অল্প অল্প করে জমিয়ে তাঁদের টিনের বাড়িকে রাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে। যার মাঝখানে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা, ফুটবল তারকা মেসি ও তাঁর নিজের ছবি।
এলাকাবাসী কাউছার আহমেদ বিপ্লবসহ কয়েকজন জানান, ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনার নাম শুনে এবং অনলাইনে ম্যারাডোনার পুরোনো খেলা দেখে আর্জেন্টিনার প্রেমে পড়েন ভান্টি। এরপর থেকে মনে প্রাণে আর্জেন্টিনা দল সমর্থন করে আসছেন। চলতি বছরের অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলকে শুধু সমর্থন নয়, তাঁর নিজের ঘরটি আর্জেন্টিনা পতাকার রঙে রাঙিয়েছেন। বর্তমানে লিওনেল মেসির খেলা দেখে মুগ্ধ। এবার আর্জেন্টিনা দল বিশ্বকাপ জিতবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
আর্জেন্টিনা দলকে শুধু ভালোবেসে ঘরের রং করেছেন এমন নয় আর্জেন্টিনার খেলার দিন এলাকার আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিয়ে বড় পর্দায় খেলা দেখার আয়োজনের পরিকল্পনাও করেছেন ভান্টি।
ফুটবলপ্রেমী আব্দুর রহমান ভান্টি বলেন, ‘ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনার নাম বাবার মুখে শুনেছি। সে থেকেই অনলাইনে নিয়মিত ম্যারাডোনার পুরোনো খেলা গুলো দেখি এবং আর্জেন্টিনার ভক্ত হয়ে পড়ি। বেশি ভালোবাসি আর্জেন্টিনা তারকা ফুটবলার মেসিকে। তার ভালোবাসা থেকেই নিজে কাজ করে কিছু কিছু টাকা জমিয়ে আমাদের বসতরত টিনের ঘর করে আর্জেন্টিনা পতাকার আদলে রং করেছি।’
গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাহান পাটওয়ারী বলেন, ‘তার ঘরটি আর্জেন্টিনার পতাকার রং করায় খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। তিনি আর্জেন্টিনার ভক্ত ছিলেন। আমিও এই দলের ভক্ত। আমি তাদের ঘর রং করতে উৎসাহ দিয়েছি।’
সাবেক ফুটবলার ও ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে আমি বিষয়টি শুনেছি। সত্যি কথা বলতে এ দেশে যুবসমাজ ফুটবল মানেই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকেই বুঝে থাকে। আব্দুর রহমান ভান্টির সঙ্গে আমার সরাসরি দেখা না হলেও ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসাকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমরা বীরের জাতি হিসেবে দেশ প্রেমকেই প্রথমে প্রাধান্য দিতে হবে।’
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উন্মাদনা বাড়ছে ফুটবল প্রেমীদের। ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন ফুটবল ভক্তরা। প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা জানান দিতে নিজের পেশাকে কাজে লাগিয়েন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফুটবল প্রেমী আব্দুর রহমান ভান্টি। মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের বসতঘরকে আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙিয়ে দলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ঘনিয়া গ্রামের বাচ্ছু বেপারীর ছেলে আব্দুর রহমান ভান্টি। পেশায় রঙের কারিগর। জীবিকার তাগিদে অন্যের বাসা-বাড়ি রাঙালেও কখনো ভাবেননি নিজের ঘরটি এভাবে রাঙাবেন তিনি। আগত কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসায় নিজের প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা জানান দিতে তাঁর নিজের ঘর আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রং করাসহ ফুটবলের সুপারস্টার মেসির ছবি এঁকে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। বাড়িটি এখন আর্জেন্টিনার বাড়ি বলে পরিচিত পেয়েছে স্থানীয়দের কাছে।
আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে আব্দুর রহমান ভান্টির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চৌচালা একটি টিনের ঘর। সাদা আকাশি রঙে রাঙানো। ফুটবল তারকা মেসির ছবি। সঙ্গে নিজের দেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে ঘটির টিনের চালে উড়িয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের পতাকা। দৃষ্টি নন্দনভাবে রাঙানো তাঁর বসতঘরটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ঘরটি দেখতে প্রতিবেশীরা দলে দলে ছুটে আসছেন।
পরিবারের দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আব্দুর রহমান দ্বিতীয়। মানুরী ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেছেন। প্রবল ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের দৈন্যর কারণে পড়াশোনায় সামনে এগোতে পারেননি। পরিবারের অর্থনৈতিক হাল ধরতে রংমিস্ত্রি পেশায় কর্ম শুরু করেন। তাঁর কষ্টে অর্জিত টাকা থেকে পরিবারের ব্যয় শেষে অল্প অল্প করে জমিয়ে তাঁদের টিনের বাড়িকে রাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে। যার মাঝখানে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা, ফুটবল তারকা মেসি ও তাঁর নিজের ছবি।
এলাকাবাসী কাউছার আহমেদ বিপ্লবসহ কয়েকজন জানান, ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনার নাম শুনে এবং অনলাইনে ম্যারাডোনার পুরোনো খেলা দেখে আর্জেন্টিনার প্রেমে পড়েন ভান্টি। এরপর থেকে মনে প্রাণে আর্জেন্টিনা দল সমর্থন করে আসছেন। চলতি বছরের অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলকে শুধু সমর্থন নয়, তাঁর নিজের ঘরটি আর্জেন্টিনা পতাকার রঙে রাঙিয়েছেন। বর্তমানে লিওনেল মেসির খেলা দেখে মুগ্ধ। এবার আর্জেন্টিনা দল বিশ্বকাপ জিতবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
আর্জেন্টিনা দলকে শুধু ভালোবেসে ঘরের রং করেছেন এমন নয় আর্জেন্টিনার খেলার দিন এলাকার আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিয়ে বড় পর্দায় খেলা দেখার আয়োজনের পরিকল্পনাও করেছেন ভান্টি।
ফুটবলপ্রেমী আব্দুর রহমান ভান্টি বলেন, ‘ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনার নাম বাবার মুখে শুনেছি। সে থেকেই অনলাইনে নিয়মিত ম্যারাডোনার পুরোনো খেলা গুলো দেখি এবং আর্জেন্টিনার ভক্ত হয়ে পড়ি। বেশি ভালোবাসি আর্জেন্টিনা তারকা ফুটবলার মেসিকে। তার ভালোবাসা থেকেই নিজে কাজ করে কিছু কিছু টাকা জমিয়ে আমাদের বসতরত টিনের ঘর করে আর্জেন্টিনা পতাকার আদলে রং করেছি।’
গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাহান পাটওয়ারী বলেন, ‘তার ঘরটি আর্জেন্টিনার পতাকার রং করায় খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। তিনি আর্জেন্টিনার ভক্ত ছিলেন। আমিও এই দলের ভক্ত। আমি তাদের ঘর রং করতে উৎসাহ দিয়েছি।’
সাবেক ফুটবলার ও ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে আমি বিষয়টি শুনেছি। সত্যি কথা বলতে এ দেশে যুবসমাজ ফুটবল মানেই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকেই বুঝে থাকে। আব্দুর রহমান ভান্টির সঙ্গে আমার সরাসরি দেখা না হলেও ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসাকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমরা বীরের জাতি হিসেবে দেশ প্রেমকেই প্রথমে প্রাধান্য দিতে হবে।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
২ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
২ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
২ ঘণ্টা আগে