Ajker Patrika

চবিতে সংঘর্ষে আহত ৩ শতাধিক, দাবি ছাত্রদলের

চবি সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, ‘আহতের সংখ্যা তিন শর অধিক। আমাদের কর্মী প্রায় ৭০ জনের মতো আহত হয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শহরের কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বড় বাসে করে আহত শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়েছি।’

রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাকিব মাহমুদ রুমি বলেন, ‘আমি নিজেই গতকাল রাত থেকে আহত। আজ এবং গতকাল মিলে ২৫০-এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গতকাল এবং আজকে মিলিয়ে আমাদের ২৫০-এর অধিক শিক্ষার্থী ভাইয়েরা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চমেকে ভর্তি আছেন।’

জানা গেছে, সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনও আহাত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত

শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে চবির ২ নম্বর গেট এলাকার একটি ভাড়া বাসার সামনে প্রথম সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ওই বাসায় এক শিক্ষার্থী ভাড়া থাকেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসায় ফিরলে দারোয়ান গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘক্ষণ তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে গেট খুলে ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন দারোয়ান।

এরপর ছাত্রী তাঁর সহপাঠীদের খবর দিলে তাঁরা সেখানে গিয়ে দারোয়ানের ওপর চড়াও হন। এ সময় দারোয়ান পালিয়ে যান। কিন্তু বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আরও শিক্ষার্থী জড়ো হন। শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে খুঁজতে গেলে স্থানীয়রা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘গেটে অনেকক্ষণ ধাক্কা দেওয়ার পরও খোলা হয়নি। পরে গেট খুলে আমাকে মারধর করা হয়। এরপর আমি সহপাঠীদের খবর দিলে ঘটনাটি বড় আকার নেয়।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়রা দেশীয় অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। শিক্ষার্থীদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের দুটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ও প্রক্টরিয়াল বডির একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রদূত হলেন দুই সেনা কর্মকর্তা

তৌকীর-বিপাশা বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন যে কারণে

ফিলিস্তিনকে আজই রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে আরও ৬ দেশ, বিরোধিতা ইসরায়েল–যুক্তরাষ্ট্রের

আশ্বিনে ৯ ঘণ্টায় ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি কি স্বাভাবিক, যা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর

ভারতীয় দর্শকদের বিমান ধসের ইঙ্গিত দিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের নতুন বিতর্ক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত