Ajker Patrika

চট্টগ্রামের রাউজান: খুনোখুনি রোধে অসহায় পুলিশ

  • ১৩ মাসে ১৬ খুন। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক
  • বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে শতাধিকবার
  • ৩৫০-এর বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ, মামলা হয় অর্ধশত
  • আসামি গ্রেপ্তার কম বলে জানিয়েছেন মামলার বাদীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও রাউজান প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭: ৫৬
মোহাম্মদ আবদুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আবদুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে নেতা-কর্মী হত্যার ঘটনার সর্বশেষ শিকার বিএনপির কর্মী ও ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম। তাঁর গাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করার কথা জানা গেলেও ঠিক কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাউজানে নেতাকেন্দ্রিক রাজনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বন্দ্ব থেকেও এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে রাউজান বিএনপির দুই ‘শিরোমণি’ হিসেবে পরিচিত গোলাম আকবর খন্দকার ও গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী নেতৃত্বাধীন উভয় গ্রুপই এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদাবাজি, মাটি-বালুর ব্যবসা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয় শতাধিকবার। এসব ঘটনায় ৩৫০-এর বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। মামলা করা হয় অর্ধশতাধিক। তবে আসামি গ্রেপ্তারের সংখ্যা খুবই কম বলে জানিয়েছেন মামলার বাদীরা।

হত্যাকাণ্ডগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ব্যবহৃত হয়েছে। কখনো পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সেখানকার পুলিশ। বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সামনে চট্টগ্রামের জেলা পুলিশও যেন অসহায়।

তবে সর্বশেষ হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়েছেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিবদমান একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আরেকপক্ষে রয়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি হলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ওই বছরের ২৮ আগস্ট থেকে। ওই দিন পিটিয়ে হত্যা করা হয় আব্দুল মান্নান নামের একজনকে। ১ সেপ্টেম্বর মো. ইউসুফ মিয়া এবং ২৯ অক্টোবর আজম খান নামের দুজনের লাশ পাওয়া যায়। ১১ নভেম্বর মেলে আবু তাহেরের লাশ। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ ফেব্রুয়ারি মুহাম্মদ হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ১৫ মার্চ পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন কমরউদ্দিন জিতু। ২১ মার্চ পিটিয়ে হত্যা করা হয় মো. রুবেলকে। ৪ এপ্রিল মা ও দুই ভাইয়ের হাতে খুন হন প্রকৌশলী নূর আলম বকুল। ১৭ এপ্রিল মো. জাফর নামের একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৯ এপ্রিল রাতে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আবদুল্লাহ মানিককে। ২২ এপ্রিল দোকানে ডেকে এনে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় মো. ইব্রাহিমকে। ৬ জুলাই স্ত্রী-কন্যার সামনে মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করেছে বোরকা পরা অস্ত্রধারীরা।

সর্বশেষ নিহত আব্দুল হাকিমের ভাই মুহাম্মদ পারভেজ বলেন, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারও শত্রুতা ছিল না। তিনি গিয়াসউদ্দিন কাদেরের অনুসারী। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন পারভেজ।

সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘আমার চোখের সামনে বোরকা পরা সন্ত্রাসীরা গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে কথা হলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, রাউজানে হত্যাকাণ্ড ঠেকানো যাচ্ছে না। কারণ অনেক হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। এ ছাড়া পারিবারিক সমস্যায় হত্যাগুলো তাৎক্ষণিক হচ্ছে। অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ করা যতটা সহজ, হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ ততটা সহজ নয়। তারপরও প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগুনের কালো ধোঁয়ার ভেতর আলো হয়ে উঠলেন শাহীন

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
আগুনের ভেতর থেকে কাপড়ের বস্তা বের করতে গিয়ে ধোঁয়ায় মুখ কালো হয়ে যায় শাহীন শিকদারের। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনের ভেতর থেকে কাপড়ের বস্তা বের করতে গিয়ে ধোঁয়ায় মুখ কালো হয়ে যায় শাহীন শিকদারের। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।

নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।

গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

শাহীন শিকদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহীন শিকদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।

সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’

জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’

বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’

শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোররাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ আছে।

তাঁরা হলো আব্দুল খালেক (৫৫), রিয়া পলি (১৩), নাসিমা খাতুন (৩৮), ফরিদা বেগম (৪০), ফতেজা আক্তার (৩৬), আলমাস আহমেদ (৩৬), অহিদ সরকার (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৭) সালমা বেগম (৪০), রুনা (৩৬), ছুফিয়া বেগম (৪০), জরিনা বেগম (৩০), রাকিব (৯), পারভিন (৪৮) ও বিথি খাতুন (৯)।

আবদুল মান্নান আরও বলেন, ভোরে সীমান্তে টহলের সময় আন্তর্জাতিক পিলার ২১৯ / ৭১ আরএস হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া নামক স্থানে ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুশ ইনের শিকার ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে রহনপুর ডাকবাংলোতে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখা আছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সত্যতা যাচাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ভ্যানচালক কারাগারে

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি মাদ্রাসার ১৩ বছর বয়সী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে অভিযুক্ত ভ্যানচালক সাকিবকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার একটি এলাকায় ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে ভ্যানচালক সাকিবের ভ্যানে করে মাদ্রাসায় ফিরছিল। পথে ভ্যানচালক ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়। গ্রেপ্তার সাকিব হোসেন রিফাইতপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের জাফের আলীর ছেলে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আজ সকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগার পাঠিয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাজিদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রের কাছে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৩
নিহত শিশু সাজিদ। ছবি: সংগৃহীত
নিহত শিশু সাজিদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের বোরহোলে পড়ে দুই বছর বয়সী শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় রাষ্ট্রের কাছে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে এই ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

লিগ্যাল নোটিশটি দেওয়া হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব; বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান; সেচ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী; তানোরের সহকারী প্রকৌশলী; রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক; তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)।

লিগ্যাল নোটিশে শিশু সাজিদের মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্রের কাছে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি বরেন্দ্রজুড়ে থাকা শত শত পরিত্যক্ত বোরহোল বন্ধ করা এবং অবৈধ গভীর নলকূপ স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

এই লিগ্যাল নোটিশে গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘বরেন্দ্রজুড়ে শত শত মৃত্যুকূপ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, শত শত পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপ জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয় বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে হাইকোর্ট ডিভিশনে জনস্বার্থে মামলা করা হবে।

পরিত্যক্ত বোরহোলের খোঁজ

এদিকে শিশু সাজিদের মৃত্যু এবং পরিত্যক্ত বোরহোল নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) রেজাউল আলম সরকার বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসককে একটি চিঠি দিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিভাগে বিএমডিএ ও বিএডিসি (সেচ) গভীর নলকূপ স্থাপন করে। অনেক ক্ষেত্রে গভীর নলকূপের পাইপের মুখটি অরক্ষিত বা উন্মুক্ত রাখা হয়। এতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনা রোধে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে সংশ্লিষ্ট জেলার পাইপের মুখ অরক্ষিত বা উন্মুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ গভীর নলকূপের তথ্য একটি ছকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে একটি পরিত্যক্ত নলকূপের বোরহোলে পড়ে শিশু সাজিদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ব্যক্তিমালিকানায় অবৈধভাবে সেমিডিপ বসাতে এই বোরহোল করা হয়েছিল। এক বছর ধরে গর্তটি উন্মুক্ত পড়ে ছিল। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক উদাসীনতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত