Ajker Patrika

ইউপি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন বাণিজ্য, চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ইউপি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন বাণিজ্য, চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দেওয়া টাকা উদ্ধারে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার এক যুবলীগ নেতা আদালতে নালিশি মামলা করেছেন। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলাটি করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। এতে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন কবিরকে আসামি করা হয়েছে। 

বাদি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, টাকা দেওয়ার পরও মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এরপর টাকাগুলো ফেরত চেয়ে বিভিন্ন চেষ্টা করেছি। নগদ টাকা ও চেক ফেরত না দেওয়ায় আইনগত নোটিস দিয়েছি। নোটিসে উল্লিখিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও আসামি টাকা ফেরত দেয়নি। তাই মামলা করেছি। 

অভিযোগে বলা হয়, বাদি এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অনুরোধে সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাদি মনোনয়ন বাণিজ্যে বিশ্বাসী নন। কিন্তু সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন কবির বাদিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে আওয়ামী লীগ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের মনোনয়ন নিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। হোসেন কবির চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদের আস্থাভাজন। তাঁর কথায় বিশ্বাস করে মনোনয়নের জন্য হোসেন কবিরকে প্রথমে ১৫ লাখ টাকা নগদ ও পরে সংসদ সদস্যের নামে ১৫ লাখ টাকার চেক দেন। এদিকে গত ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তালিকায় কামাল উদ্দিনের নাম আসেনি। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন স্থানীয় নেতারা তাঁর নাম পাঠাননি। পরে তিনি হোসেন কবিরের কাছে টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত না দেওয়ায় চেকের ছবিসহ ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এই স্ট্যাটাসে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে (সংসদ সদস্য) ১৫ লাখ টাকার চেক নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সংসদ সদস্যের নাম উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় হোসেন কবির ১০ জানুয়ারি কামালের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ট্রাইবুনালের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। 

এদিকে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, কামাল উদ্দিনের স্ট্যাটাসে দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যে। এটা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট। কামাল উদ্দিন তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত