সাফায়েত মেহেদী, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

২০১১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থী। সেদিন মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে বিজয় মিছিল করে মিনি ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ট্রাকটি উল্টে পাশের ডোবায় পড়ে যায়। মুহূর্তেই নিভে যায় ৪৫টি প্রাণ।
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ছুটে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। শোক জানাতে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ।
ট্র্যাজেডির স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’, আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়েছে স্মারক ‘অন্তিম’। প্রতিবছর ১১ জুলাই দিনটিকে মিরসরাইবাসী শ্রদ্ধাভরে পালন করে।
এদিকে সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নীরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
নিহত শাকিব, নয়ন, উজ্জ্বল, টিটু, ইফতেখার, সাজু, কাজল, জুয়েল, মোবারক, ধ্রুবনাথদের পরিবারের খবর কেউ রাখে না বলে অভিযোগ স্বজনদের। তাঁদের দাবি, প্রতিবছর দিবসটি এলে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে ফটোসেশন ও আলোচনাসভায় সীমাবদ্ধ থাকেন, এরপর আবার সবাই চলে যান।
দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার ১১ জুলাই, আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, বেলা ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর সাড়ে ১১টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল।
এক শিক্ষার্থীর বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল একমাত্র সন্তানকে হারানোর। ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস—ভয়াল ট্র্যাজেডিতে প্রাণ গেল আমার ছেলের।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর এই দিনে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আর স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু ফটোসেশন ও আলোচনা সভাতেই ব্যস্ত থাকেন। আমাদের খবর কেউ রাখে না।’
সহপাঠী হারানো আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আজমল হোসেন বলেন, ‘তারা ছিল আমার বন্ধুর মতো, ভাইয়ের মতো, সাথির মতো। একসাথে ক্লাস করেছি, খেলাধুলা করেছি, বই বদল করে পড়েছি, হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছি। মাত্র কয়েক মিনিটেই সব কিছু বদলে গেল—একটি ট্রাক, এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে গেল ৪৫টি জীবন, যাদের মধ্যে ১১ জন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল। ১১ বন্ধুর সাথে যুক্ত হলো নিজের পরিবারের শোকও। বাবার চাচাতো ভাই শুভ মামা আমার খেলার সাথি সেদিনের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ ছয় মাস মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে শেষ পর্যন্ত মায়া ত্যাগ করে এ পৃথিবীর। এ মৃত্যু যেন আমার শোক বাড়িয়ে দেয় আরও বহুগুণ।’
আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘১১ জুলাই সকাল ১০টায় নিহতদের স্মরণে দুই স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর বেলা ১১টায় স্কুলের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার, নিহতদের পরিবার, স্বজন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও এলাকাবাসী।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন, আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার দুজন, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের দুজন, একজন অভিভাবক, দুজন ফুটবলপ্রেমী যুবকসহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
একটি ট্রাক আর এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে যায় ৪৫টি সম্ভাবনাময় জীবন। মিরসরাই ট্র্যাজেডির এই ক্ষত আজও শুকায়নি।

২০১১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থী। সেদিন মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে বিজয় মিছিল করে মিনি ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ট্রাকটি উল্টে পাশের ডোবায় পড়ে যায়। মুহূর্তেই নিভে যায় ৪৫টি প্রাণ।
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ছুটে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। শোক জানাতে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ।
ট্র্যাজেডির স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’, আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়েছে স্মারক ‘অন্তিম’। প্রতিবছর ১১ জুলাই দিনটিকে মিরসরাইবাসী শ্রদ্ধাভরে পালন করে।
এদিকে সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নীরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
নিহত শাকিব, নয়ন, উজ্জ্বল, টিটু, ইফতেখার, সাজু, কাজল, জুয়েল, মোবারক, ধ্রুবনাথদের পরিবারের খবর কেউ রাখে না বলে অভিযোগ স্বজনদের। তাঁদের দাবি, প্রতিবছর দিবসটি এলে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে ফটোসেশন ও আলোচনাসভায় সীমাবদ্ধ থাকেন, এরপর আবার সবাই চলে যান।
দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার ১১ জুলাই, আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, বেলা ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর সাড়ে ১১টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল।
এক শিক্ষার্থীর বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল একমাত্র সন্তানকে হারানোর। ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস—ভয়াল ট্র্যাজেডিতে প্রাণ গেল আমার ছেলের।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর এই দিনে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আর স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু ফটোসেশন ও আলোচনা সভাতেই ব্যস্ত থাকেন। আমাদের খবর কেউ রাখে না।’
সহপাঠী হারানো আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আজমল হোসেন বলেন, ‘তারা ছিল আমার বন্ধুর মতো, ভাইয়ের মতো, সাথির মতো। একসাথে ক্লাস করেছি, খেলাধুলা করেছি, বই বদল করে পড়েছি, হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছি। মাত্র কয়েক মিনিটেই সব কিছু বদলে গেল—একটি ট্রাক, এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে গেল ৪৫টি জীবন, যাদের মধ্যে ১১ জন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল। ১১ বন্ধুর সাথে যুক্ত হলো নিজের পরিবারের শোকও। বাবার চাচাতো ভাই শুভ মামা আমার খেলার সাথি সেদিনের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ ছয় মাস মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে শেষ পর্যন্ত মায়া ত্যাগ করে এ পৃথিবীর। এ মৃত্যু যেন আমার শোক বাড়িয়ে দেয় আরও বহুগুণ।’
আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘১১ জুলাই সকাল ১০টায় নিহতদের স্মরণে দুই স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর বেলা ১১টায় স্কুলের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার, নিহতদের পরিবার, স্বজন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও এলাকাবাসী।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন, আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার দুজন, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের দুজন, একজন অভিভাবক, দুজন ফুটবলপ্রেমী যুবকসহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
একটি ট্রাক আর এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে যায় ৪৫টি সম্ভাবনাময় জীবন। মিরসরাই ট্র্যাজেডির এই ক্ষত আজও শুকায়নি।
সাফায়েত মেহেদী, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

২০১১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থী। সেদিন মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে বিজয় মিছিল করে মিনি ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ট্রাকটি উল্টে পাশের ডোবায় পড়ে যায়। মুহূর্তেই নিভে যায় ৪৫টি প্রাণ।
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ছুটে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। শোক জানাতে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ।
ট্র্যাজেডির স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’, আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়েছে স্মারক ‘অন্তিম’। প্রতিবছর ১১ জুলাই দিনটিকে মিরসরাইবাসী শ্রদ্ধাভরে পালন করে।
এদিকে সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নীরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
নিহত শাকিব, নয়ন, উজ্জ্বল, টিটু, ইফতেখার, সাজু, কাজল, জুয়েল, মোবারক, ধ্রুবনাথদের পরিবারের খবর কেউ রাখে না বলে অভিযোগ স্বজনদের। তাঁদের দাবি, প্রতিবছর দিবসটি এলে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে ফটোসেশন ও আলোচনাসভায় সীমাবদ্ধ থাকেন, এরপর আবার সবাই চলে যান।
দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার ১১ জুলাই, আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, বেলা ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর সাড়ে ১১টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল।
এক শিক্ষার্থীর বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল একমাত্র সন্তানকে হারানোর। ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস—ভয়াল ট্র্যাজেডিতে প্রাণ গেল আমার ছেলের।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর এই দিনে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আর স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু ফটোসেশন ও আলোচনা সভাতেই ব্যস্ত থাকেন। আমাদের খবর কেউ রাখে না।’
সহপাঠী হারানো আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আজমল হোসেন বলেন, ‘তারা ছিল আমার বন্ধুর মতো, ভাইয়ের মতো, সাথির মতো। একসাথে ক্লাস করেছি, খেলাধুলা করেছি, বই বদল করে পড়েছি, হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছি। মাত্র কয়েক মিনিটেই সব কিছু বদলে গেল—একটি ট্রাক, এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে গেল ৪৫টি জীবন, যাদের মধ্যে ১১ জন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল। ১১ বন্ধুর সাথে যুক্ত হলো নিজের পরিবারের শোকও। বাবার চাচাতো ভাই শুভ মামা আমার খেলার সাথি সেদিনের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ ছয় মাস মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে শেষ পর্যন্ত মায়া ত্যাগ করে এ পৃথিবীর। এ মৃত্যু যেন আমার শোক বাড়িয়ে দেয় আরও বহুগুণ।’
আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘১১ জুলাই সকাল ১০টায় নিহতদের স্মরণে দুই স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর বেলা ১১টায় স্কুলের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার, নিহতদের পরিবার, স্বজন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও এলাকাবাসী।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন, আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার দুজন, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের দুজন, একজন অভিভাবক, দুজন ফুটবলপ্রেমী যুবকসহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
একটি ট্রাক আর এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে যায় ৪৫টি সম্ভাবনাময় জীবন। মিরসরাই ট্র্যাজেডির এই ক্ষত আজও শুকায়নি।

২০১১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থী। সেদিন মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে বিজয় মিছিল করে মিনি ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ট্রাকটি উল্টে পাশের ডোবায় পড়ে যায়। মুহূর্তেই নিভে যায় ৪৫টি প্রাণ।
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ছুটে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। শোক জানাতে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ।
ট্র্যাজেডির স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’, আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়েছে স্মারক ‘অন্তিম’। প্রতিবছর ১১ জুলাই দিনটিকে মিরসরাইবাসী শ্রদ্ধাভরে পালন করে।
এদিকে সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নীরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
নিহত শাকিব, নয়ন, উজ্জ্বল, টিটু, ইফতেখার, সাজু, কাজল, জুয়েল, মোবারক, ধ্রুবনাথদের পরিবারের খবর কেউ রাখে না বলে অভিযোগ স্বজনদের। তাঁদের দাবি, প্রতিবছর দিবসটি এলে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে ফটোসেশন ও আলোচনাসভায় সীমাবদ্ধ থাকেন, এরপর আবার সবাই চলে যান।
দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার ১১ জুলাই, আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, বেলা ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর সাড়ে ১১টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল।
এক শিক্ষার্থীর বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল একমাত্র সন্তানকে হারানোর। ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস—ভয়াল ট্র্যাজেডিতে প্রাণ গেল আমার ছেলের।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর এই দিনে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আর স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু ফটোসেশন ও আলোচনা সভাতেই ব্যস্ত থাকেন। আমাদের খবর কেউ রাখে না।’
সহপাঠী হারানো আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আজমল হোসেন বলেন, ‘তারা ছিল আমার বন্ধুর মতো, ভাইয়ের মতো, সাথির মতো। একসাথে ক্লাস করেছি, খেলাধুলা করেছি, বই বদল করে পড়েছি, হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছি। মাত্র কয়েক মিনিটেই সব কিছু বদলে গেল—একটি ট্রাক, এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে গেল ৪৫টি জীবন, যাদের মধ্যে ১১ জন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল। ১১ বন্ধুর সাথে যুক্ত হলো নিজের পরিবারের শোকও। বাবার চাচাতো ভাই শুভ মামা আমার খেলার সাথি সেদিনের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ ছয় মাস মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে শেষ পর্যন্ত মায়া ত্যাগ করে এ পৃথিবীর। এ মৃত্যু যেন আমার শোক বাড়িয়ে দেয় আরও বহুগুণ।’
আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘১১ জুলাই সকাল ১০টায় নিহতদের স্মরণে দুই স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর বেলা ১১টায় স্কুলের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার, নিহতদের পরিবার, স্বজন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও এলাকাবাসী।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন, আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার দুজন, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের দুজন, একজন অভিভাবক, দুজন ফুটবলপ্রেমী যুবকসহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
একটি ট্রাক আর এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে যায় ৪৫টি সম্ভাবনাময় জীবন। মিরসরাই ট্র্যাজেডির এই ক্ষত আজও শুকায়নি।

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
৩১ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান।
৪৪ মিনিট আগে
নরসিংদীর রায়পুরায় তাহমিনা সরকার নামের এক প্রধান শিক্ষক প্রায় দেড় বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণ করে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়।
৮ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
সিয়াম-উল-হক জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও আগে আটক করা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া-সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছে।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দী থাকা নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন ও অল্প খরচে বিদেশ যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল।
পাচারকারীরা তাদের পাহাড়ে বন্দী রেখে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
সিয়াম-উল-হক জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও আগে আটক করা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া-সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছে।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দী থাকা নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন ও অল্প খরচে বিদেশ যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল।
পাচারকারীরা তাদের পাহাড়ে বন্দী রেখে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নিরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
১১ জুলাই ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান।
৪৪ মিনিট আগে
নরসিংদীর রায়পুরায় তাহমিনা সরকার নামের এক প্রধান শিক্ষক প্রায় দেড় বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণ করে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়।
৮ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান। তাঁরা আপন দুই ভাই। আজিজুর রহমান বড়। তাঁরা জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের বাবার নাম মনছুর আহমেদ। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গতকাল সোমবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত মনোনীত প্রার্থীদের তালিকায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য আজিজুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে কয়েক মাস আগে জামায়াত থেকে ওই আসনে ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও দুজনই জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও এটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি তাঁদের। তবে দুই দল থেকে আপন দুই ভাইয়ের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি এখন সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
জানতে চাইলে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি আমার বড় ভাই। তাঁর প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে তাঁকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। জামায়াত একটি আদর্শিক দল। এখানে দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তাঁর জন্য কাজ করবে। আর আমার ভাইয়ের দলে সবাই নেতা হতে চায়। একে অন্যের বিরোধিতা করে। ভোটাররা সব জানে, বোঝে। জামায়াতের পক্ষে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। ইনশা আল্লাহ জয় আমাদের হবে।’
বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট ভাই একসময় আমার কর্মী ছিল। এখন সে জামায়াতের প্রার্থী। আমাদের পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য তারা এমন করেছে। কিন্তু এতে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। দল আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করায় তাদের (জামায়াতের) পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। ছোট ভাইয়ের প্রতি পরিবার ও গ্রামবাসীর সমর্থন নেই। ভোটাররা আমার প্রতি আস্থাশীল। তারা বিএনপিকে জয়ী করবে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান। তাঁরা আপন দুই ভাই। আজিজুর রহমান বড়। তাঁরা জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের বাবার নাম মনছুর আহমেদ। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গতকাল সোমবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত মনোনীত প্রার্থীদের তালিকায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য আজিজুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে কয়েক মাস আগে জামায়াত থেকে ওই আসনে ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও দুজনই জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও এটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি তাঁদের। তবে দুই দল থেকে আপন দুই ভাইয়ের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি এখন সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
জানতে চাইলে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি আমার বড় ভাই। তাঁর প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে তাঁকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। জামায়াত একটি আদর্শিক দল। এখানে দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তাঁর জন্য কাজ করবে। আর আমার ভাইয়ের দলে সবাই নেতা হতে চায়। একে অন্যের বিরোধিতা করে। ভোটাররা সব জানে, বোঝে। জামায়াতের পক্ষে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। ইনশা আল্লাহ জয় আমাদের হবে।’
বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট ভাই একসময় আমার কর্মী ছিল। এখন সে জামায়াতের প্রার্থী। আমাদের পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য তারা এমন করেছে। কিন্তু এতে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। দল আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করায় তাদের (জামায়াতের) পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। ছোট ভাইয়ের প্রতি পরিবার ও গ্রামবাসীর সমর্থন নেই। ভোটাররা আমার প্রতি আস্থাশীল। তারা বিএনপিকে জয়ী করবে।’

সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নিরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
১১ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
৩১ মিনিট আগে
নরসিংদীর রায়পুরায় তাহমিনা সরকার নামের এক প্রধান শিক্ষক প্রায় দেড় বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণ করে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়।
৮ ঘণ্টা আগেহারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

নরসিংদীর রায়পুরায় তাহমিনা সরকার নামের এক প্রধান শিক্ষক প্রায় দেড় বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণ করে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
তাহমিনা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গতকাল সোমবার বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এদিনও তিনি বিদ্যালয়ে ছিলেন না। তবে সেখানে কথা হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে।
বিদ্যালয় সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১২ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১২ জন। তাহমিনা সরকার ২০১৬ সালের মার্চ মাসে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০২৩ সালে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে কয়েক দফায় অগ্নিসংযোগ ও টিউবওয়েলে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অফিসকক্ষের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও মালপত্র পুড়ে যায়। পরে প্রধান শিক্ষকের করা মামলায় অফিস সহকারী কাম নৈশপ্রহরী মামুনসহ স্থানীয় তিনজন জেলও খাটেন। এরপর থেকেই তিনি নানা অজুহাতে বিদ্যালয়ে আসছেন না। তবে উপজেলা অফিসে যান প্রায়ই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিহার সুলতানাসহ কয়েকজন বলেন, আগুন লাগানো ও টিউবওয়েলে বিষ দেওয়ার ঘটনার পর থেকেই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আর আসছেন না। প্রধান শিক্ষক না থাকায় নানা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে হতাশ। তারা বলে, ‘প্রধান শিক্ষক প্রায় এক বছর বিদ্যালয়ে আসেন না। এতে আমাদের পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা চাই তিনি দ্রুত স্কুলে ফিরে আসুন।’
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি খন্দকার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘যদি তিনি স্কুলে আসতে না চান, তবে তাঁর পরিবর্তে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। আমরা চাই স্কুল ভালো চলুক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন স্কুলে যাচ্ছি না সেটা আপনাকে কেন বলব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয় তারা জানে।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোহরাফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক তাহমিনা সরকারের ভাষ্যমতে, তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। আগের ডিপিও স্যারের কাছ থেকে শুরুতে তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন, পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতিতে অফিসে আসতেন; কিন্তু স্কুলে যেতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি সম্প্রতি তাঁকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি যদি না যান, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নরসিংদীর রায়পুরায় তাহমিনা সরকার নামের এক প্রধান শিক্ষক প্রায় দেড় বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণ করে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
তাহমিনা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গতকাল সোমবার বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এদিনও তিনি বিদ্যালয়ে ছিলেন না। তবে সেখানে কথা হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে।
বিদ্যালয় সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১২ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১২ জন। তাহমিনা সরকার ২০১৬ সালের মার্চ মাসে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০২৩ সালে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে কয়েক দফায় অগ্নিসংযোগ ও টিউবওয়েলে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অফিসকক্ষের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও মালপত্র পুড়ে যায়। পরে প্রধান শিক্ষকের করা মামলায় অফিস সহকারী কাম নৈশপ্রহরী মামুনসহ স্থানীয় তিনজন জেলও খাটেন। এরপর থেকেই তিনি নানা অজুহাতে বিদ্যালয়ে আসছেন না। তবে উপজেলা অফিসে যান প্রায়ই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিহার সুলতানাসহ কয়েকজন বলেন, আগুন লাগানো ও টিউবওয়েলে বিষ দেওয়ার ঘটনার পর থেকেই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আর আসছেন না। প্রধান শিক্ষক না থাকায় নানা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে হতাশ। তারা বলে, ‘প্রধান শিক্ষক প্রায় এক বছর বিদ্যালয়ে আসেন না। এতে আমাদের পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা চাই তিনি দ্রুত স্কুলে ফিরে আসুন।’
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি খন্দকার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘যদি তিনি স্কুলে আসতে না চান, তবে তাঁর পরিবর্তে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। আমরা চাই স্কুল ভালো চলুক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন স্কুলে যাচ্ছি না সেটা আপনাকে কেন বলব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয় তারা জানে।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোহরাফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক তাহমিনা সরকারের ভাষ্যমতে, তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। আগের ডিপিও স্যারের কাছ থেকে শুরুতে তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন, পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতিতে অফিসে আসতেন; কিন্তু স্কুলে যেতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি সম্প্রতি তাঁকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি যদি না যান, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নিরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
১১ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
৩১ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান।
৪৪ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়।
৮ ঘণ্টা আগেআরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়। আট বছর ধরে খালেই উল্টে রয়েছে সেতুটি। তখন থেকে এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন উপজেলার পূর্ব ধনীরাম আবাসনগামী রাস্তার খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজটির তদারকি করেন। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সেতুটি দেবে উল্টে যায়। পরে বন্যার পানির চাপে সেতুর সংযোগ সড়কও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিম্নমানের সামগ্রী আর নির্মাণ ত্রুটির কারণে সেতুটি ভেঙে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এরপর নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কয়েক দফা ‘তদন্ত’ হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ কিংবা প্রতিকার কোনোটিই মেলেনি।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক দশক দাবি করার পর একটি সেতু পেলেও নির্মাণের মাত্র তিন মাসে সেটি উল্টে যায়। এরপর প্রায় আট বছর পার হলেও নতুন সেতু নির্মাণ কিংবা বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেতুটি খালের মধ্যে এখনো উল্টে রয়েছে। ড্রামের ভেলা আর রশির সাহায্যে খালের পানি পাড়ি দিয়ে কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করছেন স্থানীয়রা। নারী ও শিশুশিক্ষার্থীসহ কয়েক শ পরিবারের হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিনিয়ত যোগাযোগ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে; কিন্তু প্রতিকারে এগিয়ে আসছে না কেউ।
প্রাকৃতিক বন্দিদশায় বসবাসকারী খালের ওপারের লোকজন বলছেন, একটি ব্রিজের অভাবে চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতসহ উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে স্থানীয়দের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বছরের পর বছর এ দুর্দশা চলে আসছে। এই অবস্থার অবসানে ওই খালের ওপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা কোরবান আলী ও মনোয়ারা বেগম জানান, পূর্ব ধনীরাম আবাসনের শতাধিক পরিবারসহ বাঘ খাওয়ার চরের কয়েক শ পরিবারকে উপজেলা শহর যাতায়াত ও বাজারঘাট করতে ওই খালের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওটাই একমাত্র পথ। বছরের আট মাস খালে পানি থাকে। ড্রামের ওপর কাঠের চ্যালা দিয়ে ভেলা বানিয়ে রশি টেনে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী চলাফেরা করছেন। ঝুঁকি নিয়ে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীসহ নারী ও রোগীদের ভেলায় করে পারাপার হতে হয়। অনেক সময় ছোট শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে যায়। এতে তাদের বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ নেব। ওই এলাকাবাসীর পক্ষে আমার কাছে একটি আবেদন দিলে তাঁদের যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার আবাসন ও বাঘ খাওয়ারচর নামক গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। নীলকমল ও ধরলা নদীর সংযোগকারী ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলেও এর সুবিধা ভোগের আগেই তা ভেঙে উল্টে যায়। আট বছর ধরে খালেই উল্টে রয়েছে সেতুটি। তখন থেকে এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন উপজেলার পূর্ব ধনীরাম আবাসনগামী রাস্তার খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজটির তদারকি করেন। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সেতুটি দেবে উল্টে যায়। পরে বন্যার পানির চাপে সেতুর সংযোগ সড়কও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিম্নমানের সামগ্রী আর নির্মাণ ত্রুটির কারণে সেতুটি ভেঙে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এরপর নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কয়েক দফা ‘তদন্ত’ হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ কিংবা প্রতিকার কোনোটিই মেলেনি।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক দশক দাবি করার পর একটি সেতু পেলেও নির্মাণের মাত্র তিন মাসে সেটি উল্টে যায়। এরপর প্রায় আট বছর পার হলেও নতুন সেতু নির্মাণ কিংবা বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেতুটি খালের মধ্যে এখনো উল্টে রয়েছে। ড্রামের ভেলা আর রশির সাহায্যে খালের পানি পাড়ি দিয়ে কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করছেন স্থানীয়রা। নারী ও শিশুশিক্ষার্থীসহ কয়েক শ পরিবারের হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিনিয়ত যোগাযোগ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে; কিন্তু প্রতিকারে এগিয়ে আসছে না কেউ।
প্রাকৃতিক বন্দিদশায় বসবাসকারী খালের ওপারের লোকজন বলছেন, একটি ব্রিজের অভাবে চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতসহ উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে স্থানীয়দের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বছরের পর বছর এ দুর্দশা চলে আসছে। এই অবস্থার অবসানে ওই খালের ওপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা কোরবান আলী ও মনোয়ারা বেগম জানান, পূর্ব ধনীরাম আবাসনের শতাধিক পরিবারসহ বাঘ খাওয়ার চরের কয়েক শ পরিবারকে উপজেলা শহর যাতায়াত ও বাজারঘাট করতে ওই খালের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওটাই একমাত্র পথ। বছরের আট মাস খালে পানি থাকে। ড্রামের ওপর কাঠের চ্যালা দিয়ে ভেলা বানিয়ে রশি টেনে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী চলাফেরা করছেন। ঝুঁকি নিয়ে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীসহ নারী ও রোগীদের ভেলায় করে পারাপার হতে হয়। অনেক সময় ছোট শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে যায়। এতে তাদের বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ নেব। ওই এলাকাবাসীর পক্ষে আমার কাছে একটি আবেদন দিলে তাঁদের যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নিরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
১১ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
৩১ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান।
৪৪ মিনিট আগে
নরসিংদীর রায়পুরায় তাহমিনা সরকার নামের এক প্রধান শিক্ষক প্রায় দেড় বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণ করে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে