সীতাকুণ্ডে ৭ মাসে নিহত ৩২
সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। পথচারী ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরও প্রশাসন কিংবা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সাত মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় পথচারী, যাত্রী, চালক ও চালকের সহকারীসহ ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এসব ঘটনায় ৩৮টি মামলা করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৬০ শতাংশ ঘটেছে পথচারীদের উদাসীনতা কারণে। বাকি ৪০ শতাংশ ঘটছে চালকের বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং প্রতিযোগিতা ও ঘুমচোখে গাড়ি চালানোর কারণে। এ ছাড়া রাস্তা পারাপারে পদচারী-সেতু ব্যবহার না করা, দ্রুতগতিতে গাড়ি আসতে দেখেও দৌড়ে সড়ক পার হওয়ার চেষ্টার কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিএনজিচালিত লেগুনা ও সেইফ লাইন এবং নিষিদ্ধ তিন চাকার সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে যাতায়াত করছে। এসব গাড়ির চালকদের বেশির ভাগই অদক্ষ। স্থানীয় রিকশাচালকেরা অভিজ্ঞতা ছাড়া এগুলো চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া মহাসড়ক চার লেন হওয়ায় সড়কে গাড়ির চাপ কিছুটা কমে গেছে, ফলে চালকেরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন। আর ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এসব গাড়ি।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ১৭টি স্থানে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানগুলো হলো সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট, ছোট দারোগারহাট, পৌর সদরের শেখপাড়া ইউটার্ন, সীতাকুণ্ড উত্তর বাইপাস, দক্ষিণ বাইপাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট এলাকা, শুকলাল হাট, বাড়বকুণ্ড বাজার, চাড়ালকান্দি ইউটার্ন, বাঁশবাড়িয়া বাজার, সুলতানা মন্দির, ছোট কুমিরা, রয়েল গেট, জোড়আমতল, বার আউলিয়া, শীতলপুর, মাদাম বিবিরহাট ও ফৌজদারহাট বন্দর সড়কের সংযোগস্থল।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মোমিন বলেন, পথচারী ও সাধারণ মানুষের উদাসীনতাই দুর্ঘটনা ঘটার মূল কারণ। সেই সঙ্গে চালকের ওভারস্পিড, ওভারটেক ও ওভারলোডের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে অধিকাংশ চালকের দুর্বলতা। বেশি টাকা উপার্জন ও একাধিক ট্রিপ মারতে ঘুমচোখে গাড়ি চালানো এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বহন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ছাড়া চালকের পরিবর্তে তাঁর সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলেও ঘটে অহরহ দুর্ঘটনা।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যৈষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলাল বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রতিনিয়ত আমাদের হিমশিম খেতে হয়। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি ইউটার্নে ট্রাফিক পুলিশ রাখা ও অসতর্কভাবে পারাপার বন্ধ করা গেলে দুর্ঘটনা অর্ধেকে নেমে আসবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। পথচারী ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরও প্রশাসন কিংবা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সাত মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় পথচারী, যাত্রী, চালক ও চালকের সহকারীসহ ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এসব ঘটনায় ৩৮টি মামলা করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৬০ শতাংশ ঘটেছে পথচারীদের উদাসীনতা কারণে। বাকি ৪০ শতাংশ ঘটছে চালকের বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং প্রতিযোগিতা ও ঘুমচোখে গাড়ি চালানোর কারণে। এ ছাড়া রাস্তা পারাপারে পদচারী-সেতু ব্যবহার না করা, দ্রুতগতিতে গাড়ি আসতে দেখেও দৌড়ে সড়ক পার হওয়ার চেষ্টার কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিএনজিচালিত লেগুনা ও সেইফ লাইন এবং নিষিদ্ধ তিন চাকার সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে যাতায়াত করছে। এসব গাড়ির চালকদের বেশির ভাগই অদক্ষ। স্থানীয় রিকশাচালকেরা অভিজ্ঞতা ছাড়া এগুলো চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া মহাসড়ক চার লেন হওয়ায় সড়কে গাড়ির চাপ কিছুটা কমে গেছে, ফলে চালকেরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন। আর ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এসব গাড়ি।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ১৭টি স্থানে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানগুলো হলো সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট, ছোট দারোগারহাট, পৌর সদরের শেখপাড়া ইউটার্ন, সীতাকুণ্ড উত্তর বাইপাস, দক্ষিণ বাইপাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট এলাকা, শুকলাল হাট, বাড়বকুণ্ড বাজার, চাড়ালকান্দি ইউটার্ন, বাঁশবাড়িয়া বাজার, সুলতানা মন্দির, ছোট কুমিরা, রয়েল গেট, জোড়আমতল, বার আউলিয়া, শীতলপুর, মাদাম বিবিরহাট ও ফৌজদারহাট বন্দর সড়কের সংযোগস্থল।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মোমিন বলেন, পথচারী ও সাধারণ মানুষের উদাসীনতাই দুর্ঘটনা ঘটার মূল কারণ। সেই সঙ্গে চালকের ওভারস্পিড, ওভারটেক ও ওভারলোডের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে অধিকাংশ চালকের দুর্বলতা। বেশি টাকা উপার্জন ও একাধিক ট্রিপ মারতে ঘুমচোখে গাড়ি চালানো এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বহন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ছাড়া চালকের পরিবর্তে তাঁর সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলেও ঘটে অহরহ দুর্ঘটনা।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যৈষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলাল বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রতিনিয়ত আমাদের হিমশিম খেতে হয়। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি ইউটার্নে ট্রাফিক পুলিশ রাখা ও অসতর্কভাবে পারাপার বন্ধ করা গেলে দুর্ঘটনা অর্ধেকে নেমে আসবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সোমবার প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে দুজন সহসভাপতি (ভিপি), একজন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীসহ বাদ পড়েছেন ১৯ প্রার্থী। অন্যদিকে হল সংসদ নির্বাচনে কোনো
১ ঘণ্টা আগেবেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পশ্চিমাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী বেশ কিছু পরিবহনশ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বেশির ভাগ পরিবহনের দূরপাল্লার বাস চলছে না।
১ ঘণ্টা আগেদিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নৌকার পর নৌকা ভিড়ছে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাকড়শনে। এটি শামুকের আড়ত। সকাল থেকে এখানে শুরু হয় জমজমাট ক্রয়-বিক্রয়।
২ ঘণ্টা আগেদেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথ
২ ঘণ্টা আগে