চবি সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দর্শন বিভাগের এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে দারোয়ানের মারধরের ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আরও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রক্টরদের দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. টিপু সুলতান বলেন, ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিচ্ছেন, আমরা সব হিসাব করতে পারিনি। আরও সময় লাগবে পুরো তথ্য পেতে।
ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে:
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার একটি বাসায় ভুক্তভোগী ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করলে দেরিতে আসায় খুলতে রাজি হন না দারোয়ান। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচির পর একপর্যায়ে গেট খোলা হয়। এরপর চেঁচামেচি করার কারণে ওই ছাত্রীকে থাপ্পড় মারেন দারোয়ান। পরে ওই ছাত্রী তাঁর কয়েকজন সহপাঠীকে ফোন দিলে তাঁরা আসেন এবং দারোয়ানের ওপর চড়াও হন। তাঁরা দারোয়ানকে আটকানোর চেষ্টা করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ সময় খবরটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে আরও শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধাওয়া করলে স্থানীয়রা একত্র হয়ে ইট–পাটকেল মারতে শুরু করেন। তখন সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘আমাদের বাসার গেট রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে বন্ধ হয়। আজকে (শনিবার রাতে) কাজে বাইরে গিয়েছিলাম, ১১টার দিকে ফিরে এসে দেখি গেট বন্ধ। আমি অনেকবার ধাক্কা দিয়েছি, রুমমেটরা অনুরোধ করেছে, কিন্তু দারোয়ান খোলেনি। পরে গেট খুলে আমাকে উদ্দেশ্য করে খারাপ ব্যবহার করে এবং ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে দুবার ধাক্কা দেয়। জোর করে ঢুকতে চাইলে সে আমাকে লাথি-থাপ্পড় মারে।’
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, স্থানীয়রা ২ নম্বর গেটসংলগ্ন বাচামিয়ার দোকানের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের চতুর্দিক থেকে ঘিরে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় ওই এলাকায়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা পরিকল্পিতভাবেই বিদ্যুৎ বন্ধ করেছে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে।
এ ছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হামলা চালানোর সময় বাচামিয়ার দোকানের সামনে শিক্ষার্থীরা গেলে ৩টা টর্চলাইটের আলো ফেলে হামলা করা হয়। এ সময় পুলিশের দুটি, নিরাপত্তার বাহিনীর একটি এবং প্রক্টরিয়াল বডির একটি—মোট চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে স্থানীয়রা।
এদিকে ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সাহায্যের আবেদন করলে শিক্ষার্থীদের সমালোচনার মুখে পড়েন।
খবর পেয়ে শুরুতে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে রাত ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভোর ৫টার দিকে সেনা কর্মকর্তা মেজর শাহরিয়ার বলেন, আমরা এখানে আসার পর আটকে থাকা ১০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছি। ভেতরে আমাদের আরেক গ্রুপ রয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। সকালে আবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত:
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়রা যে হামলা চালিয়েছে, তা ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের পরীক্ষা থাকতে পারে। তাই রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দর্শন বিভাগের এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে দারোয়ানের মারধরের ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আরও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রক্টরদের দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. টিপু সুলতান বলেন, ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিচ্ছেন, আমরা সব হিসাব করতে পারিনি। আরও সময় লাগবে পুরো তথ্য পেতে।
ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে:
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার একটি বাসায় ভুক্তভোগী ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করলে দেরিতে আসায় খুলতে রাজি হন না দারোয়ান। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচির পর একপর্যায়ে গেট খোলা হয়। এরপর চেঁচামেচি করার কারণে ওই ছাত্রীকে থাপ্পড় মারেন দারোয়ান। পরে ওই ছাত্রী তাঁর কয়েকজন সহপাঠীকে ফোন দিলে তাঁরা আসেন এবং দারোয়ানের ওপর চড়াও হন। তাঁরা দারোয়ানকে আটকানোর চেষ্টা করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ সময় খবরটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে আরও শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধাওয়া করলে স্থানীয়রা একত্র হয়ে ইট–পাটকেল মারতে শুরু করেন। তখন সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘আমাদের বাসার গেট রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে বন্ধ হয়। আজকে (শনিবার রাতে) কাজে বাইরে গিয়েছিলাম, ১১টার দিকে ফিরে এসে দেখি গেট বন্ধ। আমি অনেকবার ধাক্কা দিয়েছি, রুমমেটরা অনুরোধ করেছে, কিন্তু দারোয়ান খোলেনি। পরে গেট খুলে আমাকে উদ্দেশ্য করে খারাপ ব্যবহার করে এবং ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে দুবার ধাক্কা দেয়। জোর করে ঢুকতে চাইলে সে আমাকে লাথি-থাপ্পড় মারে।’
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, স্থানীয়রা ২ নম্বর গেটসংলগ্ন বাচামিয়ার দোকানের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের চতুর্দিক থেকে ঘিরে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় ওই এলাকায়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা পরিকল্পিতভাবেই বিদ্যুৎ বন্ধ করেছে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে।
এ ছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হামলা চালানোর সময় বাচামিয়ার দোকানের সামনে শিক্ষার্থীরা গেলে ৩টা টর্চলাইটের আলো ফেলে হামলা করা হয়। এ সময় পুলিশের দুটি, নিরাপত্তার বাহিনীর একটি এবং প্রক্টরিয়াল বডির একটি—মোট চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে স্থানীয়রা।
এদিকে ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সাহায্যের আবেদন করলে শিক্ষার্থীদের সমালোচনার মুখে পড়েন।
খবর পেয়ে শুরুতে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে রাত ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভোর ৫টার দিকে সেনা কর্মকর্তা মেজর শাহরিয়ার বলেন, আমরা এখানে আসার পর আটকে থাকা ১০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছি। ভেতরে আমাদের আরেক গ্রুপ রয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। সকালে আবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত:
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়রা যে হামলা চালিয়েছে, তা ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের পরীক্ষা থাকতে পারে। তাই রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
রাজধানীর সাতটি মোড়ে গতকাল রোববার পরীক্ষামূলকভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রাফিক সিগন্যাল (সংকেত) বাতির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে যানবাহনের চালক ও পথচারীরা সচেতনতার অভাবে নতুন সংকেত না মানায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের হাতের ইশারায় সংকেত দিতে হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামে ধরলা নদীর বাম তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস নেমেছে। এতে হুমকিতে পড়েছে হাজারো পরিবার এবং কয়েক হাজার হেক্টর কৃষিজমি।
৪ ঘণ্টা আগেঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে বরিশাল জিলা স্কুলের ৭০টি গাছ কাটার আয়োজন করছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৬৫টি গাছ কাটার জন্য ৩ সেপ্টেম্বর নিলাম আহ্বান করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিলাম কমিটির সদস্যসচিব অনিতা রানী হালদার।
৪ ঘণ্টা আগেদেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। মাছ শিকারকে যাঁরা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা এখন বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তনে।
৫ ঘণ্টা আগে