কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আনোয়ার হোসেন (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রীর স্বামীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাদি মাঝির বাড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন নিহতের ভাই শাহ্ আলম (৪২), হাইলধর ইউনিয়নের মোহাম্মদ পারভেজ (২২) ও শাহজাহান (৪৫)।
আনোয়ার হোসেন নিহত হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ। তিনি জানান, বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা পলাতক আছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত আনোয়ার হোসেন খাদি মাঝির বাড়ি এলাকার মৃত আবদুস ছাত্তারের ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাচালক। আনোয়ার হোসেন দুই বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাঁর সাবেক স্ত্রীর এক ছেলে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে হাইলধর পুলের গোড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী পারভিন আকতার (৩০) বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে মোহাম্মদ পারভেজ ঘরে এসে আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। এরপর স্থানীয় শাহাদত ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগমসহ তিন-চারজন লোক আমার স্বামীকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে পাশের বিলে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আমাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
নিহতের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন অনেক দিন ধরে প্রবাসে ছিলেন। সেখানে থাকার সময়ে সব টাকা-পয়সা প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগমের (৪০) নামে ব্যাংকে রাখতেন। ২০০৯ সালে মরিয়ম বেগম একই এলাকার মো. শাহাদতের (৪০) সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। একপর্যায়ে আনোয়ার তালাক দেন মরিয়ম বেগমকে। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন আনোয়ার।’
স্থানীয় লোকজন জানান, ১২-১৩ বছর আগে নিহত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান হাইলধর খাদি মাঝির বাড়ি এলাকার মো. শাহাদাত। এর পর থেকে অনেক দিন তাঁরা এলাকায় ফেরেননি। সর্বশেষ কয়েক দিন আগে নিজের বাড়িতে ফেরেন শাহাদাত। এরপর শাহাদাতকে এলাকায় দেখে কয়েক দফা তাঁর সঙ্গে আনোয়ারের কথা-কাটাকাটি হয়। তর্কাতর্কির সময় আনোয়ারাকে খুন করার হুমকি ধামকি দেন শাহাদাত। এরই জের ধরে গতকাল রাতে পার্শ্ববর্তী চুন্নাপাড়ার বাসিন্দা পারভেজকে (২৫) দিয়ে ডেকে আনিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আনোয়ারকে এলোপাতাড়ি কোপান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনুর রশিদ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইলিয়াস খোকন বলেন, ‘হাইলধরে এই ধরনের ঘটনা প্রথম। প্রথম স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর আনোয়ার নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। অনেক দুঃখ-কষ্ট করে সংসার চালান তিনি। এমন কর্মকাণ্ডের জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আনোয়ার হোসেন (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রীর স্বামীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাদি মাঝির বাড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন নিহতের ভাই শাহ্ আলম (৪২), হাইলধর ইউনিয়নের মোহাম্মদ পারভেজ (২২) ও শাহজাহান (৪৫)।
আনোয়ার হোসেন নিহত হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ। তিনি জানান, বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা পলাতক আছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত আনোয়ার হোসেন খাদি মাঝির বাড়ি এলাকার মৃত আবদুস ছাত্তারের ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাচালক। আনোয়ার হোসেন দুই বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাঁর সাবেক স্ত্রীর এক ছেলে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে হাইলধর পুলের গোড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী পারভিন আকতার (৩০) বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে মোহাম্মদ পারভেজ ঘরে এসে আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। এরপর স্থানীয় শাহাদত ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগমসহ তিন-চারজন লোক আমার স্বামীকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে পাশের বিলে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আমাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
নিহতের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন অনেক দিন ধরে প্রবাসে ছিলেন। সেখানে থাকার সময়ে সব টাকা-পয়সা প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগমের (৪০) নামে ব্যাংকে রাখতেন। ২০০৯ সালে মরিয়ম বেগম একই এলাকার মো. শাহাদতের (৪০) সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। একপর্যায়ে আনোয়ার তালাক দেন মরিয়ম বেগমকে। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন আনোয়ার।’
স্থানীয় লোকজন জানান, ১২-১৩ বছর আগে নিহত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান হাইলধর খাদি মাঝির বাড়ি এলাকার মো. শাহাদাত। এর পর থেকে অনেক দিন তাঁরা এলাকায় ফেরেননি। সর্বশেষ কয়েক দিন আগে নিজের বাড়িতে ফেরেন শাহাদাত। এরপর শাহাদাতকে এলাকায় দেখে কয়েক দফা তাঁর সঙ্গে আনোয়ারের কথা-কাটাকাটি হয়। তর্কাতর্কির সময় আনোয়ারাকে খুন করার হুমকি ধামকি দেন শাহাদাত। এরই জের ধরে গতকাল রাতে পার্শ্ববর্তী চুন্নাপাড়ার বাসিন্দা পারভেজকে (২৫) দিয়ে ডেকে আনিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আনোয়ারকে এলোপাতাড়ি কোপান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনুর রশিদ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইলিয়াস খোকন বলেন, ‘হাইলধরে এই ধরনের ঘটনা প্রথম। প্রথম স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর আনোয়ার নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। অনেক দুঃখ-কষ্ট করে সংসার চালান তিনি। এমন কর্মকাণ্ডের জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আনিছুর রহমানের পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে তাঁর বিরুদ্ধে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাঁকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২৯ মিনিট আগেরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে রকি (৩১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের মাতবর বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচাষিরা সাধারণত রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। তবে বাগান কিনে নেওয়া কিছু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন, এতে আমের স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
২ ঘণ্টা আগে