প্রতিনিধি
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাঁচ হাজারেরও অধিক পরিবার বসবাস করছে পাহাড়ধসের ঝুঁকি নিয়ে। এসব এলাকায় প্রবল বর্ষণে যেকোনো মুহূর্তে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। টানা বর্ষণ হলেই প্রতিবছর পাহাড়ে থাকা মানুষকে সরাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় নানা উদ্যোগ। এ সময় গুটি কয়েক পরিবারকে সরানো সম্ভব হলেও বেশির ভাগই থেকে যায় পাহাড়ে।
জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পাহাড়ধসের দুর্যোগ ঘটে, তবু এসব এলাকায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লোকজন বসবাস করে আসছে। আবার অনেক জায়গায় ধসে যাওয়া পাহাড়ি ভূমি বিক্রিও হচ্ছে। এসব জায়গা কিনে মেরামত করে তৈরি করা হচ্ছে স্থাপনা। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠছে জনবসতি। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার নোয়াগাঁও, ইছাখালীর আদিলপুর, গুচ্ছগ্রাম, জাকিরাবাদ, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের মিশন এলাকা, মধুছড়ি, কলাবাইজ্জাঘোনা, বনগ্রাম, নতুনপাড়া, আজিজনগর, লালপাহাড়, উপজেলার রাজানগর ও ইসলামপুর, পোমরা, বেতাগী, পারুয়া, দক্ষিণ রাজানগর, লালানগর, হোছনাবাদ, সরফভাটা, পদুয়া, কোদালা, শিলক ইউনিয়নসহ রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার মৃত্যুঝুঁকিতে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বসবাস করে আসছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সচেতনতার জন্য মাইকিং করলেও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে ২০১৭ সালের ১৩ জুনের ভয়াল পাহাড়ধসের মতো রাঙ্গুনিয়ায় আবারও বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় কোথাও যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বসবাসকারীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ জুন ইসলামপুর ইউনিয়নের পাহাড়তলীঘোনায় ছয় পরিবারের ১৪ জন মারা গিয়েছিল। এ ছাড়া রাজানগর ইউনিয়নে মারা যায় আরও আটজন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখনো কয়েক শ পরিবার এসব মৃত্যুপুরিতে বসবাস করছে। জানতে চাইলে পাহাড়তলী এলাকার কৃষক মোতালেব মিয়া বলেন, `বর্ষা এলেই মাইকিং করে সচেতন করা হয়। তারা মাইকিং করে সরে যেতে বলছে, কিন্তু কোথায় যাব তা তো বলছে না। আমরা গরিব মানুষ, যাব কোথায়? কোনো উপায় না পেয়ে ঝুঁকি হলেও এখানে বাধ্য হয়ে থাকছি।'
পৌরসভার নোয়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা কোহিনুর আক্তার (৬০) বলেন, তাঁর ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি–নাতনিকে নিয়ে পাহাড়ের কোলে থাকেন। কর্ণফুলী নদীভাঙনের কারণে সরফভাটা ইউনিয়নের ভূমিরখীল থেকে গত ১৮ বছর আগে তাঁরা এসেছেন। নিজেদের কোনো ভিটেবাড়ি নেই। তিনি আরও বলেন, রাঙ্গুনিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ধসে মৃত্যুর খবর তিনিও পেয়েছিলেন, কিন্তু কী করবেন? যেখানে দুবেলা ভাত তাঁদের ঠিকমতো জোগাতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে অন্য কোথাও গিয়ে বসতঘর নির্মাণ তাঁদের চিন্তার বাইরে। তাঁর মতো এ এলাকার কুলসুমা বেগম (৩৫), রাহেলা আক্তার (৫২), হুমায়ারা বেগমসহ (৪৮) অর্ধশতাধিক পরিবার একইভাবে পাহাড়ের কোলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। পাহাড়ধসের কবল থেকে বাঁচতে জরুরি সময়ে নিকটস্থ সরকারি প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানে যেতে বলা হচ্ছে।
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাঁচ হাজারেরও অধিক পরিবার বসবাস করছে পাহাড়ধসের ঝুঁকি নিয়ে। এসব এলাকায় প্রবল বর্ষণে যেকোনো মুহূর্তে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। টানা বর্ষণ হলেই প্রতিবছর পাহাড়ে থাকা মানুষকে সরাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় নানা উদ্যোগ। এ সময় গুটি কয়েক পরিবারকে সরানো সম্ভব হলেও বেশির ভাগই থেকে যায় পাহাড়ে।
জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পাহাড়ধসের দুর্যোগ ঘটে, তবু এসব এলাকায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লোকজন বসবাস করে আসছে। আবার অনেক জায়গায় ধসে যাওয়া পাহাড়ি ভূমি বিক্রিও হচ্ছে। এসব জায়গা কিনে মেরামত করে তৈরি করা হচ্ছে স্থাপনা। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠছে জনবসতি। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার নোয়াগাঁও, ইছাখালীর আদিলপুর, গুচ্ছগ্রাম, জাকিরাবাদ, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের মিশন এলাকা, মধুছড়ি, কলাবাইজ্জাঘোনা, বনগ্রাম, নতুনপাড়া, আজিজনগর, লালপাহাড়, উপজেলার রাজানগর ও ইসলামপুর, পোমরা, বেতাগী, পারুয়া, দক্ষিণ রাজানগর, লালানগর, হোছনাবাদ, সরফভাটা, পদুয়া, কোদালা, শিলক ইউনিয়নসহ রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার মৃত্যুঝুঁকিতে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বসবাস করে আসছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সচেতনতার জন্য মাইকিং করলেও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে ২০১৭ সালের ১৩ জুনের ভয়াল পাহাড়ধসের মতো রাঙ্গুনিয়ায় আবারও বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় কোথাও যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বসবাসকারীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ জুন ইসলামপুর ইউনিয়নের পাহাড়তলীঘোনায় ছয় পরিবারের ১৪ জন মারা গিয়েছিল। এ ছাড়া রাজানগর ইউনিয়নে মারা যায় আরও আটজন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখনো কয়েক শ পরিবার এসব মৃত্যুপুরিতে বসবাস করছে। জানতে চাইলে পাহাড়তলী এলাকার কৃষক মোতালেব মিয়া বলেন, `বর্ষা এলেই মাইকিং করে সচেতন করা হয়। তারা মাইকিং করে সরে যেতে বলছে, কিন্তু কোথায় যাব তা তো বলছে না। আমরা গরিব মানুষ, যাব কোথায়? কোনো উপায় না পেয়ে ঝুঁকি হলেও এখানে বাধ্য হয়ে থাকছি।'
পৌরসভার নোয়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা কোহিনুর আক্তার (৬০) বলেন, তাঁর ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি–নাতনিকে নিয়ে পাহাড়ের কোলে থাকেন। কর্ণফুলী নদীভাঙনের কারণে সরফভাটা ইউনিয়নের ভূমিরখীল থেকে গত ১৮ বছর আগে তাঁরা এসেছেন। নিজেদের কোনো ভিটেবাড়ি নেই। তিনি আরও বলেন, রাঙ্গুনিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ধসে মৃত্যুর খবর তিনিও পেয়েছিলেন, কিন্তু কী করবেন? যেখানে দুবেলা ভাত তাঁদের ঠিকমতো জোগাতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে অন্য কোথাও গিয়ে বসতঘর নির্মাণ তাঁদের চিন্তার বাইরে। তাঁর মতো এ এলাকার কুলসুমা বেগম (৩৫), রাহেলা আক্তার (৫২), হুমায়ারা বেগমসহ (৪৮) অর্ধশতাধিক পরিবার একইভাবে পাহাড়ের কোলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। পাহাড়ধসের কবল থেকে বাঁচতে জরুরি সময়ে নিকটস্থ সরকারি প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানে যেতে বলা হচ্ছে।
আনিছুর রহমানের পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে তাঁর বিরুদ্ধে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাঁকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২ মিনিট আগেরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে রকি (৩১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের মাতবর বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেচাষিরা সাধারণত রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। তবে বাগান কিনে নেওয়া কিছু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন, এতে আমের স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
১ ঘণ্টা আগে