আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেই মরণফাঁদ দিয়ে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় লোকজন। তবু রাস্তাটি মেরামতে নেই কোনো উদ্যোগ।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার সর্বস্তরের রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটিতে রয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টি নামলেই তলিয়ে যায় রাস্তা। মাঝেমধ্যেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা। আটকে পড়ছে প্রাইভেট কার ও অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার এটি একমাত্র রাস্তা হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগকে সঙ্গী করে এদিক দিয়ে যাতায়াত করছে। সড়কটি মেরামতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
শুধু তাই নয়, ওই রাস্তায় রয়েছে রেলগেট। রেলগেটের জন্য প্রতিদিন আটকা পড়ে মুমূর্ষু রোগীসহ এলাকাবাসী। বিশেষ করে গর্ভবতী ও দুর্ঘটনাকবলিত রোগীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গর্ভবতী রোগীদের অনুপযোগী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাটা কোনোভাবেই নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী ও মালবাহীসহ প্রতিদিন রাত-দিন মিলে ৩৮টি ট্রেনে চলাচল করছে। ট্রেন এলে এই সিগন্যাল সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট বন্ধ থাকে। এতে মুমূর্ষু রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভার সড়ক বাজার ঢাকা হোটেল-সংলগ্ন ব্রিজ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। পাকা রাস্তাটির মাঝে মাঝে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সম্পূর্ণ রাস্তায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং রাস্তার দুপাশের দোকানের কারণে অল্প বৃষ্টিতেই পানি আটকে রয়েছে।
স্থানীয়রা ও হাসপাতালে আসা রোগীদের স্বজনেরা বলেন, ‘রাস্তাটি বেহালদশায় পরিণত হলেও দীর্ঘদিনেও সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতিনিয়তই অসংখ্য রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পৌর শহরে যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষু রোগীদের আনা-নেওয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীর স্বজনেরা। মূলত বেপরোয়াভাবে বালু ও ইট বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরে গেছে।’
রোগী নিয়ে আসা পৌরসভার দেবগ্রামের রোমান ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে সুস্থ মানুষ যাতায়াত করতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই রাস্তা সংস্কারে সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে আখাউড়া পৌরসভার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য এটিই একমাত্র রাস্তা। তাই ভোগান্তির বিষয়টা মাথায় নিয়ে খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হিমেল খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। পাশাপাশি হাসপাতালে যাতায়াতের সময় একটা রেলক্রসিং আছে। আখাউড়া রেল জংশন স্টেশন হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য ট্রেন এখানে থামে। রেলগেটে প্রতিদিন সিগন্যালের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সিগন্যালের কারণে ১০-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। পাশাপাশি হাসপাতালের রাস্তাটি চিকন ও জরাজীর্ণ হওয়ায় দুটি গাড়ি একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারে না। অনেক সময় একটি গাড়ি দাঁড়ানোর পর আরেকটি ক্রস করতে হয়। রাস্তাটি প্রশস্ত ও সংস্কার করলে রোগীদের স্বস্তি ফিরবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেই মরণফাঁদ দিয়ে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় লোকজন। তবু রাস্তাটি মেরামতে নেই কোনো উদ্যোগ।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার সর্বস্তরের রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটিতে রয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টি নামলেই তলিয়ে যায় রাস্তা। মাঝেমধ্যেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা। আটকে পড়ছে প্রাইভেট কার ও অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার এটি একমাত্র রাস্তা হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগকে সঙ্গী করে এদিক দিয়ে যাতায়াত করছে। সড়কটি মেরামতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
শুধু তাই নয়, ওই রাস্তায় রয়েছে রেলগেট। রেলগেটের জন্য প্রতিদিন আটকা পড়ে মুমূর্ষু রোগীসহ এলাকাবাসী। বিশেষ করে গর্ভবতী ও দুর্ঘটনাকবলিত রোগীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গর্ভবতী রোগীদের অনুপযোগী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাটা কোনোভাবেই নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী ও মালবাহীসহ প্রতিদিন রাত-দিন মিলে ৩৮টি ট্রেনে চলাচল করছে। ট্রেন এলে এই সিগন্যাল সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট বন্ধ থাকে। এতে মুমূর্ষু রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভার সড়ক বাজার ঢাকা হোটেল-সংলগ্ন ব্রিজ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। পাকা রাস্তাটির মাঝে মাঝে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সম্পূর্ণ রাস্তায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং রাস্তার দুপাশের দোকানের কারণে অল্প বৃষ্টিতেই পানি আটকে রয়েছে।
স্থানীয়রা ও হাসপাতালে আসা রোগীদের স্বজনেরা বলেন, ‘রাস্তাটি বেহালদশায় পরিণত হলেও দীর্ঘদিনেও সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতিনিয়তই অসংখ্য রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পৌর শহরে যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষু রোগীদের আনা-নেওয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীর স্বজনেরা। মূলত বেপরোয়াভাবে বালু ও ইট বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরে গেছে।’
রোগী নিয়ে আসা পৌরসভার দেবগ্রামের রোমান ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে সুস্থ মানুষ যাতায়াত করতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই রাস্তা সংস্কারে সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে আখাউড়া পৌরসভার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য এটিই একমাত্র রাস্তা। তাই ভোগান্তির বিষয়টা মাথায় নিয়ে খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হিমেল খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। পাশাপাশি হাসপাতালে যাতায়াতের সময় একটা রেলক্রসিং আছে। আখাউড়া রেল জংশন স্টেশন হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য ট্রেন এখানে থামে। রেলগেটে প্রতিদিন সিগন্যালের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সিগন্যালের কারণে ১০-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। পাশাপাশি হাসপাতালের রাস্তাটি চিকন ও জরাজীর্ণ হওয়ায় দুটি গাড়ি একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারে না। অনেক সময় একটি গাড়ি দাঁড়ানোর পর আরেকটি ক্রস করতে হয়। রাস্তাটি প্রশস্ত ও সংস্কার করলে রোগীদের স্বস্তি ফিরবে।
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
৬ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে