মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
কক্সবাজার সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করেছেন পর্যটকেরা। পশ্চিম আকাশে বছরের শেষ সূর্য লাল আভা ছড়িয়ে ডুব দেওয়ার মুহূর্তটি পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধবকে সঙ্গে নিয়ে দেখতে ছুটে এসেছিলেন অনেকেই।
থার্টি ফাস্ট নাইট ও ইংরেজি নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এক সময় উৎসবের শহর হয়ে উঠত। কিন্তু করোনাকাল থেকে সৈকতের উন্মুক্ত পরিবেশে কোনো কনসার্ট বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না। এবারও সৈকতে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। ফলে পর্যটকদের এবার বাড়তি চাপও নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে শহর ও মেরিনড্রাইভের তারকা মানের হোটেলগুলোতে নানা আয়োজন রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কয়েক হাজার পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দা সৈকতে নামছেন। কেউ বালুচরে পাতানো চেয়ারছাতায় (কিটকট), কেউ বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখছেন। প্রিয়জনদের নিয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্তের মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দী করতে ব্যস্ত রয়েছেন পর্যটকেরা। সবার দৃষ্টি যেন ডুবন্ত সূর্য দিকে।
সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের বিচকর্মিদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন, ‘চলতি মাস জুড়েই কক্সবাজারে সৈকতে পর্যটকের ভিড় লেগে আছে। এখনো প্রায় এক লাখ পর্যটক অবস্থান করছে। সূর্যাস্ত দেখতে বিকেলের দিকে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় করেছেন।’
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা পর্যটক আইয়ুব চৌধুরী বলেন, ‘সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার অনুভূতিই আলাদা। ঘটনাবহুল ২০২৪ সালের শেষ সূর্য দেখার সাক্ষী হতেই ছুটে এসেছিলাম।
চকরিয়ার বরইতলি থেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন শিক্ষক আবুল কালাম। তিনি বলেন, বছরের শেষ দিনে সৈকতে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকত। বাচ্চাদের নিয়ে তা উপভোগ করতে আসতাম। কিন্তু করোনা মহামারি থেকে অনুষ্ঠানের কোনো আয়োজন হচ্ছে না।
সৈকত ছাড়াও মেরিনড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী-পাটোয়ারটেক পাথুরে সৈকত, সেন্ট মার্টিনে পর্যটকেরা বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানান। কিন্তু সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় পর্যটকদের কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন।
হোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, মেরিনড্রাইভের ইনানীর রয়েল টিউলিপ, হিমছড়ির মারমেইড ইকো রিসোর্ট, নিসর্গ রিসোর্ট, শহরের কলাতলীর সায়মন রিসোর্ট, ওশান প্যারাডাইস, লংবিচ, সী প্যালেস, কক্স টু ডে, জলতরঙ্গসহ বেশ কয়েকটি তারকা মানের হোটেল-রিসোর্টে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ইনডোরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
জানতে চাইলে সাগরপারের কক্স টুডের জেনারেল ম্যানেজার আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে হোটেল কক্ষের সাজসজ্জা, কেক কাটাসহ ছোটখাটো আয়োজন রয়েছে। কিন্তু কোনো কনসার্টের আয়োজন নেই।’
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘তারকা মানের হোটেলগুলোতে শতভাগ কক্ষ বুকিং আছে। পাশাপাশি মাঝারি মানের হোটেলগুলোতেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষে পর্যটক রয়েছে।’
নিরাপত্তা বিবেচনায় এবারও সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফাস্ট নাইটের কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই জানিয়ে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে গভীর রাতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকবে।
পর্যটকদের জন্য ‘ভ্রমণিকা’ নামের ভ্রমণ গাইড অ্যাপস
এদিকে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ভ্রমণিকা নামের একটি মোবাইল ভ্রমণ গাইড অ্যাপস তৈরি করেছেন। এটি হচ্ছে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, অ্যাপসটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য গাইড হিসাবে সহায়কের ভূমিকা পালন করবে।
কক্সবাজার সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করেছেন পর্যটকেরা। পশ্চিম আকাশে বছরের শেষ সূর্য লাল আভা ছড়িয়ে ডুব দেওয়ার মুহূর্তটি পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধবকে সঙ্গে নিয়ে দেখতে ছুটে এসেছিলেন অনেকেই।
থার্টি ফাস্ট নাইট ও ইংরেজি নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এক সময় উৎসবের শহর হয়ে উঠত। কিন্তু করোনাকাল থেকে সৈকতের উন্মুক্ত পরিবেশে কোনো কনসার্ট বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না। এবারও সৈকতে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। ফলে পর্যটকদের এবার বাড়তি চাপও নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে শহর ও মেরিনড্রাইভের তারকা মানের হোটেলগুলোতে নানা আয়োজন রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কয়েক হাজার পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দা সৈকতে নামছেন। কেউ বালুচরে পাতানো চেয়ারছাতায় (কিটকট), কেউ বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখছেন। প্রিয়জনদের নিয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্তের মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দী করতে ব্যস্ত রয়েছেন পর্যটকেরা। সবার দৃষ্টি যেন ডুবন্ত সূর্য দিকে।
সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের বিচকর্মিদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন, ‘চলতি মাস জুড়েই কক্সবাজারে সৈকতে পর্যটকের ভিড় লেগে আছে। এখনো প্রায় এক লাখ পর্যটক অবস্থান করছে। সূর্যাস্ত দেখতে বিকেলের দিকে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় করেছেন।’
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা পর্যটক আইয়ুব চৌধুরী বলেন, ‘সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার অনুভূতিই আলাদা। ঘটনাবহুল ২০২৪ সালের শেষ সূর্য দেখার সাক্ষী হতেই ছুটে এসেছিলাম।
চকরিয়ার বরইতলি থেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন শিক্ষক আবুল কালাম। তিনি বলেন, বছরের শেষ দিনে সৈকতে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকত। বাচ্চাদের নিয়ে তা উপভোগ করতে আসতাম। কিন্তু করোনা মহামারি থেকে অনুষ্ঠানের কোনো আয়োজন হচ্ছে না।
সৈকত ছাড়াও মেরিনড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী-পাটোয়ারটেক পাথুরে সৈকত, সেন্ট মার্টিনে পর্যটকেরা বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানান। কিন্তু সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় পর্যটকদের কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন।
হোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, মেরিনড্রাইভের ইনানীর রয়েল টিউলিপ, হিমছড়ির মারমেইড ইকো রিসোর্ট, নিসর্গ রিসোর্ট, শহরের কলাতলীর সায়মন রিসোর্ট, ওশান প্যারাডাইস, লংবিচ, সী প্যালেস, কক্স টু ডে, জলতরঙ্গসহ বেশ কয়েকটি তারকা মানের হোটেল-রিসোর্টে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ইনডোরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
জানতে চাইলে সাগরপারের কক্স টুডের জেনারেল ম্যানেজার আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে হোটেল কক্ষের সাজসজ্জা, কেক কাটাসহ ছোটখাটো আয়োজন রয়েছে। কিন্তু কোনো কনসার্টের আয়োজন নেই।’
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘তারকা মানের হোটেলগুলোতে শতভাগ কক্ষ বুকিং আছে। পাশাপাশি মাঝারি মানের হোটেলগুলোতেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষে পর্যটক রয়েছে।’
নিরাপত্তা বিবেচনায় এবারও সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফাস্ট নাইটের কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই জানিয়ে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে গভীর রাতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকবে।
পর্যটকদের জন্য ‘ভ্রমণিকা’ নামের ভ্রমণ গাইড অ্যাপস
এদিকে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ভ্রমণিকা নামের একটি মোবাইল ভ্রমণ গাইড অ্যাপস তৈরি করেছেন। এটি হচ্ছে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, অ্যাপসটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য গাইড হিসাবে সহায়কের ভূমিকা পালন করবে।
ভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৫ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৬ ঘণ্টা আগে