Ajker Patrika

‘সাকা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না’ বলা বন গবেষণার পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, ২০: ০৬
‘সাকা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না’ বলা বন গবেষণার পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ‘সাকা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না’—এমন মন্তব্য করার অভিযোগে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. রফিকুল হায়দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। আজ সোমবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক শুনানিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইনস্টিটিউটের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

১৩ জুন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আইন-২ অধিশাখার এক চিঠিতে অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয় মন্ত্রণালয়ের পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখার যুগ্ম সচিব শামিমা বেগমকে। একই চিঠিতে আজ শুনানির কথা বলা হয়।

শুনানিতে বক্তব্য দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আজ সোমবার শুনানিতে মন্ত্রণালয় থেকে আসা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ড. রফিকুল হায়দারসহ সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য গ্রহণ করে। শুনানিতে মামলার বাদী সোহরাব হোসাইনও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক শামিমা বেগমের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এর আগে ১ জুন চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবিরের আদালতে চট্টগ্রাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারকে আসামি করে একটি মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব হোসাইন। তিনি নগরের পাঁচলাইশ থানার ছাত্রলীগের সহসভাপতি।

মামলায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ‘যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না’—এমন মন্তব্য করার অভিযোগ করা হয় ড. রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে। 
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২১ (২), ২৫ (২) ও ৩১ (২) ধারায় করা মামলাটি আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ তদন্ত করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সোহরাব হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতে আমি যেসব বিষয়ে অভিযোগ করেছিলাম, শুনানিতে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে সেগুলোই উপস্থাপন করেছি। এ ছাড়া অভিযোগের পক্ষে তথ্যপ্রমাণ যা ছিল তা তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছি।’

সোহরাব হোসাইন আরও বলেন, ‘শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনাটি আমি গতকাল রোববার বিকেলে জানতে পেরেছি।’

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ মে ফেসবুকে ও ১৯ এপ্রিল দুটি পত্রিকায় ‘সাকা কখনো যুদ্ধাপরাধী ছিল না: বন গবেষণাগারের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার’ ও ‘বাংলাদেশ বন গবেষণাগার পরিচালকের যুদ্ধাপরাধীদের নিরপরাধ দাবি করে বক্তব্য’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বন গবেষণাগারে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে পরিচালক রফিকুল হায়দার ওই বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেখানে বক্তব্যে রফিকুল হায়দার বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। তাঁর এলাকায় যাও খবর নাও। তাঁর একটাই দোষ, হাসিনাকে আঘাত করছে সংসদে দাঁড়িয়ে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. রফিকুল হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত চলমান অবস্থায় আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিলে তখন আপনারা বিষয়টি জানতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত