আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
জর্ডান থেকে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ১২৫ কোটি টাকার নিম্নমানের রাসায়নিক পণ্য ‘রক ফসফেট’ আমদানির পর তা রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা ট্রিপল সুপার ফসফেট কমপ্লেক্স লিমিটেডকে (টিএসপি লিমিটেড) গছানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে টিএসপি কর্তৃপক্ষ এখনো এসব পণ্য গ্রহণ করেনি। ফলে ১৬ দিন ধরে সেই পণ্য নিয়ে সাগরে ভাসছে জাহাজ। এতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির বৈদেশিক মুদ্রায় মাশুল গুনতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে আসা আমদানি করা এই ‘রক ফসফেট’ বেশি আর্দ্রতাসম্পন্ন। এ ধরনের বেশি আর্দ্রতার ‘রক ফসফেট’ ব্যবহারে টিএসপি কারখানা একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
জানতে চাইলে বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের কাঁচামাল আমদানির বিষয়ে দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল এ বিষয়ে কাজ করছে।’ তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আমদানিকৃত ২৭ হাজার ৫০০ টন রক ফসফেটের শুল্কসহ মূল্য ১২৫ কোটি টাকার বেশি। বিসিআইসি সূত্র বলেছে, চট্টগ্রামের টিএসপি কারখানার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সাইপ্রাসের মিড গালফ ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে ২৫ হাজার টন রক ফসফেটের জন্য গত ৯ অক্টোবর চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে রক ফসফেটের গুণগত মান ও ফিজিক্যাল এনালাইসিসে বিস্তারিত বলা আছে। সে মোতাবেক পণ্য সরবরাহ করার কথা মিড গালফ ইন্টারন্যাশনালের।
কাস্টসম সূত্র বলেছে, চুক্তি মোতাবেক ডিসেম্বরের শুরুতে এমভি হালিত ইলিদ্রিম নামের একটি জাহাজে ২৭ হাজার ৫০০ টন রক ফসফেট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। বিসিআইসি এই পণ্য খালাসের জন্য ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রিসহ প্রয়োজনীয় দালিলিক দাখিল ও সাময়িক শুল্কায়ন সম্পন্ন করে। ৮ ডিসেম্বর শুল্কায়ন বাবদ ৬ কোটি ৬ লাখ ৪ হাজার ৩১৭ টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখা যায়, এসব রাসায়নিক পণ্য নিম্নমানের। টিএসপি কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নমুনা সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষার পাশাপাশি বুয়েট ও চুয়েটে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। কিন্তু এসব নমুনা পরীক্ষায় অতিরিক্ত আর্দ্রতা পাওয়া যায়।
নিম্নমানের কাঁচামাল আমদানির বিষয়ে দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল এ বিষয়ে কাজ করছে।
সাইদুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান
সূত্রমতে, রক ফসফেটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ আর্দ্রতা সহনীয় হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু সংগৃহীত নমুনায় আর্দ্রতা ৫ শতাংশের কাছাকাছি বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি। রক ফসফেটে আর্দ্রতা বেশি হলে বিক্রিয়া হয় না। এতে অ্যাসিড উৎপাদন ঠিকমতো হয় না। তা ছাড়া, নিম্নমানের এই রাসায়নিক ব্যবহার করলে মেশিনারিজ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এ কারণে টিএসপি কর্তৃপক্ষ এই রাসায়নিক নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ভাসমান জাহাজে ২৭ হাজার ৫০০ টন রক ফসফেটে আর্দ্রতা বেশি রয়েছে। বিষয়টি বিসিআইসির প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে।
আব্দুল মোমিন সরকার, টিএসপির মহাব্যবস্থাপক
কাস্টমসের নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, পণ্যটি আমদানিযোগ্য। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সংস্থায় পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন (পিএলআই) করাতে হবে। পরীক্ষায় গুণগত মান সন্তোষজনক পাওয়া গেলে পণ্যটি কাস্টমস কর্তৃক খালাস করার অনুমতি দেবে। তবে পণ্যটি বাল্ক কার্গো হওয়ায় পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন করা সম্ভব নয়। এ কারণে চূড়ান্ত শুল্কায়নের সময় পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন কপি এবং শিপিং দলিলের মূল কপি শুল্ক ভবনে দাখিলের শর্তে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারনামা দিয়েছে।
টিএসপির মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যক) আব্দুল মোমিন সরকার আজকের পত্রিকার কাছে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৭ হাজার ৫০০ টন রক ফসফেটে আর্দ্রতা বেশি থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি বিসিআইসির প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে।
জর্ডান থেকে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ১২৫ কোটি টাকার নিম্নমানের রাসায়নিক পণ্য ‘রক ফসফেট’ আমদানির পর তা রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা ট্রিপল সুপার ফসফেট কমপ্লেক্স লিমিটেডকে (টিএসপি লিমিটেড) গছানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে টিএসপি কর্তৃপক্ষ এখনো এসব পণ্য গ্রহণ করেনি। ফলে ১৬ দিন ধরে সেই পণ্য নিয়ে সাগরে ভাসছে জাহাজ। এতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির বৈদেশিক মুদ্রায় মাশুল গুনতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে আসা আমদানি করা এই ‘রক ফসফেট’ বেশি আর্দ্রতাসম্পন্ন। এ ধরনের বেশি আর্দ্রতার ‘রক ফসফেট’ ব্যবহারে টিএসপি কারখানা একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
জানতে চাইলে বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের কাঁচামাল আমদানির বিষয়ে দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল এ বিষয়ে কাজ করছে।’ তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আমদানিকৃত ২৭ হাজার ৫০০ টন রক ফসফেটের শুল্কসহ মূল্য ১২৫ কোটি টাকার বেশি। বিসিআইসি সূত্র বলেছে, চট্টগ্রামের টিএসপি কারখানার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সাইপ্রাসের মিড গালফ ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে ২৫ হাজার টন রক ফসফেটের জন্য গত ৯ অক্টোবর চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে রক ফসফেটের গুণগত মান ও ফিজিক্যাল এনালাইসিসে বিস্তারিত বলা আছে। সে মোতাবেক পণ্য সরবরাহ করার কথা মিড গালফ ইন্টারন্যাশনালের।
কাস্টসম সূত্র বলেছে, চুক্তি মোতাবেক ডিসেম্বরের শুরুতে এমভি হালিত ইলিদ্রিম নামের একটি জাহাজে ২৭ হাজার ৫০০ টন রক ফসফেট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। বিসিআইসি এই পণ্য খালাসের জন্য ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রিসহ প্রয়োজনীয় দালিলিক দাখিল ও সাময়িক শুল্কায়ন সম্পন্ন করে। ৮ ডিসেম্বর শুল্কায়ন বাবদ ৬ কোটি ৬ লাখ ৪ হাজার ৩১৭ টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখা যায়, এসব রাসায়নিক পণ্য নিম্নমানের। টিএসপি কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নমুনা সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষার পাশাপাশি বুয়েট ও চুয়েটে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। কিন্তু এসব নমুনা পরীক্ষায় অতিরিক্ত আর্দ্রতা পাওয়া যায়।
নিম্নমানের কাঁচামাল আমদানির বিষয়ে দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল এ বিষয়ে কাজ করছে।
সাইদুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান
সূত্রমতে, রক ফসফেটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ আর্দ্রতা সহনীয় হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু সংগৃহীত নমুনায় আর্দ্রতা ৫ শতাংশের কাছাকাছি বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি। রক ফসফেটে আর্দ্রতা বেশি হলে বিক্রিয়া হয় না। এতে অ্যাসিড উৎপাদন ঠিকমতো হয় না। তা ছাড়া, নিম্নমানের এই রাসায়নিক ব্যবহার করলে মেশিনারিজ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এ কারণে টিএসপি কর্তৃপক্ষ এই রাসায়নিক নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ভাসমান জাহাজে ২৭ হাজার ৫০০ টন রক ফসফেটে আর্দ্রতা বেশি রয়েছে। বিষয়টি বিসিআইসির প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে।
আব্দুল মোমিন সরকার, টিএসপির মহাব্যবস্থাপক
কাস্টমসের নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, পণ্যটি আমদানিযোগ্য। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সংস্থায় পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন (পিএলআই) করাতে হবে। পরীক্ষায় গুণগত মান সন্তোষজনক পাওয়া গেলে পণ্যটি কাস্টমস কর্তৃক খালাস করার অনুমতি দেবে। তবে পণ্যটি বাল্ক কার্গো হওয়ায় পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন করা সম্ভব নয়। এ কারণে চূড়ান্ত শুল্কায়নের সময় পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন কপি এবং শিপিং দলিলের মূল কপি শুল্ক ভবনে দাখিলের শর্তে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারনামা দিয়েছে।
টিএসপির মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যক) আব্দুল মোমিন সরকার আজকের পত্রিকার কাছে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৭ হাজার ৫০০ টন রক ফসফেটে আর্দ্রতা বেশি থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি বিসিআইসির প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
১৮ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২১ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৩৭ মিনিট আগে