নোয়াখালী প্রতিনিধি
সারা দেশের মতো নোয়াখালীতেও বাড়ছে সংক্রমণের হার। জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী নোয়াখালীতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ১৮ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধিতে বন্ধ হয়ে গেছে নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ। বর্তমানে ওই কলেজের ২৬৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংক্রমণের বিস্তার রোধে সশরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপসর্গ কম থাকায় অনলাইনে পাঠদান চালু রাখা হয়েছে।
নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তথ্য থেকে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শীতকালীন ছুটি ছিল। ছুটি শেষে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হোস্টেলে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ জানুয়ারি প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর জ্বর ও কাশি শুরু হলে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট করা হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁর করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর হোস্টেলে তাঁর সঙ্গে থাকা বাকিদের নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৬৬ শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষা করলে ৯১ জনের শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংক্রমণের বিস্তার রোধে সশরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
২০ জানুয়ারি নার্সিং কলেজে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাসের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। একসঙ্গে এত শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কলেজের শিক্ষার্থী লিপি ইমাম বলেন, ‘আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের জ্বর ও হালকা কাশি আছে। তবে সবাই মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।’
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়াল সরকার বলেন, ‘অসুস্থদের আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষক ও চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁদের ওষুধ ও ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আবদুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘৯১ শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে স্বাভাবিকের তুলনায় আমাদের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ আক্রান্ত কলেজ শিক্ষার্থীরা ছিলেন আমাদের সহযোগিতা করার বড় একটা অংশ।
এ বিষয়ে নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ খালেদা খানম জানান, সব শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ টিকা দেওয়ায় অন্য রোগীদের তুলনায় ভালো আছে। প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে আক্রান্তদের আলাদা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, আগামী শনিবার থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই এখন সুস্থ। শিক্ষার্থীরা ছাড়া কলেজে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুস্থ রয়েছেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের মতো নোয়াখালীতেও বাড়ছে সংক্রমণের হার। জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী নোয়াখালীতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ১৮ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধিতে বন্ধ হয়ে গেছে নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ। বর্তমানে ওই কলেজের ২৬৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংক্রমণের বিস্তার রোধে সশরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপসর্গ কম থাকায় অনলাইনে পাঠদান চালু রাখা হয়েছে।
নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তথ্য থেকে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শীতকালীন ছুটি ছিল। ছুটি শেষে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হোস্টেলে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ জানুয়ারি প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর জ্বর ও কাশি শুরু হলে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট করা হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁর করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর হোস্টেলে তাঁর সঙ্গে থাকা বাকিদের নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৬৬ শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষা করলে ৯১ জনের শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংক্রমণের বিস্তার রোধে সশরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
২০ জানুয়ারি নার্সিং কলেজে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাসের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। একসঙ্গে এত শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কলেজের শিক্ষার্থী লিপি ইমাম বলেন, ‘আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের জ্বর ও হালকা কাশি আছে। তবে সবাই মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।’
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়াল সরকার বলেন, ‘অসুস্থদের আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষক ও চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁদের ওষুধ ও ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আবদুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘৯১ শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে স্বাভাবিকের তুলনায় আমাদের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ আক্রান্ত কলেজ শিক্ষার্থীরা ছিলেন আমাদের সহযোগিতা করার বড় একটা অংশ।
এ বিষয়ে নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ খালেদা খানম জানান, সব শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ টিকা দেওয়ায় অন্য রোগীদের তুলনায় ভালো আছে। প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে আক্রান্তদের আলাদা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, আগামী শনিবার থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই এখন সুস্থ। শিক্ষার্থীরা ছাড়া কলেজে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুস্থ রয়েছেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে আদিবা নামে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৮টায় উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু আদিবা ওই গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার বাড়ির কাপড় ব্যবসায়ী মুমিত মুনসীর মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাধ্যমে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে অভিযোগ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার রাতে। সেদিন রাতেই মাহবুব আলম তপন, স্বপন, ইক্কনসহ ইশতিয়াক আলম সোহানের অনুসারী কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে তারা ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। বাধা দিতে গেলে পেয়ার আহম্মদ, তাঁর ভাই ও বাবাকেও কুপিয়ে...
২ ঘণ্টা আগে