Ajker Patrika

কয়লার দাম দ্বিগুণ হওয়ায় দিশেহারা ভাটামালিকেরা  

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ৩৭
কয়লার দাম দ্বিগুণ হওয়ায় দিশেহারা ভাটামালিকেরা  

কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চৌদ্দগ্রামের ইটভাটার মালিকেরা। গত বছরের তুলনায় এ বছরে প্রতি টনে দ্বিগুণ মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সকল উন্নয়নে ইটের প্রয়োজন হলেও সরকার এখন পর্যন্ত শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। যার কারণে তাঁরা প্রতিটি পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভাটামালিকেরা। 

ইট প্রস্তুতকারী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রামে ৪৩টি ইটভাটা রয়েছে। চলতি মৌসুমে টানা দুই দিনের বর্ষণে তাঁদের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার কাঁচা ইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছরে প্রতি টন কয়লা ৭-৮ হাজার টাকায় কিনতে পারলেও চলতি বছরে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে ১৮-২০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। ইটভাটার কয়লাগুলো ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশের বসুন্ধরা, পারটেক্স গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় কয়লার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। 

সিটিজেন ইটভাটার মালিক কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘হঠাৎ করেই চলতি বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে এ দেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি টন কয়লার দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে। একদিকে চলতি মৌসুমের শুরুতে দুই দিনের টানা বর্ষণে আমরা বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। অন্যদিকে, কয়লার মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।’ 

চৌদ্দগ্রাম ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ‘দেশের সকল উন্নয়নে ইটের প্রয়োজন হয়। ইটভাটাগুলো দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণের এ সময়েও সরকার খাতটিকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। এ সংস্থাটিকে দ্রুত শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’ 

সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী আরও বলেন, বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা কোনো কূলকিনারা না পেয়ে অধিকাংশই ব্যাংকঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

মালিক সমিতির সভাপতি রোটারিয়ান বেলাল হোসেন বলেন, ‘কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হলেও আমরা ইটের দাম বৃদ্ধি করতে পারি নাই। প্রতিবছর ইটের লেবারদের দাদন হিসেবে ৭০ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হয়। তাঁদের খাওয়া-খরচও আমাদের বহন করতে হয়।’ 

বেলাল হোসেন আরও বলেন, ‘কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অজুহাত দেখিয়ে ভাটায় ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রীর দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ আমরা ইটের দাম বাড়াতে পারছি না। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

হেফাজতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীরা নারীবিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে: ৬৮ মানবাধিকার সংগঠন

মানিকগঞ্জে সালিসে বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ ভাইকে জুতাপেটা

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত