Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: নোঙ্গরের পাশে নেতারা, নৌকা আটকানোর ভয়

মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২: ০৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: নোঙ্গরের পাশে নেতারা, নৌকা আটকানোর ভয়

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন বিএনএম প্রার্থী আব্দুল মতিন। জেলা বিএনপির সাবেক এই যুগ্ম-আহ্বায়ক নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে নৌকাকে টক্কর দিচ্ছেন ভোটের মাঠে ও প্রচারে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। 

এই আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। কিন্তু দলীয় কোন্দলে আক্রান্ত আওয়ামী লীগের অনেক নেতা নোঙ্গরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে করে নোঙ্গরে আটকে যেতে পারে নৌকা। 
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নানা ধারায় বিভক্ত। এই বিভক্তিকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছেন যুবলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম। অনেক আলোচিত ছিল এই হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় সাড়ে চার মাস কারাগারে ছিলেন পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান। এ ছাড়া এখানে একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

বিএনএম প্রার্থী আব্দুল মতিনের পক্ষে দলবল নিয়ে প্রচারে নেমেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যাঁকে নৌকা দিয়েছেন, তিনি সঠিক মাঝি নন। আব্দুল ওদুদ অনিয়ম-দুর্নীতির মাঝি। আমরা তাঁর নৌকা আটকে দেব নোঙ্গর দিয়ে। আব্দুল ওদুদের এক বছরের মেয়াদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চারটি খুন হয়েছে। সব খুনের পেছনে তাঁর হাত রয়েছে। সব মামলায় বাণিজ্য করেছেন। সাধারণ মানুষকে জেলে পাঠিয়ে বিষিয়ে তুলেছেন। ফলে তাঁকে আর নির্বাচিত হতে দেওয়া যাবে না। যেকোনো মূল্যে আব্দুল মতিনের নোঙ্গর প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে।’ 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল ওদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নৌকা দিয়েছেন ডোবানোর জন্য নয়, ভাসানোর জন্য। যাঁরা নৌকার বিরোধিতা করছেন, তাঁরা নৌকার কোনো ক্ষতি করতে পারবেন না। তাঁরা যত বিরোধিতা করবেন, নৌকার তত লাভ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি কাজী নাবিলের ১০০ একর জমি ক্রোক ও ২২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কাজী নাবিল আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
কাজী নাবিল আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেমকন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের প্রায় ১০০ একর জমি ক্রোক এবং ২২ কোটি টাকার হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

কাজী নাবিলের ক্রোক করা স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে—ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১১ শতাংশ জমিসহ ছয় তলা ভবন, যার মূল্য ২ কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা; গুলশান মডেল টাউনের একটি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৫ টাকা; ঢাকার মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুরের ১৯৫ দশমিক ২১ শতাংশ জমি, যার মূল্য ৬৭ লাখ টাকা।

এছাড়া যশোর কেশবপুরের ৬ দশমিক ১ একর, খুলনার বিভিন্ন মৌজার ২৮ দশমিক ৯৭ একর, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার ৫৪ দশমিক ৪৮ একর ও পঞ্চগড় সদরের ১০ দশমিক ৭ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ক্রোকের পাশাপাশি কাজী নাবিলের ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার এবং ২৬টি ব্যাংক হিসাবের ২২ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, জেমকন গ্রুপের মালিক কাজী নাবিল আহমেদ অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। এই অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেছে দুদক।

মামলা তদন্তকালীন তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর যেসব সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে সেগুলো ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। কারণ দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, এসব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ তিনি বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে পারেন। যদি তাই হয় তাহলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে এবং অবৈধ সম্পদ তিনি অন্যত্র সরিয়ে ফেললে রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে।

এমতাবস্থায়, আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন। এদিকে একই তদন্ত কর্মকর্তা কাজী নাবিল আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুলিশের উদ্যোগে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল শিক্ষার্থীদের ‘শান্তিচুক্তি’, এল না সিটি কলেজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৭
শান্তিচুক্তির পর ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের উল্লাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
শান্তিচুক্তির পর ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের উল্লাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভবিষ্যতে কোনো প্রকার বিবাদে না জড়ানোর অঙ্গীকার করে রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মৌখিক ‘শান্তিচুক্তি’ হয়েছে। তবে এই চুক্তিতে যোগ দিতে আসেননি সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা কলেজের অডিটরিয়ামে চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিবাদে না জড়ানোর অঙ্গীকার করেন।

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। কখনো কখনো তা ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়। শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেমন বিপাকে পড়তে হয়, তেমনি ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাস্তায় চলাচল করা সাধারণ মানুষদেরও।

তাই এই ‘শান্তিচুক্তি’ সম্পাদনের আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউমার্কেট থানা। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহফুজুল হকের উদ্যোগে তিন কলেজের ‘শান্তিচুক্তি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ “শান্তিচুক্তি” অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম, কিন্তু সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে আসেননি। এখানে আমরা কী করব বলেন?’

ওসি আরও বলেন, ‘তবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা যে মৌখিকভাবে শান্তিচুক্তি করেছেন, আমরা বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাই। পুলিশ, দুই কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে আমরা একটি কমিটি করে দেব। ভবিষ্যতে যদি এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিবাদ ঘটে, তা এই কমিটির মাধ্যমে সুরাহা করা হবে।’

এই ‘শান্তিচুক্তি’ যেন দীর্ঘদিন বজায় থাকে, সে কামনা করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘শান্তিচুক্তি’ অনুষ্ঠানে এলে তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের কোলাকুলি করতেও দেখা যায়।

‘শান্তিচুক্তি’ অনুষ্ঠানে ওসি এ কে এম মাহফুজুল হক, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস, আইডিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রেযওয়ানুল হকসহ কলেজ দুটির শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সুরাইয়া (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার নগরীর বয়রা বাজার শেরের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সুরাইয়া যশোরের অভয়নগর উপজেলার হিতিয়া এলাকার মো. আতিয়ার মোল্লার মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, আজ সকালে অভয়নগর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন ওই নারী। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে তাঁর ওড়না পেঁচিয়ে যায়। এ সময় ইজিবাইক থেকে ওই নারী নিচে পড়ে গিয়ে গলায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ওই নারীর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাটা গলা নিয়ে রিকশা চালিয়ে ৩ কিলোমিটার, হাসপাতালে মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রিকশাচালক ফজলুর রহমানের (৩৫) গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে তিনি বাজারে আসেন। এরপর হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনি মারা যান। গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।

ফজলুর রহমানের বাড়ি তানোর উপজেলার অমৃতপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ইবরাহিম আলী। ফজলুর রহমানের ব্যাটারিচালিত রিকশাটি ছিনিয়ে নিতে ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর আগে তিনি কিছু বলে যেতে পারেননি।

মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান। এরপর রাত ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্বজনেরা থানায় আসার পর এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত