সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা অরুয়াইল ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামে অবস্থিত শোলাকান্দি মহিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অবকাঠামো সবই আছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে যাওয়ার নেই কোনো রাস্তা। জমির আইল দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও এমপিও ভুক্ত হয়েছে ১৯৯১ এবং সরকারিকরণ হয় ২০১৩ সালে। এখানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫০ জন। শিক্ষক রয়েছেন চারজন। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য পড়ে আছে ৫ বছর ধরে। জমিদাতা বিদ্যালয়ের জন্য জমি দিলেও পরবর্তী সময়ে এর আশপাশের জমির মালিকেরা তাঁদের জায়গা না ছাড়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার নির্দিষ্ট কোনো রাস্তা হয়নি।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, শোলাকান্দি গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত বিদ্যালয়টির তিনদিকেই আবাদি জমি। বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৩০০ গজ পশ্চিমে প্রধান সড়ক। সেই সড়ক থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার কোনো পথ নেই।
শোলাকান্দি গ্রামে পায়ে চলার রাস্তাও নেই। বাড়ির উঠান দিয়ে চলাচল করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গ্রামের মানুষ। মাঝে মধ্যে উঠানের ওপরে বাঁশের বেড়া দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয় আশপাশের বসবাসরত পরিবারের লোকেরা। তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের খেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।
রাস্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে শোলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরেশ ঘোষ বলেন, বাড়ির ওপর দিয়ে রেকর্ডের কোনো রাস্তায় নেই। বাড়ির উঠান দিয়ে বখাটে ছেলেরা যাওয়ার সময় মোবাইল দিয়ে তরুণী মেয়েদের ছবি তুলে ফেলে। অনেক সময় মেয়েদের ডিস্টার্ব করে। তাই বাড়ির ওপরের রাস্তা বন্ধ রাখেন। তবে ছাত্র শিক্ষকদের জন্য রাস্তা সব সময় খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামের পূর্বদিক ও উত্তর দিক দিয়ে রেকর্ডের রাস্তা আছে। রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে মাটি ভরাট করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
আজ সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় দেখা গেল, শিক্ষার্থীরা দুই দিকের খেতের আইল ধরে সারিবদ্ধভাবে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। এ সময় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়েম মিয়া বলে, এভাবে জমির মাঝ দিয়ে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হয়। খেতের মধ্যে পড়ে যেতেও হয়। তখন খেতের মালিক রাগ করে।
বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা জুয়েল বলেন, একটি সরকারি বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তা থাকবে না, তা কেমন করে হয়। এ বিষয়ে সরকারিভাবেই উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক হ্যাপী লাইলী বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে আসতে খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়। যেকোনো মালামাল নিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়ে। রাস্তা না থাকায় এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে না, বরং দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসায় কষ্ট ও দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মর্তুজ আলী বলেন, মানুষের উঠানের ওপর দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। মাঝে মধ্যে রাস্তা বন্ধ করে দেয় আশপাশের বাসিন্দারা। তখন কাদা পানি ভেঙে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। পরে সর্দার-মাতুব্বরের কাছে গিয়ে অভিযোগ করে রাস্তা খুলতে হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজীজ মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাটির বিষয়টি আমি জানি। বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার রাস্তা নাই। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে আমি কথা বলব। তবে কবে নাগাদ রাস্তা হবে তা নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা অরুয়াইল ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামে অবস্থিত শোলাকান্দি মহিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অবকাঠামো সবই আছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে যাওয়ার নেই কোনো রাস্তা। জমির আইল দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও এমপিও ভুক্ত হয়েছে ১৯৯১ এবং সরকারিকরণ হয় ২০১৩ সালে। এখানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫০ জন। শিক্ষক রয়েছেন চারজন। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য পড়ে আছে ৫ বছর ধরে। জমিদাতা বিদ্যালয়ের জন্য জমি দিলেও পরবর্তী সময়ে এর আশপাশের জমির মালিকেরা তাঁদের জায়গা না ছাড়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার নির্দিষ্ট কোনো রাস্তা হয়নি।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, শোলাকান্দি গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত বিদ্যালয়টির তিনদিকেই আবাদি জমি। বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৩০০ গজ পশ্চিমে প্রধান সড়ক। সেই সড়ক থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার কোনো পথ নেই।
শোলাকান্দি গ্রামে পায়ে চলার রাস্তাও নেই। বাড়ির উঠান দিয়ে চলাচল করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গ্রামের মানুষ। মাঝে মধ্যে উঠানের ওপরে বাঁশের বেড়া দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয় আশপাশের বসবাসরত পরিবারের লোকেরা। তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের খেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।
রাস্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে শোলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরেশ ঘোষ বলেন, বাড়ির ওপর দিয়ে রেকর্ডের কোনো রাস্তায় নেই। বাড়ির উঠান দিয়ে বখাটে ছেলেরা যাওয়ার সময় মোবাইল দিয়ে তরুণী মেয়েদের ছবি তুলে ফেলে। অনেক সময় মেয়েদের ডিস্টার্ব করে। তাই বাড়ির ওপরের রাস্তা বন্ধ রাখেন। তবে ছাত্র শিক্ষকদের জন্য রাস্তা সব সময় খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামের পূর্বদিক ও উত্তর দিক দিয়ে রেকর্ডের রাস্তা আছে। রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে মাটি ভরাট করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
আজ সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় দেখা গেল, শিক্ষার্থীরা দুই দিকের খেতের আইল ধরে সারিবদ্ধভাবে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। এ সময় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়েম মিয়া বলে, এভাবে জমির মাঝ দিয়ে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হয়। খেতের মধ্যে পড়ে যেতেও হয়। তখন খেতের মালিক রাগ করে।
বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা জুয়েল বলেন, একটি সরকারি বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তা থাকবে না, তা কেমন করে হয়। এ বিষয়ে সরকারিভাবেই উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক হ্যাপী লাইলী বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে আসতে খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়। যেকোনো মালামাল নিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়ে। রাস্তা না থাকায় এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে না, বরং দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসায় কষ্ট ও দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মর্তুজ আলী বলেন, মানুষের উঠানের ওপর দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। মাঝে মধ্যে রাস্তা বন্ধ করে দেয় আশপাশের বাসিন্দারা। তখন কাদা পানি ভেঙে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। পরে সর্দার-মাতুব্বরের কাছে গিয়ে অভিযোগ করে রাস্তা খুলতে হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজীজ মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাটির বিষয়টি আমি জানি। বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার রাস্তা নাই। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে আমি কথা বলব। তবে কবে নাগাদ রাস্তা হবে তা নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছে মানুষ। ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে গত শনিবার থেকে জেলাজুড়ে চলছে অবরোধ কর্মসূচি। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলা সদরে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা।
২২ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘ভারত শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা পাহাড়ি-বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। ভারত আমাদের এই পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়
৩৬ মিনিট আগেবগুড়ায় মহাসড়কে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের পর এবার আট দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অবরোধ চলাকালে সব পর্যটন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে