বগুড়া প্রতিনিধি

মামাতো ভাইকে খুন করে গোয়ালঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখে রাতে নিশ্চিন্তে তার (মামাতো ভাই) ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন ফুপাতো ভাই। পরদিন মামার সঙ্গে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে নিহতের ফুপুর বাড়ির গোয়ালঘরে পুঁতে রাখা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কিশোরের নাম নাসিরুল ইসলাম নাসিম (১৪)। সে সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে। ফুলবাড়ি গমির উদ্দিন স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় নিহতের ফুপাতো ভাই এনামুল হক (২০) ও চাচা ফিরোজ ইসলামকে (১৯)। এনামুল ছয় মাস বয়স থেকে তাঁর মামা ওয়াজেল মণ্ডলের বাড়িতে বসবাস করেন।
নাসিমের লাশ উদ্ধারের পর তার বাবা ওয়াজেল মণ্ডল বাদী হয়ে ভাগনে এনামুল ও চাচাতো ভাই ফিরোজের নামে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর নিহত কিশোর নাসিম তার বড় বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন তার বাবা ওয়াজেল মণ্ডল ভাগনে এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে সারিয়াকান্দি থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে কোনো তথ্যই পাচ্ছিল না। এ সময় এনামুল পুলিশকে বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। হঠাৎ করে নাসিমের মোবাইল নম্বর থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তার বাবার ফোনে বার্তা পাঠানো হয়। তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানালে তদন্তকারী কর্মকর্তা নাসিমের বাড়িতে যান। এ সময় এনামুল ও ফিরোজ বিভিন্নভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। পুলিশ ফিরে যাওয়ার পর নাসিমের বাবার মোবাইল ফোনে আবারও বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে লেখা হয় পুলিশে খবর দিয়ে ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে না। এরপর এনামুল পুলিশকে ফোন দিয়ে হুমকির বিষয়টি জানান।
একপর্যায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাসিমের মোবাইল ফোনে বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে বার্তা দেয় পুলিশ। পাশাপাশি বাকি ৬০ হাজার টাকার জন্য সময় চাওয়া হয়। বার্তা পাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিকাশ থেকে টাকা বের করে নেওয়া হয়। এই তথ্য পেয়ে পুলিশ বিকাশ এজেন্টের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে টাকাসহ নাসিমের বাড়ি থেকে আটক করে এনামুলকে। এ সময় ফিরোজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও আটক করা হয়।
এ সময় তাঁরা পুলিশকে জানায়, সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর দুর্গম চর কাজলাতে লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ তাঁদের নিয়ে সেখানে গিয়ে চার ঘণ্টাব্যাপী চরের বিভিন্ন স্থানে মাটি খুঁড়েও লাশের সন্ধান পায়নি। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সঠিক তথ্য দিলে পুলিশ গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে তাঁদের দেখানো মতে গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সারিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন দাস বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল ও ফিরোজ জানিয়েছেন কিছুদিন আগে নাসিম তাঁর চাচা ফিরোজ ও এনামুলের সামনে ধূমপান করে। এটাকে বেয়াদবি হিসেবে গ্রহণ করে শাসন করতে গেলে নাসিম এনামুলকে লাথি মারে এবং তাদের বাড়িতে ছোট থেকে বসবাস করা নিয়ে কটূক্তি করে। এতে তাঁরা অপমানিত বোধ করে নাসিমকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে নাসিমকে বাড়ির বাইরে দেখে, বেড়ানোর কথা বলে গাবতলী থানার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর নিয়ে যান। সেখানে নাসিমের হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। এ সময় তাঁরা নাসিমের গলা, হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে খুন করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে নাসিমের লাশ কাঁধে করে এনামুলের বাড়ির গোয়ালঘরে নিয়ে সিমেন্টের বস্তায় ভরে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন। এরপর তাঁরা সেখান থেকে নাসিমের বাড়ি ফিরে যান এবং রাতে নাসিমের ঘরেই ঘুমান।’
এসআই খোকন বলেন, এনামুল এবং ফিরোজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাঁদের ফোন বন্ধ করে রেখে যান। এ ছাড়া নাসিমের ফোন থেকে সিম খুলে অন্য সেট ব্যবহার করে বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে মুক্তিপণের বার্তা পাঠিয়ে আবার বন্ধ করে দেন।

মামাতো ভাইকে খুন করে গোয়ালঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখে রাতে নিশ্চিন্তে তার (মামাতো ভাই) ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন ফুপাতো ভাই। পরদিন মামার সঙ্গে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে নিহতের ফুপুর বাড়ির গোয়ালঘরে পুঁতে রাখা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কিশোরের নাম নাসিরুল ইসলাম নাসিম (১৪)। সে সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে। ফুলবাড়ি গমির উদ্দিন স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় নিহতের ফুপাতো ভাই এনামুল হক (২০) ও চাচা ফিরোজ ইসলামকে (১৯)। এনামুল ছয় মাস বয়স থেকে তাঁর মামা ওয়াজেল মণ্ডলের বাড়িতে বসবাস করেন।
নাসিমের লাশ উদ্ধারের পর তার বাবা ওয়াজেল মণ্ডল বাদী হয়ে ভাগনে এনামুল ও চাচাতো ভাই ফিরোজের নামে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর নিহত কিশোর নাসিম তার বড় বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন তার বাবা ওয়াজেল মণ্ডল ভাগনে এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে সারিয়াকান্দি থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে কোনো তথ্যই পাচ্ছিল না। এ সময় এনামুল পুলিশকে বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। হঠাৎ করে নাসিমের মোবাইল নম্বর থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তার বাবার ফোনে বার্তা পাঠানো হয়। তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানালে তদন্তকারী কর্মকর্তা নাসিমের বাড়িতে যান। এ সময় এনামুল ও ফিরোজ বিভিন্নভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। পুলিশ ফিরে যাওয়ার পর নাসিমের বাবার মোবাইল ফোনে আবারও বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে লেখা হয় পুলিশে খবর দিয়ে ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে না। এরপর এনামুল পুলিশকে ফোন দিয়ে হুমকির বিষয়টি জানান।
একপর্যায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাসিমের মোবাইল ফোনে বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে বার্তা দেয় পুলিশ। পাশাপাশি বাকি ৬০ হাজার টাকার জন্য সময় চাওয়া হয়। বার্তা পাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিকাশ থেকে টাকা বের করে নেওয়া হয়। এই তথ্য পেয়ে পুলিশ বিকাশ এজেন্টের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে টাকাসহ নাসিমের বাড়ি থেকে আটক করে এনামুলকে। এ সময় ফিরোজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও আটক করা হয়।
এ সময় তাঁরা পুলিশকে জানায়, সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর দুর্গম চর কাজলাতে লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ তাঁদের নিয়ে সেখানে গিয়ে চার ঘণ্টাব্যাপী চরের বিভিন্ন স্থানে মাটি খুঁড়েও লাশের সন্ধান পায়নি। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সঠিক তথ্য দিলে পুলিশ গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে তাঁদের দেখানো মতে গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সারিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন দাস বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল ও ফিরোজ জানিয়েছেন কিছুদিন আগে নাসিম তাঁর চাচা ফিরোজ ও এনামুলের সামনে ধূমপান করে। এটাকে বেয়াদবি হিসেবে গ্রহণ করে শাসন করতে গেলে নাসিম এনামুলকে লাথি মারে এবং তাদের বাড়িতে ছোট থেকে বসবাস করা নিয়ে কটূক্তি করে। এতে তাঁরা অপমানিত বোধ করে নাসিমকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে নাসিমকে বাড়ির বাইরে দেখে, বেড়ানোর কথা বলে গাবতলী থানার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর নিয়ে যান। সেখানে নাসিমের হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। এ সময় তাঁরা নাসিমের গলা, হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে খুন করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে নাসিমের লাশ কাঁধে করে এনামুলের বাড়ির গোয়ালঘরে নিয়ে সিমেন্টের বস্তায় ভরে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন। এরপর তাঁরা সেখান থেকে নাসিমের বাড়ি ফিরে যান এবং রাতে নাসিমের ঘরেই ঘুমান।’
এসআই খোকন বলেন, এনামুল এবং ফিরোজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাঁদের ফোন বন্ধ করে রেখে যান। এ ছাড়া নাসিমের ফোন থেকে সিম খুলে অন্য সেট ব্যবহার করে বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে মুক্তিপণের বার্তা পাঠিয়ে আবার বন্ধ করে দেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী,মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় থেকে স্থানীয় আবু চৌকিদারের ছেলে ইলিয়াস চৌকিদার তাঁর নিজস্ব লোকজন নিয়ে রাতে, আবার কখনো ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মাটি কেটে ট্রলারে করে নৌপথে সেই মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে তাঁর নিজস্ব জমি থেকে মাটি কাটলেও পরে স্থানীয় মো. খলিল চৌকিদার, মো. বাবুল চৌকিদারের জমি থেকেও মাটি কাটা হয়েছে। তাঁরা ইলিয়াসকে মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তিনি তা শোনেননি।
এদিকে নদের পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পাশেই কাদের সরদারের সবজির খেত ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া পাশেই মিন্টু সরদারের বসতবাড়িও হুমকির মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে দুটি স্থানে, একই ইউনিয়নের কাতলা বাহেরচরে দুটি স্থান থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এ ছাড়া কুমার নদের তীরবর্তী রাজারচর, পখিরা, তিন নদীর মুখ, চর কালকিনি, চর হোগলপাতিয়া, চর ব্রাহ্মন্দীসহ আরও একাধিক স্থানে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এসব মাটির বেশি ভাগ ইটভাটায় বিক্রি করা হয়।
পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর গ্রামের উত্তর মহিষেরচর শিকদারবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলমগীর শিকদার বলেন, ‘আমাদের এই গ্রামে স্থানীয় ইলিয়াস চৌকিদার রাতের আঁধারে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়েছেন। এমনকি আমার চোখ তুলে ফেলারও হুমকি দেন।’
মহিষেরচর গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান সাইফ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বহুবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু মাটি চুরি থামেনি। প্রতিদিন রাতের আঁধারে নদের পাড়ের মাটি কেটে ট্রলারে করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। এই গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের চার-পাঁচটি স্থান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে মাটি কাটা যদি বন্ধ না হয়, পুরো গ্রাম হুমকির মধ্যে পড়বে।’
আরেক বাসিন্দা মিন্টু সরদার বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে এখান থেকে মাটি লুট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি—সব নদে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
মো. বাবুল চৌকিদার নামের একজন বলেন, ‘আমার প্রায় তিন কড়া জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ইলিয়াস চৌকিদার। তাঁকে নিষেধ করার পরও শুনছেন না।’
ভুক্তভোগী খলিল চৌকিদার বলেন, ‘আমার জমি থেকেও মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ইলিয়াস চৌকিদার। আর আমাদের এলাকায় এগুলো করছেন ইলিয়াস। নদের পাড়ের আমার ফসলি জমি এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
মাদারীপুরের স্থানীয় আইনজীবী আবুল হাসান সোহেল বলেন, ‘নদের তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়ার মানে হলো নদের স্বাভাবিক প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এতে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ক্রমান্বয়ে নদে ভাঙন বাড়ে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চলগুলো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আইনজীবী মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নদের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহল ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা চালু করা দরকার। অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে ইলিয়াস চৌকিদার বলেন, ‘আমি অনেক আগে মাটি কেটেছিলাম। কিন্তু এখন আর মাটি কাটি না। যখন দেখেছি মাটি কাটলে অন্যের ক্ষতি হয়, তখন থেকে আর এই কাজ করছি না।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক আফসানা বিলকিস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদের তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে আমরা একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। যাঁরা নদের মাটি কাটছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় থেকে স্থানীয় আবু চৌকিদারের ছেলে ইলিয়াস চৌকিদার তাঁর নিজস্ব লোকজন নিয়ে রাতে, আবার কখনো ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মাটি কেটে ট্রলারে করে নৌপথে সেই মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে তাঁর নিজস্ব জমি থেকে মাটি কাটলেও পরে স্থানীয় মো. খলিল চৌকিদার, মো. বাবুল চৌকিদারের জমি থেকেও মাটি কাটা হয়েছে। তাঁরা ইলিয়াসকে মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তিনি তা শোনেননি।
এদিকে নদের পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পাশেই কাদের সরদারের সবজির খেত ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া পাশেই মিন্টু সরদারের বসতবাড়িও হুমকির মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে দুটি স্থানে, একই ইউনিয়নের কাতলা বাহেরচরে দুটি স্থান থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এ ছাড়া কুমার নদের তীরবর্তী রাজারচর, পখিরা, তিন নদীর মুখ, চর কালকিনি, চর হোগলপাতিয়া, চর ব্রাহ্মন্দীসহ আরও একাধিক স্থানে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এসব মাটির বেশি ভাগ ইটভাটায় বিক্রি করা হয়।
পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর গ্রামের উত্তর মহিষেরচর শিকদারবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলমগীর শিকদার বলেন, ‘আমাদের এই গ্রামে স্থানীয় ইলিয়াস চৌকিদার রাতের আঁধারে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়েছেন। এমনকি আমার চোখ তুলে ফেলারও হুমকি দেন।’
মহিষেরচর গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান সাইফ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বহুবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু মাটি চুরি থামেনি। প্রতিদিন রাতের আঁধারে নদের পাড়ের মাটি কেটে ট্রলারে করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। এই গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের চার-পাঁচটি স্থান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে মাটি কাটা যদি বন্ধ না হয়, পুরো গ্রাম হুমকির মধ্যে পড়বে।’
আরেক বাসিন্দা মিন্টু সরদার বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে এখান থেকে মাটি লুট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি—সব নদে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
মো. বাবুল চৌকিদার নামের একজন বলেন, ‘আমার প্রায় তিন কড়া জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ইলিয়াস চৌকিদার। তাঁকে নিষেধ করার পরও শুনছেন না।’
ভুক্তভোগী খলিল চৌকিদার বলেন, ‘আমার জমি থেকেও মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ইলিয়াস চৌকিদার। আর আমাদের এলাকায় এগুলো করছেন ইলিয়াস। নদের পাড়ের আমার ফসলি জমি এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
মাদারীপুরের স্থানীয় আইনজীবী আবুল হাসান সোহেল বলেন, ‘নদের তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়ার মানে হলো নদের স্বাভাবিক প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এতে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ক্রমান্বয়ে নদে ভাঙন বাড়ে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চলগুলো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আইনজীবী মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নদের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহল ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা চালু করা দরকার। অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে ইলিয়াস চৌকিদার বলেন, ‘আমি অনেক আগে মাটি কেটেছিলাম। কিন্তু এখন আর মাটি কাটি না। যখন দেখেছি মাটি কাটলে অন্যের ক্ষতি হয়, তখন থেকে আর এই কাজ করছি না।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক আফসানা বিলকিস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদের তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে আমরা একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। যাঁরা নদের মাটি কাটছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

মামাতো ভাইকে খুন করে গোয়াল ঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখে রাতে নিশ্চিন্তে তার (মামাতো ভাই) ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন ফুপাতো ভাই। পর দিন মামার সঙ্গে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের
০৫ মার্চ ২০২৪
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেমিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ও তাঁর ভাই হাসিম উদ্দিন। হাসিম উদ্দিনও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। সরেজমিনে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জ সওজ সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর থেকে ত্রিশাল আঞ্চলিক সড়কের চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর এলাকায় সড়ক নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালে ভূমি অধিগ্রহণ করে সওজ। পরে অধিগ্রহণ করা জায়গার সব টাকাও বুঝিয়ে দেয়।
গতকাল বুধবার উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরভেলামারী আতাউরের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, কানুরামপুর-ত্রিশাল সড়কের আতাউরের মোড়সংলগ্ন সওজের জায়গায় ১০ কক্ষবিশিষ্ট বিশাল মার্কেট নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে ৭-৮ জন কর্মচারী পুরোদমে কাজ করছেন।
সওজের কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, আতাউরের মোড় সংলগ্ন এলাকায় ওই দুই ভাই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১২ বছর আগে থেকে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। বর্তমানেও মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে। অভিযোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানা হয়।
অভিযোগকারীদের একজন শাপলা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার ১০ শতাংশ জমির ৩ শতাংশ অধিগ্রহণ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান ও তার ভাই হাসিম উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে সওজের জায়গা দখল করে মার্কেট করেছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দুই ভাই মিলে সওজের বিশাল জায়গাজুড়ে মার্কেট করে রেখেছেন। নতুন করে আবার জায়গা দখল করে মার্কেট হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত হাসিম উদ্দিনের দাবি, জায়গাটি সওজের অধিকৃত না। তিনি বলেন, ‘সওজ রাস্তা নির্মাণের আগে ভূমি অধিগ্রহণ করে টাকা দিয়েছে। সেই জায়গা রেখেই মার্কেট নির্মাণ করছি। অধিগ্রহণকৃত জায়গায় আমি যাইনি। তারপরেও যদি সওজ এসে তদন্ত করে, সেটা পরে দেখা যাবে।’
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সওজের উপসহকারী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কবির মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ও তাঁর ভাই হাসিম উদ্দিন। হাসিম উদ্দিনও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। সরেজমিনে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জ সওজ সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর থেকে ত্রিশাল আঞ্চলিক সড়কের চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর এলাকায় সড়ক নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালে ভূমি অধিগ্রহণ করে সওজ। পরে অধিগ্রহণ করা জায়গার সব টাকাও বুঝিয়ে দেয়।
গতকাল বুধবার উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরভেলামারী আতাউরের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, কানুরামপুর-ত্রিশাল সড়কের আতাউরের মোড়সংলগ্ন সওজের জায়গায় ১০ কক্ষবিশিষ্ট বিশাল মার্কেট নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে ৭-৮ জন কর্মচারী পুরোদমে কাজ করছেন।
সওজের কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, আতাউরের মোড় সংলগ্ন এলাকায় ওই দুই ভাই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১২ বছর আগে থেকে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। বর্তমানেও মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে। অভিযোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানা হয়।
অভিযোগকারীদের একজন শাপলা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার ১০ শতাংশ জমির ৩ শতাংশ অধিগ্রহণ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান ও তার ভাই হাসিম উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে সওজের জায়গা দখল করে মার্কেট করেছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দুই ভাই মিলে সওজের বিশাল জায়গাজুড়ে মার্কেট করে রেখেছেন। নতুন করে আবার জায়গা দখল করে মার্কেট হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত হাসিম উদ্দিনের দাবি, জায়গাটি সওজের অধিকৃত না। তিনি বলেন, ‘সওজ রাস্তা নির্মাণের আগে ভূমি অধিগ্রহণ করে টাকা দিয়েছে। সেই জায়গা রেখেই মার্কেট নির্মাণ করছি। অধিগ্রহণকৃত জায়গায় আমি যাইনি। তারপরেও যদি সওজ এসে তদন্ত করে, সেটা পরে দেখা যাবে।’
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সওজের উপসহকারী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কবির মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামাতো ভাইকে খুন করে গোয়াল ঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখে রাতে নিশ্চিন্তে তার (মামাতো ভাই) ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন ফুপাতো ভাই। পর দিন মামার সঙ্গে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের
০৫ মার্চ ২০২৪
মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার হোসেন বাবলা। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা ৭-৮ জন ছিল। এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে ৭-৮ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কে এই বাবলা
গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। সেদিন প্রাইভেট কারে সরওয়ার থাকলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে ও পুলিশকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে বাবলাকে গুলি করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সরোয়ার বাবলা গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন। তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ানসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের ছবি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। দীর্ঘদিন সন্ত্রাসী তকমা নিয়ে থাকা বাবলা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায় সরোয়ারকে।
এর ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেন সরোয়ার। তবে মাগরিবের নামাজের পরপর এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে অন্য দুজনের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ।
সর্বশেষ এ ঘটনায় বাবলার প্রতিপক্ষ ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের রায়হান, ইমনসহ আরও কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। সম্প্রতি এই দুজনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগর ও রাউজানে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপি বলছে, সরোয়ার তাদের কেউ নন। জনসংযোগে শত শত লোক অংশ নেন। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে গুলি করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগের সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার হোসেন বাবলা। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা ৭-৮ জন ছিল। এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে ৭-৮ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কে এই বাবলা
গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। সেদিন প্রাইভেট কারে সরওয়ার থাকলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে ও পুলিশকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে বাবলাকে গুলি করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সরোয়ার বাবলা গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন। তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ানসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের ছবি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। দীর্ঘদিন সন্ত্রাসী তকমা নিয়ে থাকা বাবলা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায় সরোয়ারকে।
এর ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেন সরোয়ার। তবে মাগরিবের নামাজের পরপর এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে অন্য দুজনের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ।
সর্বশেষ এ ঘটনায় বাবলার প্রতিপক্ষ ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের রায়হান, ইমনসহ আরও কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। সম্প্রতি এই দুজনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগর ও রাউজানে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপি বলছে, সরোয়ার তাদের কেউ নন। জনসংযোগে শত শত লোক অংশ নেন। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে গুলি করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগের সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

মামাতো ভাইকে খুন করে গোয়াল ঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখে রাতে নিশ্চিন্তে তার (মামাতো ভাই) ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন ফুপাতো ভাই। পর দিন মামার সঙ্গে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের
০৫ মার্চ ২০২৪
মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিএমপির খিলক্ষেত থানায় আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী সাবেক সেনাসদস্য মোহাম্মদ মোরশেদ আলম খান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায় আজ দুপুরে অভিযান চালিয়ে সৌরভ ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাজিদ হাসান সৌরভ ও একই উপজেলার কুড়াতলা গ্রামের কামরুল মুন্সির ছেলে রাসেল মুন্সি। তাঁরা বর্তমানে খিলক্ষেতের পূর্ব নামাপাড়ার বাবুলের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী সাবেক সেনাসদস্য জানান, একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নওশিন (২৬) নামের এক নারীর সঙ্গে পরিচয় ও কথাবার্তা হতো তাঁর। একপর্যায়ে নওশিন তাঁকে দেখা করার প্রস্তাব দেন। পরে তিনি গত ৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় খিলক্ষেতের বটতলা এলাকায় দেখা করেন। তারপর তাঁকে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকার বাবুলের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ওই নারী।
সেখানে যাওয়া মাত্রই সৌরভ, রাসেল, জাফর, তালহাসহ তাঁদের আরও দুই থেকে তিনজন সহযোগী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগী মোরশেদ আলমকে মারধর করে পকেট থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। তারপর তাঁর বিকাশ থেকে ৫ হাজার ৫০ টাকা নেন। এ ছাড়া তাঁর অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দৃশ্য ছড়িয়ে দেওয়া ও হত্যার হুমকি দেন।
অতঃপর আটকে রেখে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা নিয়ে নেন। এর পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছেড়ে দেন। ওই সময় থানা-পুলিশ করলে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমান দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী দিয়ে ডেকে নিয়ে মারধর করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পরপর খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৌরভ ও রাসেল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে সঙ্গে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিএমপির খিলক্ষেত থানায় আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী সাবেক সেনাসদস্য মোহাম্মদ মোরশেদ আলম খান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায় আজ দুপুরে অভিযান চালিয়ে সৌরভ ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাজিদ হাসান সৌরভ ও একই উপজেলার কুড়াতলা গ্রামের কামরুল মুন্সির ছেলে রাসেল মুন্সি। তাঁরা বর্তমানে খিলক্ষেতের পূর্ব নামাপাড়ার বাবুলের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী সাবেক সেনাসদস্য জানান, একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নওশিন (২৬) নামের এক নারীর সঙ্গে পরিচয় ও কথাবার্তা হতো তাঁর। একপর্যায়ে নওশিন তাঁকে দেখা করার প্রস্তাব দেন। পরে তিনি গত ৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় খিলক্ষেতের বটতলা এলাকায় দেখা করেন। তারপর তাঁকে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকার বাবুলের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ওই নারী।
সেখানে যাওয়া মাত্রই সৌরভ, রাসেল, জাফর, তালহাসহ তাঁদের আরও দুই থেকে তিনজন সহযোগী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগী মোরশেদ আলমকে মারধর করে পকেট থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। তারপর তাঁর বিকাশ থেকে ৫ হাজার ৫০ টাকা নেন। এ ছাড়া তাঁর অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দৃশ্য ছড়িয়ে দেওয়া ও হত্যার হুমকি দেন।
অতঃপর আটকে রেখে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা নিয়ে নেন। এর পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছেড়ে দেন। ওই সময় থানা-পুলিশ করলে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমান দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী দিয়ে ডেকে নিয়ে মারধর করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পরপর খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৌরভ ও রাসেল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে সঙ্গে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামাতো ভাইকে খুন করে গোয়াল ঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখে রাতে নিশ্চিন্তে তার (মামাতো ভাই) ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন ফুপাতো ভাই। পর দিন মামার সঙ্গে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও সহযোগিতা করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের
০৫ মার্চ ২০২৪
মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে