মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ বোরহানউদ্দিন (ভোলা)
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা নদী থেকে অবাধে গলদা ও বাগদার রেণু নিধন করছেন জেলেরা। জেলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন উপজেলায় নদী ও ডুবোচর থেকে এসব রেণু আহরণ চলছে।
মশারি জাল, বিহিন্দীসহ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে চিংড়ির রেণু আহরণের সময় অন্য মাছের পোনাও ধ্বংস হচ্ছে। এসব রেণু ড্রাম ও পাতিলে ভরে একটি প্রভাবশালী চক্র খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে।
অভিযোগ উঠেছে, রেণু রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সদস্যদের যোগসাজশে জেলেরা এসব রেণু আহরণ করছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলছেন, রেণু সংরক্ষণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভোলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একটি রেণু আহরণের জন্য অন্য প্রজাতির ৯ থেকে ১২টি পোনা ধ্বংস হয়। এ ছাড়া ২০০ প্রজাতির মাছ ও বিভিন্ন প্রকার জলজ প্রাণীর খাদ্যকণা ধ্বংস হয়। যে কারণে মেঘনা নদীতে অন্য প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব দিনে দিনে বাড়ছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে ২০০১ সালে সরকার বাগদা ও গলদার রেণু আহরণ ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ভোলার বিভিন্ন উপজেলার মেঘনা নদীর পাড় ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ৯-১০ হাজার শিশু-কিশোরসহ নারী-পুরুষ রাতদিন মেঘনা ও মেঘনার ডুবোচরের বিভিন্ন স্থান থেকে গলদা ও বাগদার রেণু ধরছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলেদের অভিযোগ, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশনের প্রভাবশালীরা এই রেণু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রভাবশালী ও আড়তদাররা দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অভাবগ্রস্ত লোকজনকে দিয়ে রেণু আহরণ করাচ্ছেন।
সম্প্রতি মেঘনার তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য মানুষ রেণু শিকারের সঙ্গে শত শত প্রজাতির মাছ নিধন করছেন।
জানতে চাইলে রেণু সংগ্রহকারী একাধিক জেলে জানান, তাঁরা অবাধে রেণু সংগ্রহ করলেও কেউ বাধা দিচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনকে ১৫ দিন বা এক মাস পরপর টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। জেলেরা প্রতি হাজার রেণু ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন। তবে এর বাজারমূল্য ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা বলে তাঁরা জানান।
রেণু আহরণের ঘাটগুলোর মধ্যে রয়েছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন ঘাট, মৃজাকালু মাছঘাট, স্লুইসগেট ঘাট, নবাব মিয়ার হাটঘাট, আলীমুদ্দিন ঘাট ও বাংলাবাজার ঘাট; তজুমদ্দিনের সোনাপুর স্লুইসঘাট, তজুমদ্দিন মাছঘাট; লালমোহনের কাটাখালী ঘাট, মঙ্গল সিকদার ঘাট, বাতির খাল ঘাট; চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট, চরফ্যাশন বড় স্লুইসঘাট (বেতুয়া) ও দক্ষিণ আইচা পাঁচ কপাট ঘাট।
জেলেরা জানান, প্রতিবার জাল ফেলে সাত থেকে আটটি রেণু পেলেও তার সঙ্গে উঠে আসছে শত শত প্রজাতির অসংখ্য মাছের পোনা। চিংড়ির পোনা আলাদা করে ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, কলস ও অন্যান্য পাত্রে জিইয়ে রাখলেও অন্য প্রজাতির মাছের পোনাগুলো ডাঙায় অথবা চরে ফেলে দেওয়ায় সেগুলো মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া মেঘনার বেড়িবাঁধের ওপর চরফ্যাশন, লালমোহন তজুমদ্দিন, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান উপজেলার সীমানার মধ্যে কয়েক শ রেণু কেনার অস্থায়ী অবৈধ আড়ত দেখা গেছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, কতিপয় প্রভাবশালী দালাল জেলেদের একপ্রকার জোরপূর্বক বিহিন্দী জাল, মশারি জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে রেণু নিধন করাচ্ছেন। ট্রলারে করে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লালমোহনের গজারিয়া খালগোড়া, নাজিপুর লঞ্চঘাট, দেবীর চর এলাকা দিয়ে রেণু পাচার হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘আমরা দৌলতখানে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এ ছাড়া বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশনে কঠোর অভিযান চালানো হবে। তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানা নেই।’
জেলা কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘অবৈধভাবে গলদা ও বাগদার অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের কেউ টাকা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত নন। তবে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন, ‘রেণু আহরণ বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে নৌ পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা নদী থেকে অবাধে গলদা ও বাগদার রেণু নিধন করছেন জেলেরা। জেলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন উপজেলায় নদী ও ডুবোচর থেকে এসব রেণু আহরণ চলছে।
মশারি জাল, বিহিন্দীসহ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে চিংড়ির রেণু আহরণের সময় অন্য মাছের পোনাও ধ্বংস হচ্ছে। এসব রেণু ড্রাম ও পাতিলে ভরে একটি প্রভাবশালী চক্র খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে।
অভিযোগ উঠেছে, রেণু রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সদস্যদের যোগসাজশে জেলেরা এসব রেণু আহরণ করছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলছেন, রেণু সংরক্ষণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভোলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একটি রেণু আহরণের জন্য অন্য প্রজাতির ৯ থেকে ১২টি পোনা ধ্বংস হয়। এ ছাড়া ২০০ প্রজাতির মাছ ও বিভিন্ন প্রকার জলজ প্রাণীর খাদ্যকণা ধ্বংস হয়। যে কারণে মেঘনা নদীতে অন্য প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব দিনে দিনে বাড়ছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে ২০০১ সালে সরকার বাগদা ও গলদার রেণু আহরণ ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ভোলার বিভিন্ন উপজেলার মেঘনা নদীর পাড় ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ৯-১০ হাজার শিশু-কিশোরসহ নারী-পুরুষ রাতদিন মেঘনা ও মেঘনার ডুবোচরের বিভিন্ন স্থান থেকে গলদা ও বাগদার রেণু ধরছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলেদের অভিযোগ, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশনের প্রভাবশালীরা এই রেণু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রভাবশালী ও আড়তদাররা দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অভাবগ্রস্ত লোকজনকে দিয়ে রেণু আহরণ করাচ্ছেন।
সম্প্রতি মেঘনার তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য মানুষ রেণু শিকারের সঙ্গে শত শত প্রজাতির মাছ নিধন করছেন।
জানতে চাইলে রেণু সংগ্রহকারী একাধিক জেলে জানান, তাঁরা অবাধে রেণু সংগ্রহ করলেও কেউ বাধা দিচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনকে ১৫ দিন বা এক মাস পরপর টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। জেলেরা প্রতি হাজার রেণু ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন। তবে এর বাজারমূল্য ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা বলে তাঁরা জানান।
রেণু আহরণের ঘাটগুলোর মধ্যে রয়েছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন ঘাট, মৃজাকালু মাছঘাট, স্লুইসগেট ঘাট, নবাব মিয়ার হাটঘাট, আলীমুদ্দিন ঘাট ও বাংলাবাজার ঘাট; তজুমদ্দিনের সোনাপুর স্লুইসঘাট, তজুমদ্দিন মাছঘাট; লালমোহনের কাটাখালী ঘাট, মঙ্গল সিকদার ঘাট, বাতির খাল ঘাট; চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট, চরফ্যাশন বড় স্লুইসঘাট (বেতুয়া) ও দক্ষিণ আইচা পাঁচ কপাট ঘাট।
জেলেরা জানান, প্রতিবার জাল ফেলে সাত থেকে আটটি রেণু পেলেও তার সঙ্গে উঠে আসছে শত শত প্রজাতির অসংখ্য মাছের পোনা। চিংড়ির পোনা আলাদা করে ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, কলস ও অন্যান্য পাত্রে জিইয়ে রাখলেও অন্য প্রজাতির মাছের পোনাগুলো ডাঙায় অথবা চরে ফেলে দেওয়ায় সেগুলো মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া মেঘনার বেড়িবাঁধের ওপর চরফ্যাশন, লালমোহন তজুমদ্দিন, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান উপজেলার সীমানার মধ্যে কয়েক শ রেণু কেনার অস্থায়ী অবৈধ আড়ত দেখা গেছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, কতিপয় প্রভাবশালী দালাল জেলেদের একপ্রকার জোরপূর্বক বিহিন্দী জাল, মশারি জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে রেণু নিধন করাচ্ছেন। ট্রলারে করে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লালমোহনের গজারিয়া খালগোড়া, নাজিপুর লঞ্চঘাট, দেবীর চর এলাকা দিয়ে রেণু পাচার হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘আমরা দৌলতখানে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এ ছাড়া বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশনে কঠোর অভিযান চালানো হবে। তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানা নেই।’
জেলা কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘অবৈধভাবে গলদা ও বাগদার অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের কেউ টাকা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত নন। তবে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন, ‘রেণু আহরণ বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে নৌ পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক চীনা নাগরিকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে পৌরসভার কমলপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করে। এ সময় দুই কিশোরী ও তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ মিনিট আগেসাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসম্রাজ্ঞী আনজুমআরাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিদ।
২৯ মিনিট আগেলামায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. জাবেদ (১৮) নামের এক তরুণকে থানায় সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার উপজেলার সরই ইউনিয়নের জোড়মনিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
৩০ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় চর কামালদীতে গ্যারেজ থেকে পাঁচ অটোরিকশা ডাকাতির ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। ডাকাতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার বিকেলে প্রায় এক ঘণ্টা তালতলা-বারদী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
৩৩ মিনিট আগে