খান রফিক, বরিশাল
বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খড়স্রোতা শ্রীমন্ত নদীর এখন অস্তিত্ব পাওয়া কঠিন। এলাকাবাসী এটিকে মরা খালই ধরে নিয়েছেন। বিলীন হওয়া শ্রীমন্তর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা আর বাসাবাড়ির সুয়ারেজ লাইন মিলে এটি রীতিমতো একটি নালায় পরিণত হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে কালিগঞ্জ বাজার হয়ে নিয়ামতি পর্যন্ত বিশখালী নদীতে মিশছে এ অঞ্চলে নৌপথে যোগাযোগের দুই যুগ আগের অন্যতম মাধ্যম এই শ্রীমন্ত নদী। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীটির দখল ও দূষণ রোধ করে সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় ধীরে ধীরে হুমকির মুখে পড়তে পারে বাকেরগঞ্জ পৌরবাসী।
জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর, ৩ নম্বর, ২ নম্বর এবং ১ নম্বর ওয়ার্ড ঘেঁষে শ্রীমন্ত নদী বয়ে গেছে। দুই যুগ আগেও এটি খড়স্রোতা ছিল। তবে সেই নদী এখন মরা খাল। পৌরসভার ২ নম্বর ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের পশ্চিম ও পূর্ব পাশের দুই শতাধিক অবৈধ দোকানপাট ও পাকা স্থাপনা উঠেছে। এ ছাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের আফসার উদ্দিন মার্কেট থেকে থানা ব্রিজ পর্যন্ত আধা কিলোমিটারে অর্ধশত অবৈধ বাড়িঘর গড়ে উঠেছে। নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটারই এই পৌর এলাকার মধ্যে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও ব্যাংকারেরা এ খালের দুই পাশ দখল করে রেখেছে। পৌর এলাকার বাড়িঘরের সুয়ারেজ লাইন খালের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এর পানি বর্ষাতেও দূষিত থাকে। ফলে এ পানি সারা বছরই ব্যবহার অনুপযোগী।
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন বলেন, এটি শ্রীমন্ত নদী ছিল। এখন দখল আর দূষণে খাল হয়ে গেছে। পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জিলন ডাকুয়া বলেন, শ্রীমন্ত নদী অনেক আগের কথা। এখন যেটি আছে সেটি খাল। এর আকার আগে যা ছিল তার চেয়ে হয়তো কিছুটা ছোট হয়েছে। মেয়র পৌর এলাকার অংশে খালের দুই পাশে ব্লক ফেলে সৌন্দর্য বর্ধন করেছেন। শোনা যায় এটি সংস্কারও করা হবে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, এক সময় এই শ্রীমন্ত নদীতে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা চলতো। এ অঞ্চলে বাণিজ্যের জন্য অন্যতম নদীপথ ছিল এটি। শ্রীমন্ত নদী থেকে পশ্চিমাঞ্চলে মোল্লারহাট, পাথরঘাটা, বগুড়া, চান্দুখালী, মির্জাগঞ্জ, সুবিতখালী, বেতাগীসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করা যেত। কিন্তু দখলের প্রতিযোগিতায় শ্রীমন্ত নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে।
এদিকে খালে পরিণত হওয়া সেই শ্রীমন্ততে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের গরিব বাসিন্দারা। যাদের গভীর নলকূপ নেই তাদের এখানকার পানির ওপরই ভরসা করে চলতে হয়। বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রাবাস সংলগ্ন একাধিক বাসিন্দা জানান, তাদের গোসলসহ বাসার যাবতীয় কাজ এই পানি দিয়ে চলতো। কিন্তু জোয়ারের সময় পানি নিতে না পারলে বাসার কাজকর্ম বন্ধ থাকে। ভাটার সময় নদীর পানি শুকিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দুই যুগ আগেও এ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করত। কিন্তু যে যার মতো দখল করে বসতবাড়ি, দোকানঘর নির্মাণ করায় নদী দখল হয়ে সরু হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুজর ইজাজুল হক বলেন, নদীটি সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। সরেজমিনে গিয়ে নদীটি কোন অবস্থায় আছে তা দেখে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, শ্রীমন্ত নদী সংস্কার, খনন বা উদ্ধার বিষয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা তা মেয়র কিংবা প্রকৌশল শাখা বলতে পারবে। তাঁর এ বিষয়ে জানা নেই।
বাকেরগঞ্জ পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়াকে এ বিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, একটি কর্মসূচিতে থাকায় তিনি এখন এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খড়স্রোতা শ্রীমন্ত নদীর এখন অস্তিত্ব পাওয়া কঠিন। এলাকাবাসী এটিকে মরা খালই ধরে নিয়েছেন। বিলীন হওয়া শ্রীমন্তর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা আর বাসাবাড়ির সুয়ারেজ লাইন মিলে এটি রীতিমতো একটি নালায় পরিণত হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে কালিগঞ্জ বাজার হয়ে নিয়ামতি পর্যন্ত বিশখালী নদীতে মিশছে এ অঞ্চলে নৌপথে যোগাযোগের দুই যুগ আগের অন্যতম মাধ্যম এই শ্রীমন্ত নদী। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীটির দখল ও দূষণ রোধ করে সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় ধীরে ধীরে হুমকির মুখে পড়তে পারে বাকেরগঞ্জ পৌরবাসী।
জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর, ৩ নম্বর, ২ নম্বর এবং ১ নম্বর ওয়ার্ড ঘেঁষে শ্রীমন্ত নদী বয়ে গেছে। দুই যুগ আগেও এটি খড়স্রোতা ছিল। তবে সেই নদী এখন মরা খাল। পৌরসভার ২ নম্বর ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের পশ্চিম ও পূর্ব পাশের দুই শতাধিক অবৈধ দোকানপাট ও পাকা স্থাপনা উঠেছে। এ ছাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের আফসার উদ্দিন মার্কেট থেকে থানা ব্রিজ পর্যন্ত আধা কিলোমিটারে অর্ধশত অবৈধ বাড়িঘর গড়ে উঠেছে। নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটারই এই পৌর এলাকার মধ্যে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও ব্যাংকারেরা এ খালের দুই পাশ দখল করে রেখেছে। পৌর এলাকার বাড়িঘরের সুয়ারেজ লাইন খালের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এর পানি বর্ষাতেও দূষিত থাকে। ফলে এ পানি সারা বছরই ব্যবহার অনুপযোগী।
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন বলেন, এটি শ্রীমন্ত নদী ছিল। এখন দখল আর দূষণে খাল হয়ে গেছে। পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জিলন ডাকুয়া বলেন, শ্রীমন্ত নদী অনেক আগের কথা। এখন যেটি আছে সেটি খাল। এর আকার আগে যা ছিল তার চেয়ে হয়তো কিছুটা ছোট হয়েছে। মেয়র পৌর এলাকার অংশে খালের দুই পাশে ব্লক ফেলে সৌন্দর্য বর্ধন করেছেন। শোনা যায় এটি সংস্কারও করা হবে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, এক সময় এই শ্রীমন্ত নদীতে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা চলতো। এ অঞ্চলে বাণিজ্যের জন্য অন্যতম নদীপথ ছিল এটি। শ্রীমন্ত নদী থেকে পশ্চিমাঞ্চলে মোল্লারহাট, পাথরঘাটা, বগুড়া, চান্দুখালী, মির্জাগঞ্জ, সুবিতখালী, বেতাগীসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করা যেত। কিন্তু দখলের প্রতিযোগিতায় শ্রীমন্ত নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে।
এদিকে খালে পরিণত হওয়া সেই শ্রীমন্ততে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের গরিব বাসিন্দারা। যাদের গভীর নলকূপ নেই তাদের এখানকার পানির ওপরই ভরসা করে চলতে হয়। বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রাবাস সংলগ্ন একাধিক বাসিন্দা জানান, তাদের গোসলসহ বাসার যাবতীয় কাজ এই পানি দিয়ে চলতো। কিন্তু জোয়ারের সময় পানি নিতে না পারলে বাসার কাজকর্ম বন্ধ থাকে। ভাটার সময় নদীর পানি শুকিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দুই যুগ আগেও এ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করত। কিন্তু যে যার মতো দখল করে বসতবাড়ি, দোকানঘর নির্মাণ করায় নদী দখল হয়ে সরু হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুজর ইজাজুল হক বলেন, নদীটি সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। সরেজমিনে গিয়ে নদীটি কোন অবস্থায় আছে তা দেখে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, শ্রীমন্ত নদী সংস্কার, খনন বা উদ্ধার বিষয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা তা মেয়র কিংবা প্রকৌশল শাখা বলতে পারবে। তাঁর এ বিষয়ে জানা নেই।
বাকেরগঞ্জ পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়াকে এ বিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, একটি কর্মসূচিতে থাকায় তিনি এখন এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে