Ajker Patrika

বরগুনায় নদের তীর ইজারায় নৌ বন্দরের নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় নদের তীর ইজারায় নৌ বন্দরের নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

বরগুনার খাকদোন নদের তীরের জমিতে ৭৫টি দোকান ঘরের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ দিয়েছে নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ওই জমি জেলা প্রশাসনের না। জমির মালিক নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে উচ্ছেদ ও পুনরায় বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। এটা জেলা প্রশাসনের এখতিয়ার বহির্ভূত বিধায় তারা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তারা নিয়ম মেনে প্রশাসনের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নিলেও এখন নিষেধাজ্ঞার করণে সেখানে ঘর নির্মাণ করতে পারছেন না। এ নিয়ে দুই দপ্তরের টানাটানিতে বিপাকে পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। 

এর আগে গত মার্চ বরগুনা মাছ বাজারে ৪৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে তিন মাস পর জুলাই মাসের শুরুতে নতুন করে ৭৫টি দোকানের জন্য জমি বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। বরাদ্দের পরপরই ওই জমি নিজেদের দাবি করে নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বন্দরের এ দাবি অগ্রাহ্য করে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সেখানে ঘর নির্মাণকাজ শুরু করে ব্যবসায়ীরা। 

বরগুনা নৌ বন্দরের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, খাকদোন দক্ষিণ পাড়ের তীরভূমিতে (ফোর শেয়ারে) মাটি ভরাট, কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ ও অনুপ্রবেশ না করার নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিট করে। এর প্রেক্ষিতে ওই জমিতে ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রুল প্রদানসহ তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। 

এ ছাড়া খাকদোন নদের তীরের ফোর শেয়ারে ইজারা বাতিল ও সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনুজর আহমেদ চৌধুরী। 

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ মার্চ বরগুনা জেলা প্রশাসন নৌ বন্দরের জমিতে ৪৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। একই স্থানে গত ৩ জুলাই ৭৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ছাড়া হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশের মামলায় ৩১ জানুয়ারি ২০২১ হাইকোর্টের আদেশে নদের সীমানা (তীরভূমি) নির্ধারণ করে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছিল। 

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ জুন ২০০৯ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের ৩৫০৩ / ২০০৯ নম্বর রিট পিটিশনের রায়ে নদ-নদীর সীমানা সিএস ম্যাপের ভিত্তিতে নির্ধারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনা আলোকে ২১ মার্চ ২০২৩ তারিখ বরগুনা জেলা প্রশাসককে খাকদোন নদীর সীমানা সিএ ম্যাপ রেকর্ডের ভিত্তিতে নির্ধারণ ও সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদী রক্ষা কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। 

এ ছাড়া বরগুনা নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ অব্যাহত দখলের কারণে খাকদোন নদের নাব্যতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে নদী রক্ষা কমিশনকে জানিয়েছে। এ অবস্থায় সীমানা নির্ধারণ না করে উচ্ছেদ ও পুনরায় জমি বন্দোবস্ত দেওয়ায় খাকদোন নদের তীর অবৈধ দখলে চলে যাবে বলে মনে করে জাতীয় রক্ষা কমিশন। 

এমতাবস্থায় বরগুনা মাছ বাজারে ইজারা বাতিল ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চেয়ে বরগুনা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নদীর রক্ষা কমিশন। 

এদিকে গত ৩ জুলাই জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বন্দোবস্ত পাওয়ার পর খাকদোন নদের তীরে বরগুনা মাছ বাজারে স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। নির্মাণের শেষের পর্যায়ে এসে উচ্চাদালত এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়। এতে বিপাকে পড়েছেন জমি বরাদ্দ পাওয়া মাছ ব্যবসায়ীরা। 

বরগুনা মাছ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩০ বছর ধরে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা করে আসছি। মার্চ মাসে আমাদের স্থাপনা ভেঙে দিয়ে জুলাই মাসে ফের বন্দোবস্ত দেয় জেলা প্রশাসন। এখন আবার নিষেধাজ্ঞা। এ অবস্থায় আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।’ 

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিশনের চিঠি ও উচ্চাদালতের আদেশের বিষয় আমরা জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে আমরা উভয় পক্ষ আলোচনা করে মাছ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি নিক্সনের গানম্যানের নেতৃত্বে ভাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল: পুলিশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল। আজ বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল এ কথা বলেন।

অভিযুক্ত মুরাদ খান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা।

আজ বেলা ২টায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী টিটু সরদারের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে বিস্ফোরক বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়। এ সময় ২৩টি পেট্রলবোমা, বেশ কয়েকটি ককটেল, বারুদ, গান পাউডার, পেট্রল, অকটেনসহ বিস্ফোরক বানানোর উপকরণ জব্দ করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আটক হওয়া তিন যুবক ভবঘুরে এবং তাঁরা ঢাকার মিরপুরে থাকেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন হুসাইন রাজ (২৫), আহমেদুল রশিদ রাকিব (২৪) ও জিয়াউর রহমান (২৮)।

পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগামীকাল মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের একটি রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করা হচ্ছিল। মুরাদ খান নামের যুবলীগের এক কর্মীর নেতৃত্বে এগুলো তৈরি করা হয়। এই মুরাদ এই আসনের (ফরিদপুর-৪) এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং রাজিব নামের আরেক যুবলীগ নেতার নিকট থেকে এগুলো আনা হয়। তাদেরও আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’

পুলিশ সুপার বলেন, ভাঙ্গা গোলচত্বর ঘিরে আজ থেকেই ফোর্স ও গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল ভোর ৫টা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তিনজনকেই আটক করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় দুর্ঘটনা: পরিবারের ৫ সদস্য হারানো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রও মারা গেলেন

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
শাহেদ মজুমদার নিশান। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহেদ মজুমদার নিশান। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহেদ মজুমদার নিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হলো। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের জেঠাতো ভাই সৈকত মজুমদার ও প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন।

নিশান চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মান্নান মজুমদারের ছেলে। তিনি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

৫ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসের দিঘি আর্মি ক্যাম্পের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিশানের মা, দুই বোনসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনায় নিশানসহ তিনজন আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিশানকে প্রথম দুই দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ সকালে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তাঁকে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আজ সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন বলেন, স্ত্রী ও দুই মেয়ের পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আবদুল মান্নান মজুমদার বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা কারও জানা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত নয়টার দিকে তেজগাঁও রেল স্টেশনে রাখা পুরোনো বগিতে আগুন লাগে।

ঢাকা রেলওয়ের কন্ট্রোল থেকে জানিয়েছে, তেজগাঁও রেল স্টেশনে রাখা পুরোনো বগিতে কিছু টোকাই আগুন দিয়েছিল। আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আ.লীগের নেতা-কর্মীরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারে: নুর

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ পৌর মাঠে গণঅধিকার পরিষদের জনসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হবিগঞ্জ পৌর মাঠে গণঅধিকার পরিষদের জনসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা-কর্মীরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ বুধবার হবিগঞ্জ পৌর মাঠে হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে দলীয় এমপি প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী কোনো অন্যায়-জুলুম করেননি, তাঁরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারেন। গণঅধিকার পরিষদ তাঁদের গ্রহণ করতে রাজি আছে। ৫ আগস্টের পর মামলা-বাণিজ্য করে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে নুর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের যাঁরা নিরপরাধ, তাঁদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে না—তাঁর (মির্জা ফখরুল) এ বক্তব্যের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদও একমত। আওয়ামী লীগের নিরপরাধ সাধারণ নেতা-কর্মীদের জন্য সব রাজনৈতিক দল উন্মুক্ত। তাঁরা জামায়াত, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ যে দল ভালো লাগে, সে দলে যোগ দিতে পারেন।

নুর আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণঅধিকার পরিষদের অনেক দাবি জুলাই সনদে গ্রহণ করেছে। আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ এখনো কোনো জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের শরিকদের নিয়ে একটি জোট করার চেষ্টা চলছে। আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত