Ajker Patrika

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্তে পদায়ন-রদবদল

  • বিভিন্ন দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এক ডজন কর্মকর্তাকে।
  • সিন্ডিকেট থেকেও সরানো হয়েছে এক অধ্যাপকসহ তিন শিক্ষককে।
  • সিন্ডিকেট থেকে শিক্ষকদের সরানোয় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
খান রফিক, বরিশাল 
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই একের এক বিতর্কিত নিয়োগ দিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন অধ্যাপক শুচিতা শরমিন। একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সভার তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন পদ থেকে ডজনখানেক কর্মকর্তাকে সরিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এমন ব্যক্তিদের পদায়নের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া মতের মিল না হওয়ায় সিন্ডিকেট থেকে সরিয়ে দিয়েছেন এক অধ্যাপকসহ তিন শিক্ষককে। এসব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

সরকারের পতনের পর মাত মাস আগে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ববির প্রথম নারী উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে দায়িত্ব পান শুচিতা শরমিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম দূর করার লক্ষ্যেই এ নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে সেই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। উল্টো শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁর অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। সর্বশেষ সিন্ডিকেট থেকে তিন শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

পদায়নে যত অনিয়ম

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার উপপরিচালক বরুণ কুমার দেকে ১৫ এপ্রিল তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাসে উপরেজিস্ট্রার পদে বদলি করা হয়। কিন্তু ওই হলে সেকশন অফিসারের ওপরে আর কোনো পদই নেই। নিয়মবহির্ভূতভাবে এই পদায়ন করা হয়েছে। বরুণ কুমার বলেন, মহিলা কর্মকর্তা থাকার পরও মহিলা হলে পুরুষ কর্মকর্তাকে কেন দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, বুঝতে পারছেন না।

এই অর্থ ও হিসাব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অতিরিক্ত পরিচালক সুব্রত কুমার বাহাদুরকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপরেজিস্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির উপলাইব্রেরিয়ান করা হয়েছে। যদিও এই পদে যাওয়ার জন্য যে উচ্চতর ডিগ্রি দরকার, তা তাঁর নেই। একইভাবে সহকারী রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমানকে হলের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে। সহকারী রেজিস্ট্রার সাকিজ উদ্দিন সরকারকে পাঠানো হয়েছে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে।

কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মকর্তাদের রদবদলের কারণ রুটিনওয়ার্ক। উপাচার্যের নির্দেশে তা করা হয়েছে।’

এর আগে সহকারী রেজিস্ট্রার মনোয়ার হোসেনকে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে, উপরেজিস্ট্রার দিদার হোসেন খানকে রেজিস্ট্রার দপ্তরে, ভিসির একান্ত সচিব বোরহান উদ্দিনকে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে এবং ভিসির পিএ-২ রুহুল আমিনকে টিএসসিতে বদলি করা হয়। জানা গেছে, উপাচার্যের বিরুদ্ধাচরণ করলেই শাস্তি হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো হয়। ওই দপ্তরের অন্তত পাঁচজনকে বদলি করা হয়েছে, যাঁদের বসার জায়গা নেই। এ প্রসঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের রুটিন দায়িত্ব পাওয়া সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, তিনি আসার আগপর্যন্ত এ দপ্তরে কয়েকজনের বসার জায়গা ছিল না। তাঁর বসারও কক্ষ নেই। তিনি এখন বসার ব্যবস্থা করছেন।

এদিকে কোনো কারণ ছাড়াই সিন্ডিকেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক মো. মোস্তাকিম রহমান এবং প্রভাষক মো. ফরহাদ উদ্দিনকে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে মুহসিন উদ্দীন বলেন, তিনিসহ তিন শিক্ষককে পুরোপুরি বেআইনিভাবে সিন্ডিকেট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এখন ভিসি কীভাবে সিন্ডিকেট চালাবেন, তা তিনিই জানেন।

এর আগে তিনবার প্রক্টর পরিবর্তন করেছেন উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন। সব হলে নিয়োগ দিয়েছেন নিজস্ব প্রভোস্ট। অভিযোগ উঠেছে নতুন দায়িত্ব পাওয়া অনেকেই পতিত সরকারের দোসর ছিলেন। জানতে চাইলে ট্রেজারার মামুন অর রশিদ বলেন, ববিতে ভাইস চ্যান্সেলর ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় কাইউমের হুকুমে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলো। অথচ সেই শিক্ষক কাইউমকে নানা দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। মুহসিন উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক। তাঁকে অনৈতিকভাবে নির্বাহী আদেশে সিন্ডিকেট থেকে সরানোর সুযোগ নেই।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শুচিতা শরমিন বলেন, ‘অধ্যাপক মুহসিনকে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেওয়ার কারণ তিনি সভা বয়কট করেছেন। এর আগে পদত্যাগও করেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে ওই সময় নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন।’

তবে সহ-উপাচার্য গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘কোনো শিক্ষককে যদি একাডেমিক কাউন্সিল কিংবা সিন্ডিকেট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া আইনবহির্ভূত।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট থেকে নিখোঁজ ৪ শিশু ঢাকায় খাবার হোটেলে কাজ করছিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার চার শিশু। ছবি: ডিএমপি

‎সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুকে রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে রেলওয়ে কলোনির একটি খাবার হোটেল থেকে এদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

‎শাহজাহানপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার অধিযাচনপত্রের (রিকুইজিশন) ভিত্তিতে শাহজাহানপুর থানার একটি দল গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রেলওয়ে কলোনির একটি হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই হোটেল থেকে চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

‎পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শিশুরা জানিয়েছে তারা সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এসে পথ হারিয়ে ফেলে। এরপর ছয় দিন ধরে বিভিন্ন হোটেলে বয়ের কাজ করছিল।

‎উদ্ধারের পর শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া ইমরান আহমদ (৩০) জকিগঞ্জ উপজেলার নিদনপুর গ্রামের খছরুজ্জামানের ছেলে।

র‍্যাব-৯ জানায়, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার বারহাল এহিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী গত ২৬ জুলাই সকালে জকিগঞ্জ থানাধীন ফারুক মিয়ার পরিত্যক্ত আদিম ব্রিকস ফিল্ডে ঘুরতে যাওয়ার পর আসামিরা গোপনে ভিকটিম এবং তার বন্ধুর ছবি তোলে। আসামিরা ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে বলে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায় এবং অনৈতিক প্রস্তাব করে। ভিকটিম তাতে রাজি না হলে আসামিরা তাকে ও তার বন্ধুকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ব্রিকস ফিল্ডের ভেতরে নিয়ে যায়। ভিকটিমের বন্ধু তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখায় এবং তাকে আটকে রাখে।

পরবর্তী সময়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমকে ওই বিষয়টি কাউকে বা পুলিশকে না জানানোর জন্য হত্যার হুমকি দেয়।

বিষয়টি ভিকটিম ভয়ে কাউকে জানায়নি। কিন্তু পরে অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের লোকজনকে জানানোর পর ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে।

পরবর্তী সময়ে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর আগে এই মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি শাকের আহমদকে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ আরও জানান, পরবর্তী আইনিব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‍্যাব-৯-এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্ত থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সেক্টরের সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, সোমবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত পৃথক অভিযানে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর ও ব্রাহ্মণপাড়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় সীমান্তঘেঁষা এলাকা থেকে ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে এবং ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় খাদ্যসামগ্রী।

লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ পণ্য পাচার প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জব্দ করা পণ্যগুলো আইনিপ্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা, তদন্তে ডিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৯
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে কাজী মুকিতুজ্জামান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহাদী হাসান জুয়েল জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে নিয়ে মন্তব্য করায় এই মামলা করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আসামি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্ব প্রদানকারী ব্যক্তিদের সুনাম ক্ষুণ্ন ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।

গত ১ নভেম্বর যুবদল নেতা নয়নকে নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,“জুলাই সনদ নিয়ে একটি বড় দল গুন্ডামি করছে, ঢাকা মহানগরের একজন নেতা আছে নয়ন একা যে পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছে এবং দুর্নীতি করেছে— এই টাকা দিয়েও বাংলাদেশে একটা গণভোট সম্ভব। আমরা ওনাদেরকে এত দিন জমজমের পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে চেষ্টা করেছি, ওনাদের মাথা ক্লিন হয় নাই, বডিও ক্লিন হয় নাই। এখন আমার মনে হয় ওনাদেরকে বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।”

মামলার আরজিতে বাদী বলেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য বাদীর দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, দলের নেতার নামে কুৎসা রটিয়ে তাঁর মানহানি করেছে। একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে, যা মানহানিকর অপরাধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত