পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাত দলের কবলে পড়া জেলেদের মধ্যে চারজন উদ্ধার হয়েছেন। বেঁচে ফেরার পর তাঁরা বলছেন, ডাকাত দলের হামলায় নিহত পাঁচজনের লাশ তাঁরা সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন। জেলেদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলারের মাঝি শফিক, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, জামাল ও আব্দুল হাইকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ইয়াসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকাত দলের মার খেয়ে সাগরে পড়ে গিয়ে আমরা নয়জন একটি বয়া ধরে ৭০ ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। পরে একটি জালে আটকে যাই। এর আগে আমার বড় ভাই কাইয়ুম জোয়াদ্দার সাগরে ভাসমান অবস্থায় আমার হাতেই মারা যায়। এভাবে একে একে আরও চারজন মারা গেলে তাদের সাগরে ভাসিয়ে দিই।’
যেসব জেলেকে হত্যা করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর এসেছে, তাঁরা হলেন কাইয়ুম জোয়াদ্দার, আবুল কালাম, খায়রুল, আব্দুল আলীম ও ফরিদ মিয়া। সবাই বরগুনার বাসিন্দা।
কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কমান্ডার এম মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে ডাকাতের হামলার ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। চারজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
রোববার রাত দেড়টার দিকে মাছ ধরার ট্রলার এফবি মা মরিয়মের জেলেরা গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে তাঁদের উদ্ধার করে বলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার ভোরে চার জেলেকে কোস্ট গার্ড বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চার জেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আব্দুল হাই নামের এক জেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেদের কাছ থেকে পাঁচজনের লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। লাশগুলো উদ্ধারে নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, জেলে উদ্ধারের বিষয়টি জেলা প্রশাসক জানেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার ও কম্বল দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৮ জেলে নিয়ে পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য যাত্রা শুরু করে এফবি ভাই ভাই নামের ট্রলারটি। রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায় জলদস্যুরা হামলা করে। এ সময় জেলেকে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা মালপত্র লুটে নেয়। এ ছাড়া ৯ জেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়। ১৩ জেলেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি পাঁচ জেলের।
আরও পড়ুন:
বরগুনায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাত দলের কবলে পড়া জেলেদের মধ্যে চারজন উদ্ধার হয়েছেন। বেঁচে ফেরার পর তাঁরা বলছেন, ডাকাত দলের হামলায় নিহত পাঁচজনের লাশ তাঁরা সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন। জেলেদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলারের মাঝি শফিক, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, জামাল ও আব্দুল হাইকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ইয়াসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকাত দলের মার খেয়ে সাগরে পড়ে গিয়ে আমরা নয়জন একটি বয়া ধরে ৭০ ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। পরে একটি জালে আটকে যাই। এর আগে আমার বড় ভাই কাইয়ুম জোয়াদ্দার সাগরে ভাসমান অবস্থায় আমার হাতেই মারা যায়। এভাবে একে একে আরও চারজন মারা গেলে তাদের সাগরে ভাসিয়ে দিই।’
যেসব জেলেকে হত্যা করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর এসেছে, তাঁরা হলেন কাইয়ুম জোয়াদ্দার, আবুল কালাম, খায়রুল, আব্দুল আলীম ও ফরিদ মিয়া। সবাই বরগুনার বাসিন্দা।
কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কমান্ডার এম মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে ডাকাতের হামলার ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। চারজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
রোববার রাত দেড়টার দিকে মাছ ধরার ট্রলার এফবি মা মরিয়মের জেলেরা গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে তাঁদের উদ্ধার করে বলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার ভোরে চার জেলেকে কোস্ট গার্ড বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চার জেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আব্দুল হাই নামের এক জেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেদের কাছ থেকে পাঁচজনের লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। লাশগুলো উদ্ধারে নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, জেলে উদ্ধারের বিষয়টি জেলা প্রশাসক জানেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার ও কম্বল দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৮ জেলে নিয়ে পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য যাত্রা শুরু করে এফবি ভাই ভাই নামের ট্রলারটি। রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায় জলদস্যুরা হামলা করে। এ সময় জেলেকে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা মালপত্র লুটে নেয়। এ ছাড়া ৯ জেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়। ১৩ জেলেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি পাঁচ জেলের।
আরও পড়ুন:
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় অন্তত ৭৪টি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুটা বিপাকে পড়ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে সফলতার পর এবার আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবীন ও উদীয়মান বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রা। এই লক্ষ্যে এয়ারবাসের চারটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এয়ারলাইনসটি। বহরে উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়া সাপেক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রচলিত আঞ্চলিক...
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থাভাবে সেতুর বাকি নির্মাণকাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে চরাঞ্চলের ছয় গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নীলক্ষেতে প্রধান সড়কের এক পাশের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে। বাকি অংশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। বিপরীত সড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। এতে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
৪ ঘণ্টা আগে