Ajker Patrika

মেয়র প্রার্থিতা নিয়ে ঠ্যালাঠেলি, দোটানায় চরমোনাই পীরের দল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ১৬: ০৩
মেয়র প্রার্থিতা নিয়ে ঠ্যালাঠেলি, দোটানায় চরমোনাই পীরের দল

বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মেয়র প্রার্থী নির্ধারণে দোটানায় পড়েছেন। দলটি আজ মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চরমোনাই ময়দানে ঘটা করে ২ হাজার লোকের ইফতার মাহফিলের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল।

কিন্তু গতকাল সোমবার রাতে ‘অনিবার্য কারণ’ উল্লেখ করে হাতপাখা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী ঈদের পর ঘোষণার নোটিশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রার্থী নির্ধারণে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল সিটিতে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের নায়েবে আমির ও নগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এবং জেলা সভাপতি এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়েরের কথা শোনা যাচ্ছিল। এ জন্য নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁরা ভোটারও হয়েছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শোনা যাচ্ছে দুজনই বেঁকে বসেছেন প্রার্থী হতে।

এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহম্মাদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেব এটাই আমাদের চিন্তা। প্রার্থী ঘোষণা না করলেও চূড়ান্তর মতোই। জনগণের ভোটে কিন্তু বর্তমান মেয়র নির্বাচিত হননি। আসন্ন সিটি নির্বাচনটি সরকার স্বচ্ছ দেখাতে পারলে, সামনের জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া থেকে এক ধাপ আগাবে।’

জানা গেছে, এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের এর আগে ২০০৮ সালে বরগুনা-২ আসনে এমপি প্রার্থী ছিলেন। তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান করা হয়।

এছাহাক মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, আবুল খায়েরের আক্ষেপ বারবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট স্থানে না রাখায় সিটি নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আশা বেশ ক্ষীণ।

জানতে চাইলে জেলা সভাপতি এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ‘আমি সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে মোটেই প্রস্তুত নই। আমাদের বিরাট একটি অংশ নায়েবে আমিরকে মেয়র প্রার্থী চাচ্ছেন। চরমোনাই থেকে ঘোষণা দেওয়াটা সঠিক হবে না।’

আবুল খায়ের আরও বলেন, ‘নায়েবে আমির সংসদ নির্বাচন করেছেন। তাই সিটি নির্বাচন করলে তা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত হবে কি না তাও দেখার বিষয়। তা ছাড়া নায়েবে আমির জাতীয় রাজনীতি করেন। সিটি নির্বাচন তো স্থানীয় নির্বাচন।’

এদিকে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীরা চাচ্ছেন নায়েবে আমির ও নগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে। কিন্তু নায়েবে আমির দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রভাবশালী নেতা। বরিশাল-৫ (সদর) আসনে ২০০১, ২০০৮, ২০১৮ সালে এমপি প্রার্থী ছিলেন তিনি। এ অবস্থায় তিনি মেয়র প্রার্থী হলে স্থানীয় নির্বাচনে যদি হেরে যান, তা হবে দলের জন্য বড় বিপর্যয়। তাই নিজের প্রেস্টিজ ইস্যু মাথায় রেখে প্রার্থী হতে দোটানায় রয়েছেন ফয়জুল করিমও।

এ প্রসঙ্গে দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আ.লীগ প্রার্থী দিয়েছে। অন্যরা কী করছেন তাও দেখছি। তা ছাড়া আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী আবুল খায়ের রাজি হচ্ছেন না। এমনকি আমাকে মেয়র প্রার্থী হতে প্রেশার ক্রিয়েট করছেন। এসব কারণে প্রার্থিতা ঘোষণা স্থগিত করেছি।’

এমপি প্রার্থী ছিলেন এ কারণেই কি প্রার্থী হতে চান না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণ আছে। কারণের তো শেষ নাই!

এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে। কারণ তৃণমূলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। নগরে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি রিজার্ভ ভোট আছে আমাদের। একজন বিশিষ্ট বক্তা ও সংগঠক হিসেবে নায়েবে আমির মেয়র প্রার্থী হলে বিসিসি ভোটের হিসাবই পাল্টে যাবে।’

এ ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার বাদ আসর। কিন্তু এখন ঈদ, কর্মীরা ব্যস্ত। সবকিছু বিবেচনায় সময়টা সঠিক ছিল না।

গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘নায়েবে আমির ফয়জুল করিমের প্রতি নগরের জনগণের চাহিদা বেশি। ওনাকে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। উনি দলেরও সেকেন্ড ম্যান। কিন্তু এটি স্থানীয় নির্বাচন এবং উনি জাতীয় নেতা। তাঁকে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আমরা বড় কিছু ভাবছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে মোটরসাইকেলচালকের লাশ উদ্ধার

পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা নিহত ব্যক্তির মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা নিহত ব্যক্তির মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কুমিরা চারাবটতলা থেকে আজ ভোরের দিকে ভাড়ায় চালিত এক মোটরসাইকেলচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, তবে ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম অহিদ মোড়ল (৩৮)। তিনি পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালী ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মোড়লের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে অহিদ মোড়ল বাড়ি থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে মহাসড়কের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পাটকেলঘাটা থানা-পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় রাস্তার পাশে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা একটি মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এটি দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনো ঘটনা, তা জানা যাবে। এর আগে কিছু বলা সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে অনুষ্ঠিত সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই নয়ন ইসলাম জানান, মালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ও আজাদ নামের দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে দুই পক্ষ একজন আইনজীবীর কাছে সালিস বৈঠকে বসে। সেখানে গোলাম হোসেন (নিহত) উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি আজাদের পক্ষে বক্তব্য দেন।

নয়ন ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার জেরে বুধবার রাতে হারুনুর রশিদের সঙ্গে গোলাম হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হারুনের ছেলে অন্তর এসে গোলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নুরে আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বিগত সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পুলিশকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে’

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৮
আজ সকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম বলেছেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি সর্বদা সরকারের দৃশ্যমান প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। আমরা অতীতে দেখেছি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশকে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। এর ফলস্বরূপ পুলিশের কার্যক্রমের প্রতি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল। যার প্রতিচ্ছবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দৃশ্যমান হয়েছে। এ অভ্যুত্থান এটাই প্রমাণ করে যে জনমতের বিপক্ষে গিয়ে কখনো টিকে থাকা যায় না।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৫২তম টিআরসি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালীর কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান বিপিএম-সেবা।

সরদার নূরুল আমিন আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক। স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলার অভাবে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বোপরি জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই বর্তমান সরকার পুলিশকে একটি জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। যার জন্য পুলিশে ব্যাপক সংস্কারে কাজ করছে সরকার। আমরা আমাদের অতীতের ত্রুটিগুলো নিরূপণের চেষ্টা করছি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা কুচকাওয়াজ, প্যারেডসহ বিভিন্ন ডিসপ্লে পরিদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এস আলমের লোকজনও এখন নমিনেশন পাচ্ছে: কর্নেল অলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
গতকাল রাতে বরমা কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম)। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাতে বরমা কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম)। ছবি: আজকের পত্রিকা

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, ‘হাসিনা বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছে। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে। ইদানীং শুনতেছি, এস আলমের লোকজনকেও নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে। এটা আমার কথা না, জনগণের কথা। আমিও তাদের সঙ্গে একমত।’ গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চন্দনাইশ উপজেলা গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে স্থানীয় বরমা কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। সবকিছুর দাম হু হু করে বাড়ছে। কারণ, হাসিনা বাংলাদেশে কিছুই রাখে নাই। ১৩৪ বিলিয়ন ডলার লুট করে নিয়ে গেছে। এ টাকা যদি বাংলাদেশে থাকত, তাহলে দেশ আজ পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে। কিছুই রাখে নাই। সব নিয়ে গেছে হাসিনা।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে অলি আহমদ বলেন, ‘আপনি হেলাফেলা করে দেশ পরিচালনা করলে হবে না। লটারি মন্ত্রীদেরকে নিয়ে আপনি দেশ চালাতে পারবেন না। এ রকম লটারি মন্ত্রী দিয়ে একটা দেশ পরিচালনা করা যায়, তা আমার ৬০ বছরের জীবনে আমি শুনি নাই।’ তিনি তাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘অবশ্য লটারি মন্ত্রী দিয়ে দেশ পরিচালনার জন্য তিনি আরেকটা নোবেল পুরস্কারও পেতে পারেন। কারণ, তিনি এর আগে মাইক্রোক্রেডিটের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। সাধারণ মানুষ এখন অসহায়।’

কর্নেল অলি বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। রক্তপাত হচ্ছে। বিএনপির নমিনেশন নিয়েও গোলাগুলি হয়েছে, মারামারি হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশ একটা অশান্ত পরিবেশের মধ্যে আছে। বিভিন্ন কারণে এই অশান্ত পরিবেশ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল, তদবির ইত্যাদি নানামাত্রিক সমস্যায় মানুষ এখন কাহিল। এগুলো সমাধান হওয়া দরকার। গরিবদের ওপর জুলুম করা চলবে না। সরকারের দায়িত্ব এগুলোর সমাধান করা।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি জসিম উদ্দীন। সাধারণ সম্পাদক মো. মোরশেদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত