তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে সাগরে মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। আজ শুক্রবার দেখা যায়, উপজেলার ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। সমুদ্রগামী জেলেরা জানান, সাগর ভয়ংকরভাবে উত্তাল হয়ে ওঠায় উপকূলে ফিরে এসেছেন।
এফভি ফুলমতি ট্রলারের মাঝি মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাগরে ছিলাম। সাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হয়ে উঠছে। এ জন্য আগাম আবহাওয়ার খবর পেয়ে উপকূলে এসে নিরাপদে নোঙর করেছি ট্রলার। আরও অনেক ট্রলার সাগরে রয়েছে, সেগুলো উপকূলে আসতে শুরু করেছে।’ গভীর সাগরে যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা পৌঁছালে তাঁরাও চলে আসবেন বলে জানান তিনি।
আরেক জেলে মজনু বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক আবহাওয়া বার্তা না পেয়ে অনেক জেলে সাগরে প্রাণ দিয়েছেন। এ জন্য আমরা আগেভাগে সংবাদ পেয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য উপকূলে অবস্থান করছি। ঘূর্ণিঝড়ের বিপৎসংকেত কেটে গেলে আবারও সাগরে মাছ শিকারে যাব।’
ফকিরহাট মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. সুলতান আহম্মেদ ফরাজী বলেন, ‘গভীর সমুদ্র উত্তাল থাকায় গতকাল থেকেই বেশ কিছু ট্রলার নিরাপদে আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে শতাধিক ট্রলার নোঙর করেছে। তা ছাড়া কিছু ট্রলার পার্শ্ববর্তী পাথরঘাটা-মহিপুর আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এখনো সাগরে অনেক ট্রলার আছে। সেই সব ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গতকাল পায়রা সম্মেলনকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপা।
সভায় জানানো হয়, উপজেলায় দুটি মুজিব কিল্লাসহ ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২৪ হাজার ৯০০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। এ ছাড়া ১ হাজার ২৭৯ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি ত্রাণ ও শুকনা খাবার মজুত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে একটি জরুরি সাড়াদান কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। উপকূলীয় জেলেদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে মাইকিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে কোস্ট গার্ড, নৌ–পুলিশ, ট্রলার মালিক সমিতি ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ প্রস্তুতি নিয়েছি। সব নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সিপিপি স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন:
বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে সাগরে মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। আজ শুক্রবার দেখা যায়, উপজেলার ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। সমুদ্রগামী জেলেরা জানান, সাগর ভয়ংকরভাবে উত্তাল হয়ে ওঠায় উপকূলে ফিরে এসেছেন।
এফভি ফুলমতি ট্রলারের মাঝি মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাগরে ছিলাম। সাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হয়ে উঠছে। এ জন্য আগাম আবহাওয়ার খবর পেয়ে উপকূলে এসে নিরাপদে নোঙর করেছি ট্রলার। আরও অনেক ট্রলার সাগরে রয়েছে, সেগুলো উপকূলে আসতে শুরু করেছে।’ গভীর সাগরে যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা পৌঁছালে তাঁরাও চলে আসবেন বলে জানান তিনি।
আরেক জেলে মজনু বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক আবহাওয়া বার্তা না পেয়ে অনেক জেলে সাগরে প্রাণ দিয়েছেন। এ জন্য আমরা আগেভাগে সংবাদ পেয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য উপকূলে অবস্থান করছি। ঘূর্ণিঝড়ের বিপৎসংকেত কেটে গেলে আবারও সাগরে মাছ শিকারে যাব।’
ফকিরহাট মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. সুলতান আহম্মেদ ফরাজী বলেন, ‘গভীর সমুদ্র উত্তাল থাকায় গতকাল থেকেই বেশ কিছু ট্রলার নিরাপদে আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে শতাধিক ট্রলার নোঙর করেছে। তা ছাড়া কিছু ট্রলার পার্শ্ববর্তী পাথরঘাটা-মহিপুর আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এখনো সাগরে অনেক ট্রলার আছে। সেই সব ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গতকাল পায়রা সম্মেলনকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপা।
সভায় জানানো হয়, উপজেলায় দুটি মুজিব কিল্লাসহ ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২৪ হাজার ৯০০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। এ ছাড়া ১ হাজার ২৭৯ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি ত্রাণ ও শুকনা খাবার মজুত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে একটি জরুরি সাড়াদান কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। উপকূলীয় জেলেদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে মাইকিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে কোস্ট গার্ড, নৌ–পুলিশ, ট্রলার মালিক সমিতি ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ প্রস্তুতি নিয়েছি। সব নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সিপিপি স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন:
বগুড়ায় আজগর আলী পিয়াল নামের এক অটোরিকশাচালককে হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৩ মিনিট আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৯০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে আনা হয়েছে।
৯ মিনিট আগেচকলেট ও বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. ইউসুফ আলী পাটোয়ারীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে কদমতলী থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে সবুজবাগের বাসাবো এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড
১৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়িতে হামলা করে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সঞ্চয় নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে