খান রফিক, বরিশাল
গোরস্থানে ঢুকে গাছের পাতা খাওয়ার অভিযোগে এক বছর আগে ১৫টি ছাগল আটক করেছিল বরিশাল সিটি করপোরেশন। নতুন মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার নয়টি ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ছাগলের মালিক নগরের ২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহরিয়ার সাচিব রাজিব দাবি করছেন, এক বছরে ৫টি ছাগল বাচ্চা প্রসব করায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ টি। অথচ গতকাল বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশন তাঁর কাছে হস্তান্তর করেছে মাত্র ৯টি। সাবেক মেয়র সাদিকের মেয়াদকালীন ২৪টি ছাগলের হিসাব চেয়ে তিনি সিটি করপোরেশনে লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এদিকে বরিশাল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো পশু আটকে রাখার বিধান নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল নগরের মুসলিম গোরস্থানে ঢুকে গাছের পাতা খাওয়ার অভিযোগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর স্থানীয় শাহরিয়ার সাচিব রাজিবের ১৫টি ছাগল আটক করে সিটি করপোরেশন। রাজিব ২১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী বলে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, এই কারণেই তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তাঁর স্টাফদের দিয়ে ছাগলগুলো আটক করান।
ওই ঘটনায় রাজিবের পরিবার সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ছাগল ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু মেয়র সাদিকের দায়িত্বকালীন ছাগলগুলো ফেরত না দিয়ে করপোরেশনের আমনতগঞ্জের গাড়ির গ্যারেজে আটকে রাখা হয়।
ছাগলের মালিক শাহরিয়ার রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ১৫টি ছাগল গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ধরে নিয়ে গ্যারেজে অরক্ষিত অবস্থায় আটকে রাখে। এর মধ্যে ১১টি বড় এবং ৪টি ছোট ছাগল ছিল। সেগুলোর ৫টি ছাগলের পেটে বাচ্চা ছিল। পরদিন ৭ ডিসেম্বর একটি ছাগল ২টি বাচ্চা প্রসব করে। কিন্তু দুটি বাচ্চাই মারা যায়। পরবর্তীতে ৩টি ছাগল ২টি করে ৬টি এবং অপর একটি ছাগল একটি বাচ্চা প্রসব করে। সে হিসাবে, তাঁর মোট ২৪টি ছাগল সিটি করপোরেশনের জিম্মায় ছিল।
রাজিব আক্ষেপ করে বলেন, তাঁর মূল ১৫টি ছাগলও তিনি ফেরত পাননি। গতকাল বৃহস্পতিবার ৯টি ছাগল বুঝিয়ে পেয়ে বাকিগুলোর হিসাবে জানতে চেয়েছেন। সেখানে উপস্থিত করপোরেশনের বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাঁকে বলেছেন, ২৪টি ছাগল দাবি করলে মেয়রের কাছে লিখিত দরখাস্ত করতে হবে। আগামী রোববার তিনি বর্তমান মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি গতকাল ৯টি ছাগল পেয়ে মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ছাগল কয়টা ছিল তা খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। তিনি বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরে প্রশাসনিক শাখায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাই বলতে পারবেন বাকি ছাগলগুলো গেল কোথায়।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো পশু আটক করা হলে সাত দিনের মধ্যে মালিককে নোটিশ দিতে হবে। দ্রুত হস্তান্তর করতে হবে। অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখার বিধান নেই।’
তিনি সিটি করপোরেশনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এটি তাঁর জানা আছে। করপোরেশন কোনো প্রাণী এক বছর আটকে রাখতে পারে না।
গোরস্থানে ঢুকে গাছের পাতা খাওয়ার অভিযোগে এক বছর আগে ১৫টি ছাগল আটক করেছিল বরিশাল সিটি করপোরেশন। নতুন মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার নয়টি ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ছাগলের মালিক নগরের ২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহরিয়ার সাচিব রাজিব দাবি করছেন, এক বছরে ৫টি ছাগল বাচ্চা প্রসব করায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ টি। অথচ গতকাল বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশন তাঁর কাছে হস্তান্তর করেছে মাত্র ৯টি। সাবেক মেয়র সাদিকের মেয়াদকালীন ২৪টি ছাগলের হিসাব চেয়ে তিনি সিটি করপোরেশনে লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এদিকে বরিশাল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো পশু আটকে রাখার বিধান নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল নগরের মুসলিম গোরস্থানে ঢুকে গাছের পাতা খাওয়ার অভিযোগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর স্থানীয় শাহরিয়ার সাচিব রাজিবের ১৫টি ছাগল আটক করে সিটি করপোরেশন। রাজিব ২১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী বলে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, এই কারণেই তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তাঁর স্টাফদের দিয়ে ছাগলগুলো আটক করান।
ওই ঘটনায় রাজিবের পরিবার সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ছাগল ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু মেয়র সাদিকের দায়িত্বকালীন ছাগলগুলো ফেরত না দিয়ে করপোরেশনের আমনতগঞ্জের গাড়ির গ্যারেজে আটকে রাখা হয়।
ছাগলের মালিক শাহরিয়ার রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ১৫টি ছাগল গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ধরে নিয়ে গ্যারেজে অরক্ষিত অবস্থায় আটকে রাখে। এর মধ্যে ১১টি বড় এবং ৪টি ছোট ছাগল ছিল। সেগুলোর ৫টি ছাগলের পেটে বাচ্চা ছিল। পরদিন ৭ ডিসেম্বর একটি ছাগল ২টি বাচ্চা প্রসব করে। কিন্তু দুটি বাচ্চাই মারা যায়। পরবর্তীতে ৩টি ছাগল ২টি করে ৬টি এবং অপর একটি ছাগল একটি বাচ্চা প্রসব করে। সে হিসাবে, তাঁর মোট ২৪টি ছাগল সিটি করপোরেশনের জিম্মায় ছিল।
রাজিব আক্ষেপ করে বলেন, তাঁর মূল ১৫টি ছাগলও তিনি ফেরত পাননি। গতকাল বৃহস্পতিবার ৯টি ছাগল বুঝিয়ে পেয়ে বাকিগুলোর হিসাবে জানতে চেয়েছেন। সেখানে উপস্থিত করপোরেশনের বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাঁকে বলেছেন, ২৪টি ছাগল দাবি করলে মেয়রের কাছে লিখিত দরখাস্ত করতে হবে। আগামী রোববার তিনি বর্তমান মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি গতকাল ৯টি ছাগল পেয়ে মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ছাগল কয়টা ছিল তা খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। তিনি বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরে প্রশাসনিক শাখায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাই বলতে পারবেন বাকি ছাগলগুলো গেল কোথায়।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো পশু আটক করা হলে সাত দিনের মধ্যে মালিককে নোটিশ দিতে হবে। দ্রুত হস্তান্তর করতে হবে। অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখার বিধান নেই।’
তিনি সিটি করপোরেশনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এটি তাঁর জানা আছে। করপোরেশন কোনো প্রাণী এক বছর আটকে রাখতে পারে না।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৩ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৩ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে